সংক্ষিপ্ত
পরিবারের সকলের মঙ্গলকামনায় প্রত্যেকদিন তুলসী গাছের গোড়ায় জল ঢেলে প্রদীপ জ্বালেন বহু মানুষ। কিন্তু, শুধু প্রদীপ জ্বাললেই হবে না, সংসারের দুঃখ-দুর্দশা নিবারণের জন্য মেনে চলুন এই রীতি।
তুলসী একটি অত্যন্ত উপকারী গাছ। শুধুমাত্র আয়ুর্বেদিক বা ঔষধি ক্ষেত্রেই নয়, ধর্মীয় বিশ্বাসেও এই গাছ অত্যন্ত ভরসাযোগ্য। হিন্দু ধর্মে এই গাছকে বাড়ির সৌভাগ্যের প্রতীক বলে বিশ্বাস করা হয়। পরিবারের সকলের মঙ্গলকামনায় প্রত্যেকদিন তুলসী গাছের গোড়ায় জল ঢেলে প্রদীপ জ্বালেন বহু মানুষ। সংসারের অর্থকষ্ট বা দুঃখ-দুর্দশা নিবারণের জন্য এই রীতি যুগযুগান্তর ধরে ভারতীয় সমাজে প্রচলিত।
ধর্মশাস্ত্র অনুযায়ী, তুলসী গাছে জল দিয়ে দিন শুরু করা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। এই গাছের সামনে প্রদীপ জ্বালিয়ে মাথা নত করে প্রণাম করার রীতিও বহুল প্রচলিত। বর্ণিত আছে যে, এর দ্বারা দেবী লক্ষ্মী খুবই সন্তুষ্ট হন, তাই বাড়িতে শান্তি ও সমৃদ্ধি চির বিরাজমান হয়। অনেকেই তুলসী মঞ্চের সামনে বা তুলসী গাছের নীচে তেল বা ঘি ঢেলে মাটির প্রদীপ জ্বালিয়ে থাকেন। কিন্তু, মনে রাখবেন, যেকোনও প্রদীপ জ্বালালেই হবে না, সাফল্য পেতে হলে তুলসী কাঠ দিয়ে প্রদীপ জ্বালিয়ে পুজো করতে হবে।
শুকনো তুলসী কাঠ দিয়ে প্রদীপ জ্বালালে বাড়ি থেকে সমস্ত খারাপ আবহ দূর হয়ে যায়। এর দ্বারা জীবনে ইতিবাচকতা আসে।
তুলসী কাঠের প্রদীপ ঘর থেকে নেতিবাচকতা দূরে রাখে। দেবী লক্ষ্মী পরিবারের ওপর সুদৃষ্টি রাখেন। তাই, কখনও অর্থের কোনও অভাব হয় না।
এই প্রদীপ জ্বালালে বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ভগবান বিষ্ণুর ছবি বা মূর্তির সামনে তুলসী কাঠের প্রদীপ জ্বালালে পরিবারের সকলে স্বাস্থ্যবান থাকবেন ।
তুলসীর প্রদীপ স্বামী-স্ত্রীর দাম্পত্য জীবন সুখকর করে। গ্রহ ও বাস্তুর দোষ দূর হয়।
প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের পদ্ধতি:
একটি মাটির প্রদীপ নিন। তার মধ্যে সামান্য ঘি বা তেল ঢালুন। তারপর এর ওপর ৭টি শুকনো তুলসী কাঠি ভিজিয়ে দিন। এরপর প্রদীপটি জ্বালিয়ে তুলসী মঞ্চের সামনে অথবা বাড়ির ঠাকুরঘরে রেখে দিন।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।