সংক্ষিপ্ত
রবি ও শোভন যোগের মাহেন্দ্র ক্ষণে হবে মাঘ পূর্ণিমার উপবাস । জেনে নিন পূর্ণিমা পূজার পদ্ধতি, শুভ সময় ও চন্দ্র দর্শনের সঠিক সময়।
প্রতি মাসে একবার পূর্ণিমা আসে। পূর্ণিমার দিনটি দেবী লক্ষ্মীকে উৎসর্গ করা হয়। এই দিনে, ভগবান বিষ্ণু, দেবী লক্ষ্মী এবং চন্দ্র দেবতার পূজা করার প্রথা রয়েছে। মাঘ পূর্ণিমায় পূর্ণ ভক্তি সহকারে ভগবান বিষ্ণু ও মা লক্ষ্মীর পূজা করলে সুখ ও সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায় বলে বিশ্বাস করা হয়।
তাই আসুন জেনে নেই মাঘ পূর্ণিমা পূজার পদ্ধতি, শুভ সময় ও চন্দ্র দর্শনের সময় –
রবি ও শোভন যোগের মাহেন্দ্র ক্ষণে হবে মাঘ পূর্ণিমার উপবাস । এই যোগ ব্রত এবং উপবাস পালনকারীদের জন্য অত্যন্ত সৌভাগ্য বহনকারী বলে বিশ্বাস করা হয়।
মাঘ মাসের পূর্ণিমা তিথি ২৩ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩ টে বেজে ৩৩ মিনিট থেকে শুরু হবে এবং পরের দিন অর্থাৎ ২৪ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৫ টা বেজে ৫৯ মিনিটে শেষ হবে।
উদয় তিথিকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়।
এমন পরিস্থিতিতে উদয় তিথি অনুসারে ২৪ ফেব্রুয়ারি মাঘ পূর্ণিমা পালিত হয়।
মাঘ পূর্ণিমার উপোস করে সকালে স্নান করার পর ভগবান সত্যনারায়ণের কথা পড়া উচিত। সূর্যাস্তের পর প্রদোষকালে দেবী লক্ষ্মীর পূজা করা হবে, এই সময়ে ঘরে ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালুন। এরপর রাতে চাঁদের পূজার পাশাপাশি দুধ, জল, প্রসাদ ও ফুল দিয়ে অর্ঘ্য নিবেদন করুন। চন্দ্রকে অর্ঘ্য নিবেদনের পর চন্দ্র মন্ত্র জপ করে বাতাশা বা ক্ষীর চন্দ্র দেবতাকে নিবেদন করুন।
সম্পদ এবং সমৃদ্ধি অর্জনের জন্য, মাঘ পূর্ণিমার ব্রত পালন করুন এবং দেবী লক্ষ্মীর পূজা করুন। পদ্মফুল, লাল গোলাপ, কমলগট্ট, শঙ্খের খোসা, হলুদ কড়ি, দুধের সাদা মিষ্টি, বাতাসা ইত্যাদি নিবেদন করে তাঁর পূজা করুন। সেই সময় লক্ষ্মীর পাঁচালি চালিসা, শ্রী সুক্ত ও কনকধারা স্তোত্র পাঠ করতে হবে। এতে ধন-সম্পদ বৃদ্ধি পায়। দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদের জন্য আপনার মহালক্ষ্মী মন্ত্র জপ করা উচিত।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।