সংক্ষিপ্ত

পাঁচ রাশির মানুষ রয়েছে, যারা গুছিয়ে মিথ্যাকথা বলতে পারে। আর এরা এতটাই ভাল করে মিথ্যা বলে যে আপনি বুঝতেই পারবেন না।

 

জ্যোতিষাস্ত্রে একজন মানুষের যেমন ভালদিকগুলি প্রকাশ পায়, তেমনই উঠে আসে মন্দদিকগুলি। সেইমত রাশিফল থেকে জানা যায় কোন মানুষের ব্যবহার কেমন হয়। পাঁচ রাশির মানুষ রয়েছে, যারা গুছিয়ে মিথ্যাকথা বলতে পারে। আর এরা এতটাই ভাল করে মিথ্যা বলে যে আপনি বুঝতেই পারবেন না। বিশেষজ্ঞদের কথায় এরা মিথ্যা কথা বলায় অত্যান্ত পটু হয়।

মিথুন

বুধ গ্রহ দ্বারা শাসিত এই রাশির জাতক ও জাতিকা। এরা অত্যান্ত মুখ মিষ্টি হয়। সেই সঙ্গে এরা মিথ্যা কথা বলায় অত্যান্ত পটু হয়। প্ররোচনা দিতে এরা ওস্তাদ। এদের বলা কথা কোনটা সত্য আর কোনটা মিথ্যা তা সহজে বোঝা যায় না। মিথুনরা প্রায়ই তাদের অসততার জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করে থাকে। তবে এরা এতটাই ধূর্ত প্রকৃতির হয় যে সহজে তা বোধার উপায় থাকে না। এরা তীক্ষ্ণ বুদ্ধির অধিকারী হয়। বাকপটুতা আর চাতুরিকে এরা কবজ হিসেবে ব্যবহার করে।

বৃশ্চিক

বৃশ্চিক রাশির জাতক ও জাতিকারা রহস্যমত প্রকৃতির হয়। মনোবিজ্ঞান নিয়ে চর্চা করে। তাই ম্যানিপুলেশনে এরা অত্যান্ত পটু হয়। এরা সোজা সহজ মুখে মিথ্যা কথা বলে। তাই এদের মিথ্যা সহজে বোঝা যায় না। এদের উদ্দেশ্যও সহজে আঁচ করা যায় না।

মকর

মকর রাশির জাতক ও জাতিকারা শৃঙ্খলা ও সংকল্পের জন্য পরিচিত হয়। এরা এদের লক্ষ্য অর্জনের জন্য যে কোনও কাজ করতে পারে। প্রযোজনে এরা সহজেই মিথ্যা কথা বলে কাজ হাসিল করে নেয়। ঘনঘন মিথ্যা করতে বলতে পারে না। কিন্তু নিজের স্বার্থে বড় ক্ষতি করার মত মিথ্যা কথা বলতে পিছপা হয় না। এদের বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের ক্ষমতা অসাধারণ।

তুলা রাশি

তুলারাশির জাতক ও জাতিকা হল কূটনৈতিক ব্যক্তিত্বের অধিকারী। এরা সামাজিক অনুগ্রহ ব্যবহার করতে পারদর্শী। নিজেদের ঢোষ ঢাকার জন্য এরা সহজেই মিথ্যা কথা বলতে পারে। নিজের দায় অন্যের ঘাড়ে চাপারে ওস্তাদ। নিজেকে নির্দোষ আর বিশ্বস্ত হিসেবে উপস্থাপনা করার দক্ষতা এদের মধ্যে রয়েছে। এদের মিথ্যা যে কোনও মানুষকেই কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করিয়ে দিতে পারে।

মীনরাশি

মীনরাশির জাতক ও জাতিকারা অত্যান্ত স্বপ্নময় রাজ্যে বিচরণ করে। কল্পনা প্রবণ হয়ে থাকে। নিজের কল্পনাকে বাস্তব রূপ দেওয়ার জন্য সহজেই মিথ্যা কথা বলতে পারে। মানুষকে বিভ্রান্ত করে এরা পারদর্শী হয়। ঘনঘন মিথ্যা কথা বলে না। কিন্তু এরা প্রয়োজনে ধীরেসুস্থে চিন্তাভাবনা করে মিথ্যা কথা বলার সিদ্ধান্ত নেয়। তাই এদের মিথ্যা কথা সহজে ধরা যায় না। নিজেকে বিশ্বাসী হিসেবে প্রমাণ করার তাগিদ এরা সর্বদা অনুভব করে।