সংক্ষিপ্ত

জন্ম-মৃত্যুর ঘটনাও গরুড় পুরাণে বিশদভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। হিন্দু ধর্মে, পরিবারের কোনও সদস্যের মৃত্যুর পরে পুরও ১৩ দিন ধরে অনেক নিয়ম মেনে চলতে হয়। এর মধ্যে একটি হলো মৃত্যুর পর মৃতদেহকে একা না রাখা।

 

জন্ম এবং মৃত্যু উভয়ই নিয়তি, যে জন্মেছে তার মৃত্যু নিশ্চিত এবং এটাই অপরিবর্তনীয় সত্য। কিন্তু এই জন্ম-মৃত্যুর চক্রে মানুষ তার কর্ম ও মনের অবস্থা অনুযায়ী স্বর্গ বা নরক লাভ করে। জন্ম-মৃত্যুর ঘটনাও গরুড় পুরাণে বিশদভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। হিন্দু ধর্মে, পরিবারের কোনও সদস্যের মৃত্যুর পরে পুরও ১৩ দিন ধরে অনেক নিয়ম মেনে চলতে হয়। এর মধ্যে একটি হলো মৃত্যুর পর মৃতদেহকে একা না রাখা।

হিন্দু ধর্মে সূর্যাস্তের পর দাহ করার কোনও আইন নেই। যদিও এখন অনেকেই এই নিয়ম পালন করেন না। তবুও আগেকার দিনে মৃতদেহ সারারাত বাড়িতে রাখা হত। অন্যদিকে পঞ্চক আমলে কোনও ব্যক্তি মারা গেলেও পঞ্চক সময় শেষ হওয়ার আগে তার মৃতদেহ পোড়ানো হয় না। কোনও ব্যক্তির মৃত্যুর পর যদি ছেলে বা মেয়ে কাছাকাছি না থাকে এবং আসতে সময় লাগে, সেক্ষেত্রে শ্মশানের জন্যও অপেক্ষা করা এবং মৃতদেহ সারারাত বাড়িতে রাখা হয়। কিন্তু মৃতদেহকে একেবারে একা ফেলে রাখা উচিত নয়। গরুড় পুরাণে এর কারণ ব্যাখ্যা করা হয়েছে কেন মৃত্যুর পরে মৃতদেহকে একা রাখা হয় না।

এসব কারণে মৃতদেহকে একা ফেলে রাখা উচিত নয়-

গরুড় পুরাণে বলা হয়েছে যে মৃতদেহকে একা রেখে চারপাশে ঘুরে বেড়ানো অশুভ আত্মা মৃত ব্যক্তির দেহে প্রবেশ করতে পারে। এই কারণে শুধু নিহতের লাশ নয় পরিবারের সদস্যরাও বিপদে পড়তে পারে।

মৃতদেহ একা ফেলে রাখলে নরখাদক, লাল পিঁপড়া বা চারপাশে থাকা কীটরা মৃতদেহের ক্ষতি করতে পারে। তাই মৃতদেহ সৎকার না করা পর্যন্ত বাড়ির এক ব্যক্তি পাশেই বসে থাকে।

কথিত আছে মৃত্যুর পর মৃতের আত্মা সেখানেই থাকে। মৃতদেহ দাহ না করা পর্যন্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মৃতের মেলামেশা বজায় থাকে। এমতাবস্থায় পরিবারের সদস্যরা মৃতদেহ একা রেখে গেলে মৃতের আত্মাও এতে অসুখী হতে পারে।