সংক্ষিপ্ত

শ্রী কৃষ্ণের পূজার জন্য কিছু উপকরণ থাকা বাধ্যতামূলক, এগুলো ছাড়া পূজা অসম্পূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। আসুন জেনে নিন কৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর পূজার উপকরণ এবং শুভ সময়।

 

Janmashtami 2023: এই বছর কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী দুই দিন পালিত হবে। অনেকেই ৬ সেপ্টেম্বর তারিখে এবং বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের লোকেরা ৭ সেপ্টেম্বর তারিখে জন্মাষ্টমী উদযাপন করবে। জন্মাষ্টমীর দিন, শ্রী কৃষ্ণের জন্মবার্ষিকী শুধু ভারতেই নয়, বিদেশেও ধুমধাম করে পালিত হবে। এই দিনে নিয়ম-কানুন মেনে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শিশুরূপের পূজা করা হয়। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে জন্মাষ্টমীর দিন উপবাস করে মধ্যরাতে লাড্ডু গোপালের পুজো করলে মানুষের যাবতীয় কষ্ট দূর হয় এবং ধন, সুখ ও সমৃদ্ধির আশীর্বাদ পাওয়া যায়। শ্রী কৃষ্ণের পূজার জন্য কিছু উপকরণ থাকা বাধ্যতামূলক, এগুলো ছাড়া পূজা অসম্পূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। আসুন জেনে নিন কৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর পূজার উপকরণ এবং শুভ সময়।


কৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর পূজা সমগ্রী-

গোপালের মূর্তি, দোল বা সিংহাসন, ময়ূরের পালক, বাঁশি, গরুর মূর্তি, বৈজয়ন্তীর মালা।

লাল কাপড়, তুলসী পাতা, গয়না, মোটা মুকুট, শসা, রোলি, গোপী চন্দন

কুমকুম, হলুদ, আতপ চাল, সপ্তধন, গহনা, তুলা, তুলসীর মালা, আবির

সপ্তমৃতিকা, সুগন্ধি, ঘট, প্রদীপ, ধূপ, ফল, হলুদ কাপড়

মাখন, মিছরি, নৈবেদ্য বা মিষ্টি, ছোট এলাচ, লবঙ্গ, ধূপকাঠি, কর্পূর

অভিষেকের জন্য জাফরান, নারকেল, তামা বা রূপার পাত্র, পঞ্চামৃত, ফুল, কলা পাতা

কুশ ও দূর্বা, পঞ্চমেব, গঙ্গাজল, মধু, চিনি, সুপারি, পান, সিঁদুর।

গণেশকে নিবেদনের জন্য পোশাক ও লাড্ডু


কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী ২০২৩ মুহুর্ত-

শ্রী কৃষ্ণ পূজার সময় - ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১ টা ৫৭ মিনিট- ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২ টা ৪২ মিনিট।

রোহিণী নক্ষত্র- ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৯ টা ২০ মিনিট - ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০ টা ২৫ মিনিট।

জন্মাষ্টমী উপবাসের সময় - ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, সকাল ৬ টা ২ মিনিট পরে


আরও পড়ুন- জন্মাষ্টমীতে রাশি অনুযায়ী সাজান গোপাল-কে, জীবনে আশীর্বাদ বর্ষণ হবে

আরও পড়ুন-  যে নক্ষত্রে শ্রী কৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল সেই একই বিরল যোগে এই বছর ৬ সেপ্টেম্বর পালিত হবে জন্মাষ্টমী


জন্মাষ্টমী পূজার নিয়ম

শাস্ত্রমতে, শ্রী কৃষ্ণের জন্ম ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে, রোহিণী নক্ষত্রের সময় ও রাতে। তাই জন্মাষ্টমীর রাতে শুভ কালে গোপালকে জন্ম দিন।

গোপালের জন্মবার্ষিকীতে রাতে শসা কাটতে হবে। এটা বিশ্বাস করা হয় যে এর ফলে শ্রী কৃষ্ণ ঘরে থাকেন। বংশ বৃদ্ধিতে কখনই কোনও সমস্যা হয় না।

মাখন-মিশ্রী নিবেদন ছাড়া গোপালের পূজা অসম্পূর্ণ বলে মনে করা হয়। এছাড়াও, রাতে পুজোর আগে গোপালকে সঠিকভাবে সাজান। তাদের নতুন পোশাক পরিয়ে দিন। সুগন্ধি ফুল দিয়ে সাজান।

জন্মাষ্টমীতে যারা উপবাস করেন তাদের দিনে একবার ফল খাওয়া উচিত। রাতে ব্রত পালনের পরের দিন সূর্যোদয়ের সময় উপবাস ভঙ্গ করতে হয়।