সংক্ষিপ্ত

হিন্দু শাস্ত্রে উল্লিখিত আছে যে, পাঁচটি শক্তিশালী অবতারের প্রাণকেন্দ্র হল পঞ্চমুখি হনুমানজি। কিন্তু, তাঁর ছবি বা মূর্তি বাড়িতে রাখলে কি শক্তির তেজে বড়সড় ক্ষতি হতে পারে?

রাম-রাবণের যুদ্ধ চলাকালীন রাক্ষস রাজ রাবণ, পাতাল দেবতা অহিরাবণের সাহায্য চান। সেই মতো পাতাল দেবতা রাম এবং লক্ষ্মণকে অপহরণ করে নিয়ে যান পাতালপুরীতে। এদিকে চারিদিক খুঁজেও যখন রাম-লক্ষ্মণের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না, তখন ভগবান হনুমান নিজের শক্তির বলে জানতে পারেন যে, দশরথ-পুত্ররা রয়েছেন পাতালের অন্ধকারে। এর পরই তিনি পাতালপুরীর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন। কিন্তু, যখন সেখানে গিয়ে হনুমান পৌঁছলেন, তখন তিনি দেখলেন যে, অহিরাবণের প্রাণ পাঁচটি প্রদীপের মধ্যে রয়েছে, যাদের একসঙ্গে নিভিয়ে দিলে তবেই মারা যাবে পাতাল রাজ। কিন্তু সেই পাঁচটি প্রদীপ রয়েছে আলাদা আলাদা জায়গায়। তাহলে উপায়? এই ভাবতে ভাবতে হনুমানজি পাঁচটি অবতারে আবির্ভূত হলেন, এবং একসঙ্গে পাঁচটি প্রদীপকে নিভিয়ে দিলেন। অহিরাবণের মৃত্যু হল। অবশেষে মুক্তি পেলেন রাম এবং লক্ষ্মণ। হিন্দু শাস্ত্রে উল্লিখিত আছে যে, পাঁচটি শক্তিশালী অবতারের প্রাণকেন্দ্র হল পঞ্চমুখি হনুমানজি। কিন্তু, তাঁর ছবি বা মূর্তি বাড়িতে রাখলে কি শক্তির তেজে বড়সড় ক্ষতি হতে পারে?

-

বাড়িতে পঞ্চমুখী হনুমানের ছবি লাগানোর ফলাফল – 

১) পঞ্চমুখী হনুমানের মূর্তি এনে রাখলে গৃহস্থের অন্দরে ইতিবাচক শক্তির বিকাশ ঘটতে শুরু করে, অশুভ শক্তি ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। ফলে কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি সুখের ঝাঁপিও পরিপূর্ণ থাকে।  শুধু তাই নয়, পরিবারের মধ্যে মনোমালিন্য মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার সম্ভাবনাও কমে।

২) কথায় বলে মনের ক্ষমতা যত বাড়তে থাকে, তত জীবন সোজা হয়ে যায়। কারণ মন হল সেই শক্তির আধার, যা আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়, দুঃখের সময় মাথা নাওয়াতে মানা করে এবং জীবনযুদ্ধে জয়লাভ করার রসদ জোগায়। বাড়িতে পঞ্চমুখী হনুমানের ছবি লাগালে মনের জোর দারুণ বৃদ্ধি পাবে। জীবনের পথে কোনও বাধাই সাফল্যের পথ রোধ করতে পারবে না। 

৩) আপনি কি কোনও গ্রহদোষে ভুগছেন? তাহলে আজই বাড়িতে পঞ্চমুখী হনুমানের ছবি বা মূর্তি এনে রাখুন, দেখবেন গ্রহের কু-প্রভাব কমতে শুরু করবে। ফলে, কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যেমন কমবে, তেমনই জীবনে কঠিন সময়ের সম্মুখিন হওয়ার সম্ভাবনাও যাবে কমে। যারা মঙ্গল এবং শনির দোষে দুষ্ট, তারা আজ থেকেই পঞ্চমুখী মারুথির আরাধনা শুরু করলে ফল পাবেন একেবারে হাতে-নাতে!

৪) বিশ্বাস করা হয় যে হনুমানজির আশীর্বাদে মন এবং মস্তিষ্কের ক্ষমতা এতটা বাড়তে থাকে যে, চরম সফলতা লাভ করতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিও রোজকার সঙ্গী হয়ে ওঠে। প্রসঙ্গত, শাস্ত্র মতে পঞ্চমুখি হনুমানজির ছবি বাড়ির মূল ফটকের উপর লাগিয়ে রাখলে কোনও ধরনের অর্থনৈতিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও কমে যায়।