সংক্ষিপ্ত

বাংলা বছরের নবম মাস পৌষ, পাশাপাশি রাশিচক্রের একাদশ রাশি কুম্ভ। এই রাশির অধিকর্তা গ্রহ শনি। এই রাশির জাতক-জাতিকারা একটু চঞ্চল প্রকৃতির হয়ে থাকে। জেনে নেওয়া যাক বছরের নবম পৌষ রাশির উপর কেমন প্রভাব ফেলবে-

পৌষ বাংলা বছরের নবম মাস এবং ভারতীয় রাষ্ট্রীয় শকাব্দের নবম মাস। নামটি এসেছে পুষ্যা নক্ষত্রে সূর্যের অবস্থান থেকে। এই মাসের শেষের দিন বাঙালিরা পৌষ সংক্রান্তির মেলা উৎযাপন করে। এই সময় বাড়ি বাড়িতে ও পাশাপাশি নানা স্থানে পিঠা উৎসব আয়োজিত হয়। রাশিচক্রের একাদশ রাশি কুম্ভ।

শনি গ্রহের জাতকদের নিঃসঙ্গ এবং একা থাকতে ভালবাসে। জাতকের আকষ্মিক অর্থ প্রাপ্তি হতে পারে। অকাল বার্ধক্যের একটি ছাপ প্রায়ই এদের চেহারায় দেখা যায়। এরা সাধারণত অল্পে সন্তুষ্ট হয়। সন্দেহ বাতিকের জন্য বিবাহ জীবন খুব একটা সুখের হয় না। বন্ধুরাও সব সময় এদের এড়িয়ে চলতে চায়। এরা মিতব্যয়ী ও সঞ্চয়ী প্রকৃতির হয়ে থাকে। অবসাদ, বিষাদ, বৈরাগ্য, উদাসিনতা ভাব এদের চরিত্রের বিশেষ লক্ষণ। শেষ জীবনে হঠাৎ নানা রোগ দেখা দিতে পারে। এরা কখনও শ্রমশীল আবার কখনও শ্রম বিমুখ হয়। তবে জেনে নেওয়া যাক বছরের নবম মাস কুম্ভ রাশির উপর কেমন প্রভাব ফেলবে-

পৌষ মাসে কুম্ভ রাশির নতুন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই মাসে কোনও কারণে মামলা-মোকদ্দমায় জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা আছে। সন্তানের শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। গুরুজনের শারীরিক সমস্যার জন্য মানসিক চাপ বৃদ্ধি পেতে পারে। প্রচুর উদ্যোগ থাকলেও পারিপার্শ্বিক চাপের ফলে কাজে ব্যাঘাত ঘটবে। বিবাহিতদের সম্পর্কে সমস্যা দেখা দিতে পারে। সময়ের কাজ সময়ে না করার জন্য ভালো কাজ হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে। বন্ধুর প্রতি বেশি উদারতার ফলে বিপদে পড়তে হতে পারে। শারীরিক সমস্যা নিয়ে ভুগতে হতে পারে। নিজের সুপ্ত অহংবোধ অবশ্যই ত্যাগ করুন। বিশ্বস্ত মানুষদের থেকে মানসিক আঘাত পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। লেখকদের জন্য এই সময়টি খুব শুভ। মাসের শেষের দিকে মানসিক উদ্বেগের জন্য কাজের ক্ষতি হতে পারে। আয়ের পরিমান হঠাৎ করেই বৃদ্ধি পেতে পারে।

জ্যোতিষশাস্ত্রের একটি বিভাগ দেশ, রাজ্য, শহর, গ্রাম ইত্যাদির এবং প্রাকৃতিক ঘটনাবলীর যেমন বৃষ্টি, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, ভূমিকম্প, ঝড়, ঝঞ্ঝা, মহামারী বা প্লাবণের ভবিষ্যদ্বাণী করতেও ব্যবহৃত হয়। আবার জাতকের জন্ম সময়, তারিখ এবং জন্মস্থানের ভিত্তিতে, জন্মকালে মহাকাশে গ্রহের অবস্থান নিরুপণ করে অথবা প্রশ্নের সময় গ্রহাদির অবস্থান নির্ণয় করে, অথবা হস্তরেখাবিচার, শরীরের চিহ্নবিচার ইত্যাদি বিভিন্ন পদ্ধতির ব্যবহারে প্রশ্নকর্তার ভবিষ্যতের গতিপ্রকৃতি নির্ধারণ করার জ্ঞান ও পদ্ধতিকে জ্যোতিষশাস্ত্র বলা হয়।