সংক্ষিপ্ত

বিশ্বাস করা হয় যে, ভাদ্রপদ পূর্ণিমায় ভগবান বিষ্ণু এবং মা লক্ষ্মীর আরাধনা করলে সকল মনস্কামনা পূরণ হয়। 

হিন্দু ধর্মে পূর্ণিমা তিথির গুরুত্ব অত্যন্ত বেশি। ভাদ্রপদ মাসের পূর্ণিমা তিথি থেকে শ্রাদ্ধপক্ষ শুরু হয়। তাই ভাদ্রপদ পূর্ণিমা পূর্বপুরুষদের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বাস করা হয় যে, এই তিথিতে ভগবান বিষ্ণু এবং মা লক্ষ্মীর আরাধনা করলে সকল মনস্কামনা পূরণ হয়। ভাদ্রপদ পূর্ণিমার তিথি দিয়ে শুরু হয় পিতৃপক্ষ। তাই পিতৃ দোষ এড়াতে পিতৃপক্ষের প্রথম দিনে কিছু সহজ উপায় অবলম্বন করতে পারেন।

পূর্ণিমার শুভ সময়: পূর্ণিমা তিথি শুরু হচ্ছে ২৮শে সেপ্টেম্বর তারিখে সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে এবং শেষ হচ্ছে ২৯ সেপ্টেম্বর তারিখে দুপুর ৩টে ২৮ মিনিটে। ওইদিন পূর্ব ভাদ্রপদ নক্ষত্র সহায় থাকবে, এছাড়াও, চাঁদ থাকবে মীন রাশির ওপরে। অনন্ত চতুর্দশীর শুভ যোগও একই দিনে ঘটছে। যাঁরা পূর্ণিমার উপবাস করবেন, তাঁদের ২৮ সেপ্টেম্বর তারিখেই করতে হবে। পূর্ণিমার দান পরের দিন, অর্থাৎ, ২৯ সেপ্টেম্বর রাখা হবে।

পূর্ণিমার প্রতিকার: পূর্বপুরুষদের শান্তির দিন অর্থাৎ ২৯শে সেপ্টেম্বর পূর্ণিমা তিথিতে একটি ছোট পাত্রে গঙ্গাজল ঢেলে পাত্রটি হাতে নিয়ে পূর্বপুরুষদের নাম ৫ থেকে ৭ বার পাঠ করুন। এর পরে, তাঁদের কাছে সুখ ও সমৃদ্ধির জন্য প্রার্থনা করুন। তারপর পাত্রের জলটি তুলসী গাছের গোড়ায় ঢেলে দিন, অথবা সারা ঘরে ছিটিয়ে দিন।

ওইদিন দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পাওয়ার জন্য পূর্ণিমা তিথিতে দেবীর পায়ে লাল ফুল ও সুগন্ধি দ্রব্য অর্পণ করে পুজো করুন। শ্রী সুক্তম স্তোত্র বা কনকধারা স্তোত্র পাঠ করুন।

ভাদ্রপদ পূর্ণিমায় আপনার পূর্বপুরুষদের নামে কোনও দরিদ্র ব্যক্তিকে কিছুটা চাল অথবা ধান দান করুন।

বাড়িতে বসবাসরত পরিবারের সদস্যদের মধ্যে যদি খুব ঝগড়া-অশান্তি হয়ে থাকে, তাহলে ভগবান বিষ্ণুর পূজা করুন। পুজো সম্পন্ন হওয়ার পর পরিবারের মানুষরা সকলে নিজেদের কপালে সাদা চন্দনের তিলক লাগান।