সংক্ষিপ্ত

 

পুরাণ অনুযায়ী প্রদোষ ব্রত- প্রাচীন বিশ্বাস অনুযায়ী এটি প্রদোষের সময়। অর্থাৎ ভগবান শিব বিশ্বজগতের সুখের জন্য এই সময় ডামরু বাজিয়ে নৃত্য করেছিলেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন দেবতারা। তারা সকলেই মুগ্ধ হয়েছিলেন শিবের নৃত্যতে।

প্রদোষ ব্রত- এই বিষয় নিয়ে অনেক মানুষেরকৌতুহল রয়েছে। জ্যোতিষ অনুযায়ী মনে করা হয় এই ব্রত করলে মাঙ্গলিক দোষ বা কালসর্প দোষ পুরোপুরি কেটে যায়। মানুষের জীবনে উন্নতির পথ প্রসস্থ করে। কথিত রয়েছে প্রদোষ ব্রত পালন করলে আর উপবাস করলে কালসর্প আর মাঙ্গলিক দোষ থেকে মুক্তি পেতে পারেন সংশ্লিষ্টরা।

পুরাণ অনুযায়ী প্রদোষ ব্রত- প্রাচীন বিশ্বাস অনুযায়ী এটি প্রদোষের সময়। অর্থাৎ ভগবান শিব বিশ্বজগতের সুখের জন্য এই সময় ডামরু বাজিয়ে নৃত্য করেছিলেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন দেবতারা। তারা সকলেই মুগ্ধ হয়েছিলেন শিবের নৃত্যতে। এটিকে ত্রাণ কর্তা হিসেবেও অনেকে মনে করেন। মোটকথা এই ব্রত পালন করলে শিবের আশীর্বাদ পাওয়া যায় বলেও অনেকে মনে করেন।

গুরু প্রদোষ ব্রতর তিথি

প্রতি মাসে দুটি ত্রয়োদশী অর্থাৎ প্রদোষ উপবাস হয়। একটি কৃষ্ণপক্ষে, অন্যটি শুক্লপক্ষে। এবছরের দ্বিতীয় প্রদোষ ব্রত পালিত হবে আগামী ১৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার। চলতি মাসে প্রদোষ ব্রত বৃহস্পতিবার পড়ায় একে গুরু প্রদোষ ব্রত বলা হয়। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উপবাস রাখলে সুখ আর সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়।

প্রদোষ ব্রতর সময়

মাঘ কৃষ্ণপক্ষের ত্রয়োদশী ১৯ জানুয়ারী দুপুর ১টা ২০ মিনিটে থেকে শুরু হচ্ছে, পরের দিন অর্থাৎ ২০ জানুয়ারী সকাল ১০টা ২ মিনিটে শেষ হচ্ছে। প্রদোষ ব্রত সন্ধ্যায় পূজা করা হয়, তাই এই ব্রতটি শুধুমাত্র ২০ জানুয়ারি পালন করা হবে। ১৯জানুয়ারী, বিকাল ৫টা ৪৯ থেকে রাত ৮টা ৩০ পর্যন্ত পুজো করা যেতে পারে।

প্রদোষ ব্রত গুরুত্ব

প্রাচীন বিশ্বাস অনুযায়ী এই সময় উপবাস করলে পাপ মুক্ত হওয়া যায়। মোক্ষ লাভের পথ প্রসস্থ হয়। বিবাহিত জীবনের সমস্যা দূর হয়। রোগ,শোক দূর হয়। শিব আর পার্বতীর আরাধনা করলে রাশিফল থেকে কালসর্প ও মাঙ্গলিক দোষ দূর হয়।

প্রদোষ ব্রত পালনের নিয়ম

১. সূর্যদয়ের আগে ঘুম উঠুন। স্নান সেরে পরিচ্ছন্ন পোশাকে শিব আর পার্বতীর ধ্যান করুন। সন্ধ্যায় পুজোর আগে স্নান করুন। দিনভর উপবাস থাকা শ্রেয়।

২. শাস্ত্র অনুসারে প্রদোষকালে ভগবান শিবের পুজো শুভ।

৩. প্রথমে শুদ্ধ জলে তারপ পঞ্চামৃত দিয়ে শিবের অভিষেক করতে হবে।

৪. প্রদোষ ব্রত পাঠ করার পর ভগবান শিবের অরতি করতে হবে।

৫. উপাসনার ত্রুটির জন্য শিবপার্বতীর কাছে অবশ্যই ক্ষমা চাইবেন।

৬. ভক্কদের মধ্যে পুজোর প্রসাদ বিতরণ করুন। তারপর সেটি নিজে গ্রহণ করুন।