সংক্ষিপ্ত
বিয়ের আগে কুণ্ডলীতে মঙ্গল গ্রহের অবস্থান দেখতে হবে। মঙ্গল যদি কোনও ব্যক্তির জন্মকুণ্ডলীতে আরোহ, চতুর্থ, সপ্তম, অষ্টম ও দ্বাদশ ঘরে থাকে তবে তাকে মঙ্গল দোষ বা মাঙ্গলিক দোষ বলে।
জ্যোতিষশাস্ত্রে মঙ্গলকে গ্রহের সেনাপতি বলা হয়েছে। এটি একটি অত্যন্ত উগ্র গ্রহ, যা বৃশ্চিক ও মেষ রাশির অধিপতি। বিয়ের আগে কুণ্ডলীতে মঙ্গল গ্রহের অবস্থান দেখতে হবে। মঙ্গল যদি কোনও ব্যক্তির জন্মকুণ্ডলীতে আরোহ, চতুর্থ, সপ্তম, অষ্টম ও দ্বাদশ ঘরে থাকে তবে তাকে মঙ্গল দোষ বা মাঙ্গলিক দোষ বলে।
এছাড়া কোনও কোনও জ্যোতিষীর মতে, মাঙ্গলিক দোষ চন্দ্র আরোহণ, সূর্য আরোহণ ও শুক্র থেকেও দেখা যায় তিন আরোহীতে। এই ধরনের মানুষ, ছেলে হোক বা মেয়ে হোক, বিয়ের আগে মঙ্গল দোষ দূর করার ব্যবস্থা নিতে হবে, অন্যথায় বিবাহিত জীবন সব সময় সমস্যায় ভরপুর থাকে। এটাও বলা হয় যে মঙ্গল দোষযুক্ত ছেলে বা মেয়ের মঙ্গল দোষ আছে এমন ছেলে বা মেয়ের সঙ্গে বিয়ে হওয়া উচিত।
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, মঙ্গল দোষ কিছু লোকের কুণ্ডলীতে ২৮ বছর ধরে থাকে। অন্যদিকে, মেষ, কর্কট, বৃশ্চিক রাশির জাতক জাতিকাদের মঙ্গল দোষ সারাজীবন থাকে না। কুণ্ডলীতে পূর্ণ বা আংশিক মঙ্গল দোষ থাকলে বিয়ের আগে কিছু জ্যোতিষশাস্ত্রীয় প্রতিকার করতে হবে। এই ব্যবস্থাগুলো করলে দাম্পত্য জীবনের সমস্যা কমে যায়।
মঙ্গল দোষ দূর করার প্রতিকার-
ধান পূজা: মাঙ্গলিক দোষ দূর করতে চালের পূজা করা হয়। উজ্জয়নের মঙ্গলনাথ স্থানই একমাত্র স্থান যেখানে ধানের পূজা করা হয়। ধান পুজো করলে এই দোষের অবসান হয়।
কুম্ভ বিবাহ: কুম্ভ বিবাহের অর্থ হল বিয়ের আগে একটি ঘট বা কলসি দিয়ে বিয়ে করা এবং তার পরে কলসটি ভেঙে দেওয়া। তবে এই প্রতিকারগুলি জ্যোতিষীর সঙ্গে পরামর্শ করার পরেই করা হয়।
নিম গাছ লাগানো: বিয়ের আগে একটি নিম গাছ লাগানো এবং অন্তত ৪৩ দিন গাছের যত্ন নিলে মাঙ্গলিক দোষের প্রভাবও কমে।
আরও পড়ুন- ৪২ দিন পর ৪ রাশির জীবনে বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে, গুরুচন্ডাল যোগে ৬ মাস যন্ত্রণা দেবে
আরও পড়ুন- ১৬ মার্চ রাশি পরিবর্তন করছে বুধ, এই ৪ রাশি পাবেন ধন কুবের দেবে-এর আশির্বাদ
আরও পড়ুন- এই রাশিগুলির ৭ মাসে বাম্পার লাভ হবে, 'শনি' পূরণ করবে অপূর্ণ সব ইচ্ছা
সাদা কাজল প্রয়োগ করুন: সবাই কালো কাজল প্রয়োগ করে, তবে ৪৩ দিন ধরে সাদা কাজল প্রয়োগ করলে মঙ্গল দোষ দূর হয়।
অতিথিদের মিষ্টি খাওয়ান: কুণ্ডলীতে মঙ্গল ভারী থাকলে বা মঙ্গল দোষ থাকলে বাড়িতে আগত অতিথিদের মিষ্টি খাওয়ান। এতে মঙ্গল দোষের প্রভাবও কমে।
মঙ্গলবারের প্রতিকার: মঙ্গলবার হনুমান চালিসা পাঠ করুন, বজরঙ্গবলীকে জাফরান রঙ অর্পণ করুন এবং বাড়িতে জাফরান রঙের গণেশ স্থাপন করে নিয়মিত পূজা করুন। মঙ্গল দোষও এর থেকে চলে যায়।