সংক্ষিপ্ত

এবার যেহেতু পূর্ণিমায় চন্দ্রগ্রহণ হয়, তাই পূর্ণিমা সংক্রান্ত কাজগুলি গ্রহণের একদিন আগে বা সন্ধ্যায় করা যেতে পারে। কার্তিক পূর্ণিমায় স্নান ও দান করার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।

বছরের শেষ চন্দ্রগ্রহণ হচ্ছে ৮ নভেম্বর, এটি হবে এ বছরের দ্বিতীয় চন্দ্রগ্রহণ। চন্দ্রগ্রহণ সবসময় পূর্ণিমা তিথিতে হয়। এ বছর এই তারিখ ৮ই নভেম্বর। ভারতীয় সময় অনুযায়ী, এটি ৮ নভেম্বর দুপুর ১.৩২ মিনিট থেকে ৭.২৭ মিনিট পর্যন্ত হবে। দীপাবলির দ্বিতীয় দিনে সূর্যগ্রহণের পর এবার পালা বছরের শেষ চন্দ্রগ্রহণের। চলুন জেনে নেওয়া যাক সূতকের সময়, কোথায় দেখা যাবে চন্দ্রগ্রহণ, কী প্রভাব পড়বে চন্দ্রগ্রহণের, সে সম্পর্কে।

এবার যেহেতু পূর্ণিমায় চন্দ্রগ্রহণ হয়, তাই পূর্ণিমা সংক্রান্ত কাজগুলি গ্রহণের একদিন আগে বা সন্ধ্যায় করা যেতে পারে। কার্তিক পূর্ণিমায় স্নান ও দান করার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এছাড়াও পূর্বপুরুষদের আত্মার শান্তির জন্য এই দিনে প্রদীপ দান করা হয়। এ বার দুই দিন প্রদীপ দান হতে পারে। পণ্ডিতদের মতে, ছয়ই নভেম্বর সন্ধ্যায় চতুর্দশী হওয়ায় ৬ থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত প্রদীপ দান করা যেতে পারে। পূর্ণিমা তিথিতে গ্রহণ থাকায়, গঙ্গাস্নানও করা যেতে পারে এদিন সকালে।

কার্তিক পূর্ণিমায় পূর্বপুরুষদের আত্মার শান্তির জন্য করতে চাইলে ৬ নভেম্বর সন্ধ্যা পর্যন্ত দীপদান করা যেতে পারে। কারণ ৬ নভেম্বর বিকেল ৪.২৭ মিনিটে চতুর্দশী হবে। যা পরের দিন ৭ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৪টা পর্যন্ত থাকবে। তাই প্রয়াতদের শান্তির জন্য ৬ নভেম্বর সন্ধ্যা থেকে ৭ তারিখ সন্ধ্যা পর্যন্ত একটি প্রদীপ দান করা যেতে পারে।

পূর্ণিমা আসছে ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায়, তবে স্নান হয় সকালে। আসলে পূর্ণিমার ৯ ঘণ্টা আগে চন্দ্রগ্রহণের সুতক হয়। সকাল ৬.৩৯ থেকে সূতক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। চন্দ্রগ্রহণ হয় দুপুর ২.৩৯ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৬.১৯ মিনিট পর্যন্ত। তাই 9 নভেম্বর গঙ্গা স্নান করতে পারেন।

চন্দ্রগ্রহণের তারিখ: ৮ই নভেম্বর ২০২২

গ্রহন - বিকেল ৫.৩২ মিনিট থেকে

গ্রহন শেষ - বিকেল ৬.১৮ মিনিট

সকাল ৯.২১ থেকে শুরু হবে সুতক কাল

সূতকের সমাপ্তি: সন্ধ্যা ৬.১৮

দ্বিতীয় চন্দ্রগ্রহণ কোথায় দেখা যাবে?

পৃথিবী যখন চাঁদ ও সূর্যের মাঝখানে আসে তখন চন্দ্রগ্রহণ হয়। এই অবস্থায় পৃথিবীর ছায়া চাঁদের আলোকে ঢেকে দেয়। ২০২২ সালের দ্বিতীয় চন্দ্রগ্রহণ ভারতসহ দক্ষিণ, পূর্ব ইউরোপ, এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, প্রশান্ত মহাসাগরীয়, আটলান্টিক এবং ভারত মহাসাগরে দৃশ্যমান হবে। এই চন্দ্রগ্রহণের প্রভাব পড়বে ভারতেও।