সংক্ষিপ্ত
হার আঙটি পরে শনির আশীর্বাদ পেতে চায়। কিন্তু শনির দোষ কাটাতে হাতে লোহার আঙটি পরার আগে কতগুলি নিয়ম মেনে চলতে হবে।
জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী লোহার সঙ্গে শনি দেবতার যোগ রয়েছে। হিন্দুশাস্ত্রে শনি ন্যায় - অন্যায়ের দেবতা। এটি এমন একটি গ্রহ যা ব্যক্তির পাপ পূন্য বিবেচনা করে শুভ বা অশুভ ফল প্রদান করে। যারা খারাপ কাজ করে এই শনিদেবতা তাদেরও শাস্তি দেয় বলে হিন্দু শাস্ত্রে বিশ্বাস করা হয়। কেই কারণে জন্মকুণ্ডলীতে শনির ধাইয়া, সাদে সতী দশা, মহাদশা বা অন্তরদশার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এগুলি কমানোর জন্য মানুষ বিভিন্ন ব্যবস্থা নেয়। অনেকেরই আবার লোহার আঙটি পরে শনির আশীর্বাদ পেতে চায়। কিন্তু শনির দোষ কাটাতে হাতে লোহার আঙটি পরার আগে কতগুলি নিয়ম মেনে চলতে হবে। নাহলেই সমস্যা আরও বড়বে - শনিদেবতা কুপিত হবে।
জেনে নিন কারা কারা লোহার আঙটি পরবেন না
১. যাদের কুণ্ডলীতে বুধ, সূর্য ও শুক্র একত্রে রয়েছে তারা ভুলেও লোহার আঙটি পরবেন না। উপকারের থেকে ক্ষতি বেশি হবে। গ্রহণের অবস্থানের কারণে সংশ্লিষ্ট জাতক বা জাতিকাদের জন্য লোহার আঙটি শুভ নয়।
২. যদি কোনও ব্যক্তির জন্মের দ্বাদশ ঘরে বুধ ও রাহু একসঙ্গে থাকে বা উভয়ই বিভিনিন ঘরে নিম্ম অবস্থানে থাকে তাহলে তাদের জন্য লোহার আঙটি ক্ষতিকারক। রাহু ও বুধের অবস্থান যদি রাশিতে শক্তিশালী হয়, তবে লোহার আংটি পরলেই কেবল এই ধরনের লোকদের উপকার হয়।
৩. যাদের জীবনে এমনিতেই শনি শুভ ফল প্রদান করে বা যাদের জীবনে শনিদেবতার আশীর্বাদ রয়েছে তারা অবশ্যই লোহার আঙটি পরা থেকে বিরত থাকুন। কারণ শনিদেবতা লোভ একদমই পছন্দ করেন না।
তবে শনির আশীর্বাদ পেতে প্রতি শনিবার অবশ্যই পুজো করতে পারেন। শনিবার গরীব মানুষকে কিছু দান ও খাবার দিতে পারেন। তাতে কিন্তু শনিদেব এমনিতেই প্রসন্ন হয়। শনিবার কিন্তু ভুলেও লাল কাপড় পরবেন না। আর শনিবার যদি কোনও শনি মন্দিরে যান তাহলে ভুলেও মন্দির থেকে বার হওয়ার সময় দেবতার দিকে পিছন ফিরে বার হবেন না। সর্বদাই তাঁর দিকে মুখ করে পিছন দিকে হাঁটুন, তাহলে দেবতার আশীর্বাদ পাবেন। মনে রাখবেন শনিদেবতা কখনই অহংকার পছন্দ করেন না।