সংক্ষিপ্ত
অর্থকষ্ট থেকে শুরু করে দাম্পত্যে ভাঙন, সমস্ত ধরনের সমস্যার প্রতিকার মিলতে পারে এই ফাল্গুন মাসে।
ফাল্গুন মাসেই আসে বসন্ত কাল। হয় নতুন সৃষ্টি ও শক্তির উদ্ভব। এই মাসে আবহাওয়া থাকে অত্যন্ত মনোরম , পরিবেশের চারিদিকে যৌবনের মতো পরিস্ফুটন। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেও ফাল্গুন মাস অত্যন্ত শুভ একটি মাস।
ভগবান শিব, শ্রী কৃষ্ণ এবং চন্দ্র দেবের পুজোর মাস হল ফাল্গুন। দোল বা মহাশিবরাত্রির মতো আনন্দের উত্সবগুলিও এই মাসেই পালন করা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে, যেসমস্ত মানুষ খুব দুঃখ-দুর্দশায় ভুগছেন বা যাঁরা আর্থিকভাবেও অত্যন্ত পীড়িত এবং দুশ্চিন্তাগ্রস্ত, তাঁরা যদি এই মাসে বেশ কিছু প্রতিকারের পথ অবলম্বন করেন, তাহলে অতি শীঘ্রই তাঁদের ভাগ্য সুপ্রসন্ন হবে এবং সমস্ত রকমের দুর্দশা ঘুচে যাবে।
ফাল্গুন মাসে এই বিশেষ নিয়মগুলি মেনে চললে ঘুমন্ত ভাগ্য জেগে ওঠে। এই মাসে ভগবান শ্রী কৃষ্ণ, বিষ্ণু দেবতা এবং চন্দ্র দেবের পুজো করলে বিশেষ ফল পাওয়া যায় বলে বিশ্বাস করা হয়। সন্তান লাভের জন্যও এই মাসটি সহযোগী হতে পারে। এই মাসে শিশুরূপী ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে পুজো করলে নিঃসন্তানরাও সন্তান লাভ করে থাকেন।
-
ফাল্গুন মাসে শ্রী কৃষ্ণের পুজো করলে বিশেষ ফল পাওয়া যায়। সন্তান লাভের ইচ্ছা থাকলে গোপালের পুজো করুন। প্রেম এবং শান্তি লাভ করার জন্য, শ্রী কৃষ্ণের পুজো করুন। অপরদিকে, জ্ঞান ও বৈরাগ্যের জন্য ফাল্গুন মাসে গীতা প্রচারকারী কৃষ্ণের পুজো করা উচিত। পুজোয় সুগন্ধি ফুল ব্যবহার করুন এবং সারা মাস দেবতার পায়ে আবীর অর্পণ করুন।
-
দাম্পত্য কলহ বা আত্মবিশ্বাসে বাধা দূর করার জন্য, এমনকি স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলেও ফাল্গুন মাসে ভগবান শিবের পুজো করা উচিত। সমগ্র ফাল্গুন মাস জুড়ে মহাদেবের পায়ে শ্বেত চন্দন নিবেদন করতে পারেন।
-
আর্থিক দিক থেকে যাঁরা খুবই কষ্টে ভুগছেন, তাঁদের এই মাসে মা লক্ষ্মীর পুজো করা উচিত। সারা মাস জুড়ে দেবীর পায়ে সুগন্ধি দ্রব্যাদি এবং ফুল অর্পণ করুন। গোলাপ ফুলও নিবেদন করতে পারেন।