সংক্ষিপ্ত
প্রধান দরজা কোন দিকে বা কী ভাবে থাকা উচিত এবং সেটিতে কেমন ধরনের রং করা দরকার, তার জন্য কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম পালন করা অবশ্য কর্তব্য।
বাড়ির দরজা আপনার বাড়িতে আগত মানুষজন বা বাড়ি থেকে শুভ কাজে বেরোনোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাস্তু শাস্ত্র মতে, বাড়ির প্রধান দরজাই মানুষের সৌভাগ্য বা দুর্ভাগ্যের অন্যতম কারণ। প্রধান দরজা কোন দিকে বা কী ভাবে থাকা উচিত এবং সেটিতে কেমন ধরনের রং করা দরকার, তার জন্য কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম পালন করা অবশ্য কর্তব্য। জেনে নিন সেই নিয়মগুলি।
১) কালো রং বাড়ির ভেতরে অশুভ শক্তির প্রবেশ ঘটাতে পারে। বাড়ির সিংহদরজায় কখনও কালো রং ব্যবহার করবেন না।
২) খুব গাঢ় উজ্জ্বল রঙের দরজা বাড়ির অন্দরে নেতিবাচক শক্তির প্রভাব ফেলে। দরজায় গাঢ় রং করা থেকে বিরত থাকুন।
৩) গাঢ় উজ্জ্বল রঙের মূল দরজায় যেকোনও হালকা রং ব্যবহার করুন। খয়েরি, বাদামি, আকাশি, হালকা হলুদ, ইত্যাদি রং ব্যবহার করতে পারেন।
৪) মূল দরজার মুখ থাকা উচিত উত্তর, পূর্ব বা পশ্চিম দিকে। এই দিকগুলি সর্বদা ইতিবাচক শক্তির প্রবেশ ঘটায়। সিংহদুয়ার যদি বাইরের দিকে দক্ষিণ-পশ্চিম, দক্ষিণ, উত্তর-পশ্চিম বা দক্ষিণ-পূর্ব দিকে মুখ করা থাকে, তাহলে তা নেতিবাচক শক্তি বয়ে আনতে পারে।
৫) দরজার দোষ কাটাতে প্রত্যেকদিন সন্ধ্যায় দরজার পাশে একটি করে ঘিয়ের প্রদীপ জ্বেলে রাখলে তা ঘরের অন্দরে সৌভাগ্য বয়ে নিয়ে আসবে।
৬) সন্ধের পর থেকে বাড়ির প্রধান দরজায় অবশ্যই আলো জ্বেলে রাখুন। অন্ধকার প্রবেশপথ বাড়ির মধ্যে অশুভ শক্তির প্রবেশ ঘটাতে পারে।
৭) ঘরে ঢোকার মুখে সিংহদুয়ারের একেবারে ভেতরেই কক্ষণোও সিঁড়ি বা লিফটের অবস্থান থাকা উচিত নয়। এর ফলে ঘরের সমস্ত কুপ্রভাব শক্তি বৃদ্ধি করে।
৮) আপনার বাড়ির প্রধান ফটক যদি সিঁড়ির ওপরে থাকে, তাহলে সিঁড়ির সংখ্যা বিজোড় সংখ্যায় থাকা উচিত। একটি, তিনটি, পাঁচটি বা সাতটি, এরকম থাকলে বাড়িতে নেতিবাচক শক্তি প্রবলতা পায় না।
৯) মূল দরজার সামনের অংশ কখনওই আবদ্ধ থাকা উচিত নয়। মূল দরজা আটকে কোনও ডিজাইন অথবা বাধা থাকতে দেবেন না। এতে ইতিবাচক শক্তি ঘরের ভেতর প্রবেশ করতে বাধা পাবে।
১০) বাড়ির যেকোনও এক পাশে মূল দরজা থাকা উচিত। একেবারে মধ্যিখানে থাকলে মূল দরজা অশুভ শক্তিকে প্রাধান্য দেয়।