সংক্ষিপ্ত

হিন্দু ধর্মে প্রতি বছর জন্মাষ্টমীর উত্সব অত্যন্ত উত্সাহের সঙ্গে পালিত হয়। এই বছর জন্মাষ্টমী উৎসব ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ বুধবার। এই বছর জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বহু বছর পর এমন কাকতালীয় ঘটনা ঘটেছে যা খুবই বিরল।

 

Janmashtami 2023: শ্রাস্ত্রের নির্ধারিত দিন-ক্ষণের হিসাব অনুসারে এই বছর শ্রী কৃষ্ণের ৫২৫০তম জন্মাষ্টমী পালিত হবে। হিন্দু ধর্মে প্রতি বছর জন্মাষ্টমীর উত্সব অত্যন্ত উত্সাহের সঙ্গে পালিত হয়। এই বছর জন্মাষ্টমী উৎসব ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ বুধবার। এই বছর জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বহু বছর পর এমন কাকতালীয় ঘটনা ঘটেছে যা খুবই বিরল।

শ্রীমদভাগবত পুরাণ অনুসারে, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ জন্মগ্রহণ করেছিলেন ভাদ্র কৃষ্ণ অষ্টমী তিথিতে, বুধবার, রোহিণী নক্ষত্র ও বৃষ রাশিতে। এই বছরও একই তিথিতে পালিত হবে জন্মাষ্টমী। পঞ্চাঙ্গ মতে, ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে শ্রী কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী পালিত হয়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে জন্মাষ্টমীতে উপবাস করলে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আশীর্বাদ পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে ভক্তদের জীবন থেকে সব কষ্ট দূর হয়ে যায়। শ্রীকৃষ্ণের আশীর্বাদে নিঃসন্তান নারীরা সন্তান লাভ করে।

জন্মাষ্টমী উপলক্ষে শ্রী কৃষ্ণের ৫৬ ভোগ-

ছোলা, জিলাপি, দই, মাখন, ক্রিম, রসগোল্লা, মাখন, মিশ্রি,

শরবত(৪) ধরনের তার মধ্যে দই, মধু, গোলাপ জল ও ফলের রস, আখ, মরসুমি ফল, মোহন ভোগ, ড্রাই ফ্রুটস, সুজি, মালপোয়া, তালের বড়া, দই চিঁড়ে,

ফিরনি, লুজি, সাদা ভাত, পোলাও, খিচুড়ি, মিষ্টি ভাত, ঘি ভাত, দই ভাত, ঘি, লেবু এবং লবণ দেওয়া জল ভাত,

লাড্ডু, শাক, আধা আচার, ক্ষীর, খাজা, গজা, স্যুপ, চাটনি, তরকারি, দই সবজির তরকারি, রাবড়ি, পাপড়, গরুর ঘি, সিরা, লস্যি, সুভাত, মোহন, সুপারি, এলাচ, ফল, পিঠাপুলি ৫ রকমের, জগবল্লভ, মন্ডা, রস বড়া, পয়েস, খোয়া ক্ষির, ডাল তিন রকমের, গন্ধ লেবু সঙ্গে শাক ৩ রকমের শাক ভাজা, মোচার ঘন্ট,

৫৬টি ভোগ নিবেদনের প্রথা কীভাবে শুরু হয়?

কিংবদন্তি অনুসারে, মা যশোদা শৈশবে গোপালকে দিনে 8 বার খাওয়াতেন। একবার গ্রামে বৃষ্টির জন্য ইন্দ্রদেবকে খুশি করার জন্য নন্দবাবা ও সকলে মিলে একটি বড় অনুষ্ঠানের আয়োজন করছিলেন। গোপাল এই ঘটনার কথা জানতে পেরে বললেন, যদি বৃষ্টির জন্য পুজো করতে চান, তবে ইন্দ্রদেব নয়, গোবর্ধন পর্বতের পুজো করুন, এতে ফল-মূল শাক-সবজি পাওয়া যায় এবং পশুরা চারণ পায়।

গোপাল সাত দিন না খেয়ে বেঁচে ছিলেন

সবাই মিলে ইন্দ্রদেবের পরিবর্তে গোবর্ধন পর্বতের পূজা শুরু করলেন। ক্রোধে ইন্দ্রদেবের উপর বর্ষণ করলেন। চারিদিকে বন্যা হয়ে গেল, তারপর কৃষ্ণ সমগ্র গোবর্ধন পর্বতকে এক আঙুলে তুলে সবাইকে রক্ষা করলেন। সাতদিন না খেয়ে গোপাল এই অবস্থায় পড়ে রইল। এর পর মাতা যশোদা ও সমস্ত গ্রামবাসী কিশোর গোপালের জন্য বেশ কিছু খাবার তৈরি করে সাত দিন দিনে চার বার করে খাওলেন। সেই থেকে এই প্রথা চলে আসছে।