সংক্ষিপ্ত

উল্টোরথে ভ্রমণের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুরীর এসপি জানিয়েছেন যে শ্রীগুন্ডিচা যাত্রার সময় ভক্তদের সুশৃঙ্খলভাবে দর্শন এবং যাতায়াতের জন্য একই রকম ব্যবস্থা করা হয়েছে,

গুন্ডিচা মন্দিরে জগন্নাথদেবের নামগানের সমাপ্তি ঘটছে। ২৮ জুন উল্টো রথযাত্রা। স্থানীয় ভাষায় একে বহুদা যাত্রাও বলা হয়। আবার যাত্রা শেষ করে ভগবান জগন্নাথ মন্দিরে ফিরে আসবেন। শ্রীবিগ্রহের প্রত্যাবর্তন যাত্রা বাহুদা বা দক্ষিণগামী যাত্রা নামেও পরিচিত। আষাঢ় শুক্লের দশমী তিথিতে উল্টো রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। উৎসব চলছে পুরোদমে। গতকাল জগন্নাথ মহাপ্রভুর গুন্ডিচা মন্দিরে বিকাল ৫টা থেকে দর্শন বন্ধ হয়েছো। একই ভাবে, ভক্তদেরও আজ শেষবারের মতো মন্দিরের বাইরে জগন্নাথদেবের দর্শণ হবে। উল্টোরথে ভ্রমণের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুরীর এসপি জানিয়েছেন যে শ্রীগুন্ডিচা যাত্রার সময় ভক্তদের সুশৃঙ্খলভাবে দর্শন এবং যাতায়াতের জন্য একই রকম ব্যবস্থা করা হয়েছে, এবং উল্টোরথে যাত্রার জন্যও একই ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

উল্টোরথ তথা বহুদা যাত্রায় প্রভু তার মাসির পিঠা খায়। বালাগান্দি স্ট্রিটের কাছে মাসির বাড়িতে মন্দিরে চলছে পিঠা ও মন্ডা খেয়ে রথে ফেরার সময়, মটরশুটি দিয়ে তৈরি এক বিশেষ প্যাটি খাওয়ানো হয়। মাসির উপাসক পূজাপাণ্ডা সাধু তা নিবেদন করেন। এই পাই বিশেষভাবে তৈরি করা হয়। কালিয়া ঠাকুরের নববর্ষের রথযাত্রা উপলক্ষে, উল্টোরথে তিনটি ঠাকুরের রথযাত্রার প্রথা রয়েছে। ২৯ তারিখ জগন্নাথের রথে মুকুট পরানো হবে। ৩০ তারিখ চতুর্ধামূর্তি অধর্পণ এবং ১ তারিখ নীলাদ্রী পরিদর্শন করবেন।

বহুদা যাত্রা সম্পর্কে কিছু মিথঃ

উল্টোরথ যাত্রার অষ্টম দিনে শারধাবলীতে স্থাপিত তিনটি রথই দক্ষিণমুখী হয়ে গুন্ডিচা মন্দিরের নাকচানা দরজার সামনে রাখা হয়। নন্দীঘোষের রথ শ্রীনগরের সামনে আসার পর সেখানে সনাতন রীতি অনুযায়ী লক্ষ্মী-নারায়ণের দেখা হয়। পুরো যাত্রা তিন ভাগে বিভক্ত। এর মধ্যে যাত্রা এক ভাগ, গুন্ডিচা মণ্ডপে অবস্থান দ্বিতীয় ভাগ এবং বাউদা থেকে মন্দিরে যাত্রা তৃতীয় ভাগ। শাস্ত্রীয় আখ্যান অনুসারে, যাত্রার সময় জগন্নাথদেবের উত্তর দিকে মুখ করে দেখলে খুব ভালো ফল মেলে। দীর্ঘ যাত্রায় দক্ষিণ দিকে যাত্রা করার সময় ঠাকুরদের দেখা হলে একই ফল পাওয়া যায়। এমনও বিশ্বাস করা হয় যে ভক্তরাও এই বিরল দর্শনে অশ্বমেধ যজ্ঞের ফল লাভ করেন এবং শেষ পর্যন্ত বৈকুণ্ঠ লাভ করেন।