- Home
- Astrology
- Horoscope
- আপনার রাশি মেষ, মীন, নাকি মিথুন? প্রত্যেকটি রাশির জাতকের রয়েছে এমন কিছু স্বভাব, যেগুলো পরিত্যাগ না করলে পড়তে হবে বিপদে
আপনার রাশি মেষ, মীন, নাকি মিথুন? প্রত্যেকটি রাশির জাতকের রয়েছে এমন কিছু স্বভাব, যেগুলো পরিত্যাগ না করলে পড়তে হবে বিপদে
- FB
- TW
- Linkdin
এক এক রাশির সঙ্গে মিলে থাকে জাতকদের দোষ বা গুন।
গুনগুলো যেমন সাফল্যের পথ অনুকূল করে, তেমনই খারাপ স্বভাবগুলো হয়ে দাঁড়ায় বাধা।
এক একটি রাশি অনুযায়ী দেখে নিন পরিত্যাগ করার মতো বাজে স্বভাবগুলো।
মেষ রাশির সঙ্গে জুড়ে থাকে অহংকার। ব্যাপারটা এমন নয় যে এই রাশির জাতকরা সবসময় মনে করেন যে তাঁরাই সব ক্ষেত্রে সঠিক। তবে, সব বিষয়ে একেবারে নিজেদের মনের মতো কিছু মতামত দিয়ে থাকেন এবং তাতে স্থির হয়ে থাকেন।
সব ব্যাপারে মেষ রাশির মানুষরা নিজেই উদ্যোগ নিয়ে পুরো কাজটা করতে যান। ফলে, অনেক ক্ষেত্রেই আত্মবিশ্বাসটা ওভার-কনফিডেন্স হয়ে যায়।
বৃষ রাশির জাতকরা সবসময় চান যে তাঁর আশেপাশের ভালো বিষয়গুলোতে কখনও কোনও বদল না আসুক। কোনও কিছুতে চূড়ান্তভাবে বাধ্য না হওয়া পর্যন্ত বৃষ রাশির জাতকরা কিছুতেই নিজেদের স্বভাব পরিবর্তন করতে চান না।
একগুঁয়ে হওয়ার জন্য এঁদের জীবনে সমস্যা আসে। যখন নতুন কিছু করে দেখাবার বা নিজে দেখার সময় আসে, তখন এঁরা পিছিয়ে থাকেন।
‘যে ছিল আমার স্বপনচারিণী, তারে বুঝিতে পারিনি’, এই উক্তিটি মিথুন রাশির জাতকদের জন্য এক্কেবারে যথার্থ। এঁদের কাছে এখনই যা আছে, তাঁর মর্ম এঁরা সহজে বুঝতে পারেন না।
নতুন এবং উত্তেজনাপূর্ণ কিছুর প্রতি এগিয়ে যাওয়া অবশ্যই ভালো, কিন্তু, নিজের কাছে এখনই যা আছে, তার মর্ম বুঝতে না পেরেই তাকে অবহেলা করে যাওয়াটা মিথুন রাশির জাতকদের খারাপ স্বভাব।
কর্কট রাশির খারাপ দিক হল নিষ্ক্রিয়তা এবং তার জেরে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠা। এঁরা নিজেই অনেক সময় নিজের অনুভূতির বিষয়ে নিষ্ক্রিয় হয়ে ওঠেন এবং তারপর অন্যদের ওপরে রাগতে থাকেন।
এঁরা বেশিরভাগ সময়েই মানুষের সাথে খুব ভালো ব্যবহার করেন, কিন্তু যদি অপ্রশংসিত থাকেন বা উপেক্ষিত হন, তাহলে খুবই খারাপ হয়ে ওঠেন। মানুষ ঠিক করে বুঝতেও পারে না যে এঁদের সমস্যাটা কী, আর এঁরাও বুঝিয়ে বলতে পারেন না নিজের সমস্যাগুলো। ফলে, যেকোনও সম্পর্কে চিড় ধরতে পারে।
সিংহ রাশির প্রধানতম খারাপ স্বভাব হল এঁদের হিংসুটেপনা। যুক্তিগত কারণেই এঁদের একটু গর্ব থাকে বটে, তবে মাঝে মাঝে অহংকারে একেবারে মাটিতে পা পড়ে না।
ঈর্ষা থাকা অবশ্যই সিংহ রাশির জাতকদের অন্যদের থেকে বেশি উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে, কিন্তু, যদি সেই ঈর্ষা ‘হিংসা’-তে পরিণত হয়, তখন এঁরা অন্য সকলের সঙ্গে নিজের তুলনা করেন। তুলনা না করেই যদি এঁরা প্রতিযোগিতাটাকে ইতিবাচকভাবে নেন, তাহলে আরও বেশি উন্নতি করতে পারেন।
কন্যা রাশির জাতকরা হলেন ‘সবজান্তা’। মানে এঁরা মনে করেন যে, এঁরা সব জানেন। সত্যি সত্যিই এঁদের সবদিক বিচার করার ক্ষমতা প্রবল থাকে এবং নিঃসন্দেহে এঁরা জ্ঞানী হন। কিন্তু….
কন্যা রাশির জাতকরা সবসময় ভাবেন যে, অন্যদের সম্পর্কে তাঁরা যেটা ভাবছেন, একমাত্র সেটাই সঠিক। অন্যরা নিজের সম্পর্কে কী জানেন, সেটার কোনও মূল্যই নেই। ফলে, যা হওয়ার তাই হয়। অনেককিছুই প্রত্যাশার তুলনায় বিপরীত দিকে মোড় নেয়।
বিরিয়ানি বা জন্মদিনের পায়েসের মতো সবাইকে সবসময় খুশি রাখতে চায় একটি রাশি, তার নাম তুলা। কাউকে আঘাত না করার জন্য ‘সত্য’ থেকেও মাঝে মাঝে এঁরা পিছিয়ে আসেন।
তুলা রাশির জাতকরা কীভাবে কাউকে আঘাত না করে তিক্ত সত্যিটা জানাতে পারবেন, সেটা ভাবতে ভাবতে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়। এঁরা এই বিষয়টা ভুলে যান যে, সবাইকে সবসময় খুশি রাখা সম্ভব নয়।
বৃশ্চিক রাশির মূল সমস্যা হল অবিশ্বাস। মানুষ কতটা বিশ্বস্ত, সেটা জানার জন্য এঁরা আশেপাশের সব মানুষকে প্রতিটা মুহূর্তে পরীক্ষা করতে থাকেন।
সব মানুষ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সত্যি কথা বলেন না, সেটা পরিস্থিতির চাপে বা ব্যক্তিগত অসুবিধার কারণেও হতে পারে, এই সহজ সত্যিটা বৃশ্চিক রাশির জাতকদের কাছে কাম্য নয়। তাঁরা এতবার নিজের প্রিয়জনের বিশ্বাসের পরীক্ষা নেন, যে ধীরে ধীরে প্রিয় মানুষটাও এঁদের ওপরে বিরক্ত হয়ে পড়েন।
ধনু রাশির খারাপ স্বভাব হল কথা দিয়ে কথা না রাখা। এঁরা প্রিয়জনকে হতাশ করতে চান না। এঁদের মনের যা, মুখেও তাইই থাকে। কিন্তু, এঁরা আগে থেকেই কোথাও আবদ্ধ হয়ে যাওয়ার ভয় পান।