সংক্ষিপ্ত
প্রায়শই, মন্ত্র জপ বা দান করে অথবা বিভিন্ন দামি রত্ন পরে করে অশুভ গ্রহের প্রভাব কমানোর চেষ্টা করা হয়, কিন্তু এই প্রতিকারগুলির অধিকাংশই আর্থিক দিক থেকে বেশ ব্যয়বহুল। তাই, সামান্য টাকা খরচ করেই ভাগ্যের প্রতিকার করার জন্য ব্যবহৃত হয় বিভিন্ন উদ্ভিদ।
জ্যোতিষশাস্ত্রমতে, রাশিফলের মাধ্যমে একজন ব্যক্তির শুভ ভবিষ্যত নির্ধারণ করা হয়। প্রত্যেকের ভাগ্যে তিন প্রকারের অবস্থা আসে, প্রথমটি অত্যন্ত শুভ সময়, দ্বিতীয়টি স্বাভাবিক সময় এবং তৃতীয়টি অশুভ বেদনাদায়ক সময়। অশুভ সময়ের ইঙ্গিত পেলে তা প্রতিকার করার ব্যবহার করা হয়, যাতে, জীবনে বিরাট বড় কোনও বিপর্যয় না আসে।
অন্যদিকে, শুভ সময়ে সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে সাফল্যের শতাংশ বহুগুণ বৃদ্ধি পায়, স্বাভাবিক সময়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করলে ব্যক্তি উন্নতিশীল হন এবং অশুভ সময়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করলে ব্যক্তি আঘাত, বিবাদ ইত্যাদি থেকে রক্ষা পান। প্রায়শই, মন্ত্র জপ করে, দান করে, বা বিভিন্ন দামি রত্ন পরিধান করে অশুভ গ্রহদের প্রভাব প্রশমিত করার চেষ্টা করা হয়, কিন্তু এই প্রতিকারগুলির অধিকাংশই আর্থিক দিক থেকে বেশ ব্যয়বহুল। তাই, সামান্য টাকা খরচ করেই ভাগ্যের প্রতিকার করার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদ।
জ্যোতিষশাস্ত্রে গ্রহ-শান্তির জন্য কিছু খুব সহজ এবং খরচ-মুক্ত প্রতিকার রয়েছে, যার মাধ্যমে গ্রহের দুঃখ-কষ্টের সহজ সমাধান করা যায়। অন্যদিকে, দুর্বল গ্রহগুলিকে শক্তিশালী করার জন্যেও পূর্বপুরুষ, ঋষি এবং মুনিরা অনেক মন্ত্র, তন্ত্র, যন্ত্র এবং ভেষজ আবিষ্কার করেছিলেন।
জেনে নিন, কোন কোন গ্রহ কোন কোন উদ্ভিদ দ্বারা প্রভাবিত হয়:
সূর্যের জন্য কার্যকরী হল বেলপত্রের মূল।
চন্দ্রের জন্য খিরনি বা খেজুরের মূল।
মঙ্গলের জন্য নাগ জিহ্নবা বা অনন্তমূলের মূল।
বুধের জন্য প্রয়োজন বিদরা মূল।
বৃহস্পতির জন্য ভ্রংরাজ বা কলার মূল।
শুক্রের জন্য পরা হয় সর্পনখা।
শনির জন্য নীটল ঘাস।
রাহুর জন্য শ্বেত চন্দনের মূল।
কেতুর জন্য অশ্বগন্ধা মূল।
গ্রহ সম্পর্কিত ভেষজ সম্পর্কে কোনও জ্যোতিষীকে জিজ্ঞাসা করুন, তারপর সেই গ্রহের সঙ্গে সম্পর্কিত রঙের সুতো দিয়ে সঠিক মূলটি নিজের শরীরে পরুন। পুরুষদের জন্য ডান বাহুতে এবং মহিলা ও শিশুদের জন্য ঘাড়ের চারপাশে পরা বিশেষভাবে উপকারী।