সংক্ষিপ্ত
জয়া একাদশীর দিন ভগবান বিষ্ণুর আশীর্বাদ পেতে কী কী পদ্ধতি মেনে চলা উচিত।
মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের একাদশীতে উপবাস রেখে পালিত হয় ‘জয়া একাদশী’ । বিশ্বাস করা হয় যে, জয়া একাদশীর উপবাস পালন করলে এবং আচার অনুযায়ী ভগবান বিষ্ণুর পূজা করলে মানুষের সমস্ত পাপ মোচন হয়। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে এই একাদশীতে স্নান, দান ও পূজা করলে অশ্বমেধ যজ্ঞের সমান ফল পাওয়া যায়। আসুন জেনে নেওয়া যাক এ বছর জয়া একাদশী কবে এবং এর পূজা পদ্ধতি কী। জ্যোতিষী পঙ্কজ পাঠক জানিয়েছেন জয়া একাদশীর দিন ভগবান শ্রী হরির আশীর্বাদ পেতে কী কী পদ্ধতি মেনে চলা উচিত।
-
অভাব-অনটন দূর হবে:
জয়া একাদশীর দিন মহিলাদের লাল কাপড় পরা উচিত। সেই কাপড়ে তুলসী পাতা মুড়ে ঘরে রাখুন। তারপর পুজোর সময় সেই পাতাগুলি দেবী লক্ষ্মী ও ভগবান বিষ্ণুর পায়ে নিবেদন করুন। তারপরে, তুলসী পাতা সহ একটি মুদ্রা নিন, এটি একটি লাল কাপড়ে মুড়িয়ে নিজের টাকা রাখার জায়গায় রেখে দিন। এই কাজ আপনাকে আর্থিক দিক থেকে বিপুল সমৃদ্ধশালী করে তুলবে।
বিবাহিত জীবনের প্রতিকার:
জ্যোতিষীর মতে, জয়া একাদশীর দিন বিয়ের ছোট ছোট জিনিসপত্রগুলি একসঙ্গে একটি লাল কাপড়ে মুড়ে রাখতে হবে। তারপরে এটি ভগবান বিষ্ণু এবং মা লক্ষ্মীকে নিবেদন করুন। এরপর সেই জিনিসগুলি কাপড়সহ মুড়ে একটা কলাগাছের সঙ্গে বেঁধে দিন। এই দিনে এই কাজ করলে আপনার বৈবাহিক জীবনের সমস্ত অশান্তি ও বিবাদ দূর হবে। যাঁদের প্রেমের সম্পর্কে গোলযোগ চলছে, তাঁদের সম্পর্কের মধ্যে সম্প্রীতি ও ভালোবাসা বৃদ্ধি পাবে।
অশান্তি মুক্তি:
এই দিনে ভগবান বিষ্ণুর পূজা করার সময় তাঁকে গাঁদা ফুল বা মালা অর্পণ করুন। তারপর গাঁদা ফুলগুলি একটি হলুদ কাপড়ে বেঁধে পূর্ব দিকে রাখুন। এর দ্বারা ঘরের অশান্তি সৃষ্টিকারী ত্রুটি দূর হবে। এছাড়াও, আপনার বাড়িতে পারিবারিক শান্তি থাকবে। এর পাশাপাশি নেতিবাচকতাও ঘর থেকে দূরে যেতে শুরু করবে।
আরও পড়ুন-
২০ নাকি ২১ ফেব্রুয়ারি, এবছর জয়া একাদশীর শুভ সময় কখন? জেনে নিন পুজোর তারিখ