সংক্ষিপ্ত
বাংলা বছরের দশম মাস মাঘ। পাশাপাশি রাশিচক্রের পঞ্চম রাশি সিংহ। এই রাশির অধিকর্তা গ্রহ রবি। এই রাশির জাতক-জাতিকারা একটু চঞ্চল প্রকৃতির হয়ে থাকে। জেনে নেওয়া যাক বছরের দশম মাস সিংহ রাশির উপর কেমন প্রভাব ফেলবে-
মাঘ বাংলা মাসের দশম মাস। এই মাসের আরেক নাম মাঘা। মাঘ বাংলা সনের দশম মাস এবং ভারতীয় রাষ্ট্রীয় শকাব্দের একাদশ মাস। বাংলা মাঘ এবং শকাব্দের "মাঘা" নামটি এসেছে মঘা নক্ষত্রে সূর্যের অবস্থান থেকে। পাশাপাশি রাশিচক্রের পঞ্চম রাশি সিংহ। এই রাশির অধিকর্তা গ্রহ রবি।
সিংহ রাশি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ, জেদি, পরাক্রমশীল, গম্ভীর ও দয়াবান হয়। বৃশ্চিক, মীন, সিংহ ও মেষ রাশির নর নারির সঙ্গে বন্ধুত্ব বা বিবাহ সুখের হবে। নিজের চেষ্টায় জীবনে উন্নতি করে। লাল বা হলুদ রঙের দ্রব্যের ব্যবসা করলে শুভ। এই রাশির ব্যক্তিরা প্রায়ই দৈহিক সৌন্দর্য যুক্ত হয়ে থাকে। উচ্চ রক্তচাপ, চোখের রোগ, পেটের রোগে ভোগান্তি হয়। সাধারণত শান্ত কিন্তু রেগে গেলে হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পরে। এরা যে কোনও কাজে ঘনঘন মত পাল্টালে জাতকের ভাল হবে না। তবে জেনে নেওয়া যাক মাঘ মাস সিংহ রাশির উপর কেমন প্রভাব ফেলবে-
মাঘ মাসে সিংহ রাশির সম্পত্তি নিয়ে বাড়িতে অশান্তি দেখা দিতে পারে। নতুন কোনও কাজের সন্ধান পেতে পারেন। গুরুজনদের সঙ্গে ব্যবসা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। সামাজিক সম্মান লাভ করতে পারেন। শারীরিক কোনও সমস্যার জন্য কাজের ক্ষতি হতে পারে। কাজের ক্ষেত্রে উচ্চপদস্থ ব্যক্তির সাহায্য পাবেন। শিল্পীদের জন্য এই মাসটি অত্যন্ত শুভ। মামলা মোকদ্দমা চলতে থাকলে এই মাসেই সাফল্য পাবেন। বারতি আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। আপনার ব্যবহারে ফলে কর্মস্থানে বিবাদের সৃষ্টি হতে পারে। মনে বিষন্নভাব বাড়তে পারে। সামাজিক সম্মান ও প্রতিপত্তি বৃদ্ধি পেতে পারে। ভোগবিলাসের জন্য খরচ বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন- ব্যবসায় উন্নতির যোগ রয়েছে, মাঘ মাস কেমন প্রভাব ফেলবে বৃষ রাশির উপর
আরও পড়ুন- বিবাহিত জীবনে অশান্তির আশঙ্কা রয়েছে, মাঘ মাস কেমন প্রভাব ফেলবে মেষ রাশির উপর
জ্যোতিষশাস্ত্রের একটি বিভাগ দেশ, রাজ্য, শহর, গ্রাম ইত্যাদির এবং প্রাকৃতিক ঘটনাবলীর যেমন বৃষ্টি, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, ভূমিকম্প, ঝড়, ঝঞ্ঝা, মহামারী বা প্লাবণের ভবিষ্যদ্বাণী করতেও ব্যবহৃত হয়। জাতকের জন্মসময়, তারিখ এবং জন্মস্থানের ভিত্তিতে, জন্মকালে মহাকাশে গ্রহের অবস্থান নিরুপণ করে অথবা প্রশ্নের সময় গ্রহাদির অবস্থান নির্ণয় করে, অথবা হস্তরেখাবিচার, শরীরের চিহ্নবিচার ইত্যাদি বিভিন্ন পদ্ধতির ব্যবহারে প্রশ্নকর্তার ভবিষ্যতের গতিপ্রকৃতি নির্ধারণ করার জ্ঞান ও পদ্ধতিকে জ্যোতিষশাস্ত্র বলা হয়।