সংক্ষিপ্ত
এই সহজ মন্ত্রগুলি প্রত্যেকদিন পাঠ করলে সমস্ত বিপদসঙ্কুলতা কেটে গিয়ে খুলে যাবে জীবনের নতুন দিশা । অতি সহজেই উন্নতির পথ দেখতে পাবেন জাতক-জাতিকারা।
কখনও অর্থের অভাব, কখনও পারিবারিক অশান্তি, চারিদিক থেকে জীবনের চাপ অনেক সময়েই আমাদের কঠিন অবসাদের দিকে ঠেলে দেয়। নিজের ভাগ্য কবে ফিরবে, এই আশাতেই সারাজীবন অপেক্ষা করে থাকেন মানুষ। কখনও কখনও ভালো সুযোগ এসেও হাতছাড়া হয়ে যায়। এর নেপথ্যে জড়িত থাকে আমাদের গ্রহের ফের। খারাপ সময়েও মানুষকে রক্ষা করতে পারে কয়েকটি বীজ মন্ত্র। এই সহজ মন্ত্রগুলি প্রত্যেকদিন পাঠ করলে সমস্ত বিপদসঙ্কুলতা কেটে গিয়ে খুলে যাবে জীবনের নতুন দিশা । অতি সহজেই উন্নতির পথ দেখতে পাবেন জাতক-জাতিকারা।
১. দুর্গা মন্ত্র: এই মন্ত্রটি পাঠ করলে জীবন হয় আনন্দে পরিপূর্ণ, সমস্ত নেতিবাচক শক্তি সঙ্গ ত্যাগ করে, আটকে যাওয়া কাজ সম্পন্ন হয় এবং খারাপ চিন্তা মন থেকে দূর হয়। মন্ত্রটি হল- 'দেহি সৌভাগ্য়িয়াম আরোগ্যিয়াম দেহি মে পরামম সুখাম কুপম দেহি জায়াম দেহি, যশো দেহি দ্বিখোজাহী।'
-
২. ভগবান গণেশের মন্ত্র: হিন্দু ধর্ম মতে এই মন্ত্রটি প্রত্যেক দিন ১০৮ বার পাঠ করতে পারলে ফল মিলতে বাধ্য। ফিরবে ভাগ্য। বদলে যাবে জীবন। যারা এই সময় খুব দুঃখের মধ্যে আছেন, তারা আজ থেকেই এই মন্ত্রটি পাঠ করা শুরু করুন। মন্ত্রটি হল- 'ওম সৌভাগ্য-বর্ধনাহাহ নমহঃ।' প্রসঙ্গত, মন্ত্রটি পাঠ করার সময় মনে কোনও খারাপ চিন্তা মনে আনবেন না।
৩. ঋদ্ধি সিদ্ধি মন্ত্র: কর্মক্ষেত্রে এবং ব্যবসায় ভাগ্য ফিরিয়ে আনতে এই মন্ত্রটি দারুণ সাহায্যকারী। শুধু তাই নয়, মানুষের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ভালো করতেও এই মন্ত্রটি সাহায্য করে। তাই, যারা দীর্ঘ দিন ধরে কর্মক্ষেত্রে এবং ব্যবসায় নানা বাধার সম্মুখিন হচ্ছেন, তাদের আজ থেকেই এই মন্ত্রটি পাঠ করা আবশ্যক। ঋদ্ধি সিদ্ধি মন্ত্রটি হল- 'সাধক নাম জাপেহী লে লায়েই, হোহি সিদ্ধ আনিমাদিক পেয়ে।'
-
৪. লক্ষ্মী মন্ত্র: অর্থ, যশ, উন্নতি এবং সমৃদ্ধির পথ প্রশস্ত করে মা লক্ষ্মীর এই মন্ত্র। শুধু তাই নয়, সব ধরনের বাধা পেরিয়ে জীবনে যাতে শান্তি আসে, স্থিরতা আসে, সেই দিকেও খেয়াল রাখে। ভক্তদের সার্বিক খুশির চাবিকাঠি হল এই মন্ত্র। প্রসঙ্গত, বুধবার থেকে মন্ত্রটি পাঠ করা শুরু করুন। তবে, তার আগে অবশ্যই মা লক্ষ্মীর পায়ে ফুল নিবেদন করুন, ধুপ -ধূনো জ্বালান। তারপর মন্ত্রটি পাঠ করা শুরু করুন। মন্ত্রটি হল- 'ওম শ্রিম অখন্ড সৌভাগ্য ধন সমৃদ্ধিয়াম দেহি দেহি নামাহ।'