দেবী দুর্গা ও মহাদেবের পুত্র দেবসেনাপতি কার্তিকের আরাধনায় সংসারে আর্থিক উন্নতি, যশ ও সন্তান লাভ হয়। শাস্ত্র মতে, এই বছর কার্তিক পুজো পড়েছে ১৬ নভেম্বর, রবিবার, যেদিন সূর্য তুলা রাশি থেকে বৃশ্চিক রাশিতে গমন করবে। 

কথায় আছে বাঙালির ১২ মাসে ১৩ পার্বন। পরের পর চলছে উৎসব। দুর্গাপুজো, কালীপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো সম্পন্ন হয়েছে। এবার কার্তিক পুজোর পালা। দেবী দুর্গা ও দেবাদিদেব মহাদেবের পুত্র হলেন দেবসেনাপতি কার্তিক। দেবসেনাপতি কার্তিক পৌরাণিক দেবতা। হিন্দু বিশ্বাস মতে, দেবসেনাপতি কার্তিকের আধারনায় পুত্রসন্তান লাভ হয়। প্রচলিত আছে এমনই ধারণা। শুধু পুত্রসন্তান লাভ নয়, সন্তান লাভের জন্য আরাধনা করা হয় কার্তিকের। তেমনই সংসারের সদস্য বৃদ্ধির সঙ্গে ধনসম্পত্তিও বৃদ্ধি হয়। সংসারের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন সফলতা প্রাপ্ত হয়। আয়ের উন্নতি হয়। কার্তিকের সঙ্গে বীরত্বের সম্পর্ক থাকার কারণে দেবসেনাপতির আরাধনায় যশ ও বল প্রাপ্তি ঘটে। শাস্ত্র মতে, কার্তিকের পুজো-আরাধনায় মঙ্গল গ্রহের সুফল দানের ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।

শাস্ত্র মতে, কার্তিক পুজো সূর্যের গতির ওপর নির্ভরশীল। সূর্য যখন রাশি পরিবর্তন করে তুলা থেকে বৃশ্চিক রাশিতে যায়, সেই দিন অর্থাৎ কার্তিক মাসের শেষ দিন হয় কার্তিক পুজো। এবার ১৬ নভেম্বর পড়েছে কার্তিক পুজো। এই দিন ভারতীয় সময় দুপুর ১টা ৩৮ মিনিটে সূর্য রাশি পরিবর্তন করে তুলা রাশি থেকে বৃশ্চিক রাশিতে গমন করবে।

বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা অনুসারে কার্তিক পুজোর দিনক্ষণ জেনে নিন-

বাংলা- ৩০ কার্তিক, রবিবার।

ইংরেজি- ১৬ নভেম্বর, রবিবার।

শ্রী শ্রী কার্তিক পুজো।

গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা অনুসারে কার্তিক পুজোর দিনক্ষণ জেনে নিন-

বাংলা- ২৯ কার্তিক, রবিবার।

ইংরেজি- ১৬ নভেম্বর, রবিবার।

শ্রী শ্রী কার্তিক পুজো।

এই তিথি মেনে ঘরে ঘরে পুজিত হবেন কার্তিক। সন্তান লাভ থেকে আর্থিক উন্নতি- এই সব কারণে ঘরে ঘরে কার্তিকের পুজো করা হয়। বিশেষ তিথিতে সঠিক নিয়ম মেনে পুজো করা হয় দেবসেনাপতির।