হিন্দু ধর্মে নবরাত্রি সাধনার সময় হওয়ায় এই দিনগুলিতে বিয়ে হয় না। তবে, এই পবিত্র সময়ে দেবী দুর্গার পুজো, বিশেষ মন্ত্র জপ এবং কিছু সহজ প্রতিকার পালন করলে বিয়েতে আসা সমস্ত বাধা দূর হতে পারে। 

হিন্দু ধর্মে নবরাত্রির সময় দেবী দুর্গাকে উৎসর্গ করা হয়। নবরাত্রির সময় দেবী দুর্গার নয়টি রূপের পুজো করা হয় এবং ব্রত রাখা হয়। এই নয় দিনের উৎসবের সময় বিয়ে, বাগদান, নামকরণ এবং গৃহপ্রবেশের মতো শুভ বা মাঙ্গলিক কাজ করা হয় না, কারণ এই সময়টা সাধনার জন্য উৎসর্গীকৃত। তবে, নবরাত্রির সময় বিয়েতে দেরির জন্য কিছু প্রতিকার করা হয়, যা খুব উপকারী বলে মনে করা হয়। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই প্রতিকারগুলো কী কী।

নবরাত্রিতে বিশেষ উপায়

নবরাত্রির সময় বিয়েতে আসা বাধা দূর করার জন্য, আপনি কিছু সহজ উপায় অবলম্বন করতে পারেন যা বিয়েতে দেরি হলে বিশেষভাবে সহায়ক।

সিঁদুর ও শৃঙ্গার: নবরাত্রির সময় স্নান ও ধ্যানের পর দেবী দুর্গাকে সিঁদুর ও শৃঙ্গারের সামগ্রী অর্পণ করুন এবং দ্রুত বিয়ের জন্য প্রার্থনা করুন। সেই সিঁদুর নিজের কপালে লাগান।

লাল ফুল: নবরাত্রির সময়, প্রতিদিন দেবী দুর্গাকে সাতটি লাল বা হলুদ ফুল অর্পণ করুন এবং দ্রুত বিয়ের জন্য প্রার্থনা করুন। ফুলগুলি হাতের তালুতে নিয়ে দ্রুত বিয়ের জন্য প্রার্থনা করুন।

সিঁদুর ও সুপারি: নবরাত্রির সময়, একটি হলুদ কাপড়ে সামান্য সিঁদুর এবং কয়েকটি সুপারি বেঁধে দেবী দুর্গাকে অর্পণ করুন। বলা হয় যে এটি করলে বিয়েতে আসা বাধা দূর হয়।

মন্ত্র জপ: নবরাত্রির সময়, দেবী দুর্গাকে ফুল অর্পণ করার সময় বা হাতের তালুতে ফুল নিয়ে "ওম শ্রীং বর প্রদায় শ্রী নমঃ" মন্ত্র জপ করুন।

কাত্যায়নী মন্ত্র: নবরাত্রির সময়, "ওম কাত্যায়নী মহামায়ে মহাযোগিন্যধীশ্বরী" মন্ত্র জপ করুন। আপনি নবরাত্রির সময় অন্তত তিন দিন সন্ধ্যায় ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালিয়েও এই মন্ত্র জপ করতে পারেন।

কুন্ডলী দোষ: যদি বিয়েতে বাধা আসে, তাহলে রাহু এবং কেতুর কারণে সৃষ্ট গ্রহের দোষ দূর করতে আপনি দুর্গা সপ্তশতী পাঠ করতে পারেন।

হনুমান পুজো: মাঙ্গলিক দোষ দূর করতে হনুমানজির পুজো করুন এবং তাঁকে সিঁদুর অর্পণ করুন। আপনি তাঁকে গুড়ের লাড্ডুও নিবেদন করতে পারেন।

নবরাত্রির সময় দেবী দুর্গার পুজো ও ব্রত পালন করলে বিয়ে সংক্রান্ত সমস্ত বাধা দূর হয়। নবরাত্রি ভক্তি ও আধ্যাত্মিকতার সময়, তাই বিয়ের পরিবর্তে এই সময় বিয়ের জন্য পূজা ও ব্রত করা শুভ বলে মনে করা হয়।