রথযাত্রার দিনে তারাপীঠে মায়ের বিশেষ পুজোর আয়োজন হয়েছে। মা তারাকে রথে নিয়ে ঘোরানো হবে এলাকা। পথে নেমে ভক্তদের আশীর্বাদ দেবেন ও পূরণ করে ভক্তের ইচ্ছা।
- Home
- Astrology
- Horoscope
- Rath Yatra Live: রথ যাত্রা উপলক্ষে পুরীতে লাখো ভক্তের সমাগম, জোরকদমে সেজে উঠেছে মাহেশ থেকে কলকাতার ইস্কন, মহিষাদলেও উৎসবের চেনা মেজাজ
Rath Yatra Live: রথ যাত্রা উপলক্ষে পুরীতে লাখো ভক্তের সমাগম, জোরকদমে সেজে উঠেছে মাহেশ থেকে কলকাতার ইস্কন, মহিষাদলেও উৎসবের চেনা মেজাজ
প্রতি বছর আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয় তিথিতে এই যাত্রা বের হয়। এই যাত্রার সময়, ভগবান জগন্নাথ তাঁর বড় ভাই বলরাম এবং বোন সুভদ্রার সঙ্গে রথযাত্রার মাধ্যমে তাঁর মাসির বাড়ি অর্থাৎ পুরীর গুন্ডিচা মন্দিরে যান। সুসজ্জিত রথে বসে তিন দেবতার যাত্রা জাঁকজমক করে তাদের মাসির বাড়িতে পৌঁছানোর জন্য পালন করা হয়।
- FB
- TW
- Linkdin
কলকাতার ইসকনের মন্দিরে পুজো ও আরতি সারলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। দড়ি টেনে সূচণা করলেন কলকাতার ইসকনের রথযাত্রার।
ভগবান জগন্নাথ তার বোন সুভদ্রা এবং ভাই বলভদ্রের সঙ্গে রথযাত্রার সময় তাদের মাসি বাড়িতে যান। বিশ্বাস করা হয় যে ভগবান তার মাসির বাড়িতে প্রচুর খাবার খান, যার কারণে তিনি অসুস্থও হয়ে পড়েন। ভগবানের চিকিৎসার জন্য তাকে খাবার দেওয়া হয় এবং সম্পূর্ণ সুস্থ হলেই ভগবান ভক্তদের দর্শন দেন।
পুরীতে জগন্নাথের রথযাত্রা ২০ জুন এ রাত ১০ টা ৪ মিনিটেয় শুরু হবে এবং ২১ জুন ২০২৩ রাত ৭ টা ৯ মিনিটে যাত্রা শেষ হবে। শহর পরিদর্শন করার পরে, এই দিন ভগবান জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রা দেবী গুন্ডিচা মন্দিরে তাদের মাসির বাড়িতে বিশ্রাম নেবেন।
শ্রী কৃষ্ণ মানব রূপে অবতীর্ণ হয়েছিলেন, তাই তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত ছিল। তিনি যখন দেহ ত্যাগ করেন, তখন সমস্ত শরীর পাঁচটি উপাদানে মিশে যায় কিন্তু তার হৃদয় স্পন্দিত হতে থাকে। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে আজও জগন্নাথের মূর্তির মধ্যে শ্রীকৃষ্ণের হৃদয় নিরাপদ। ঈশ্বরের এই হৃদয় অংশকে ব্রহ্ম পদার্থ বলা হয়।
বিশ্বকর্মা ভগবান জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রার মূর্তি তৈরি করেছেন। প্রতিমা তৈরির আগে তিনি শর্ত দিয়েছিলেন যে কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কেউ তার ঘরে প্রবেশ করবে না, কিন্তু তৎকালীন রাজা তার উত্সাহ থামাতে না পেরে ঘরের দরজা খুলে দেন। এরপর বিশ্বকর্মা প্রতিমার কাজ অসম্পূর্ণ রেখে যান। এF কারণে তিনটি প্রতিমাতেই হাত, পা ও নখ নেই।
জগন্নাথ রথযাত্রার সঙ্গে যুক্ত একটি বিশ্বাস আছে যে ভক্ত রথ টানেন তিনি ১০০টি যজ্ঞ করার সমান ফল পান। তার সমস্ত কষ্টের অবসান হয় এবং স্বয়ং ভগবান জগন্নাথ তাকে প্রতিটি সঙ্কট থেকে রক্ষা করেন।
ভগবান জগন্নাথের রথযাত্রার পিছনে বিশ্বাস এই যে এই সময়ে ভগবান জগন্নাথ তাঁর বড় ভাই ও বোনের সঙ্গে রথে চড়ে মানুষের অবস্থা জানতে রাজপথে বের হন। কিংবদন্তি অনুসারে, একবার দেবী সুভদ্রা তার ভাই শ্রী কৃষ্ণ এবং বলরামের কাছে দ্বারকা যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন, যা পূরণ করতে তিনজনই রথযাত্রায় দ্বারকা শহরে গিয়েছিলেন, তারপর থেকে প্রতি বছর রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।
জগন্নাথ যাত্রার জন্য তিনটি বিশাল রথ তৈরি করা হয়। প্রথম রথে ভগবান জগন্নাথ, দ্বিতীয় রথে ভাই বলরাম এবং তৃতীয় রথে তাঁর বোন সুভদ্রা। রথ তৈরিতে ৮৮৪টি বিশেষ গাছের কাঠ ব্যবহার করা হয় এবং প্রথমে একটি সোনার কুড়াল দিয়ে কাটা হয়। রথ নির্মাতারা রথ তৈরির সময় সারাদিনে মাত্র একবার সাধারণ খাবার খান।
বর্তমানে পুরীতে ধুমধাম করে আয়োজন করা হচ্ছে। ভক্তদের কীর্তন আর নাচের মধ্যে দিয়ে উদযাপিত হচ্ছে রথ যাত্রা।
পুরীতে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে, রথযাত্রা উৎসবের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বালু শিল্পী সুদর্শন পট্টনায়েক ২৫০টি নারিকেল দিয়ে রথযাত্রার অনন্য শিল্প তৈরি করেছেন।
কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেছেন যে রথযাত্রার জন্য পুরী স্টেশনে ২০ লক্ষ যাত্রীর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে।
'ভারতকে আরও গর্বিত করুন' কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেছেন যে আমি বিশ্বকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার এবং ভারতকে গর্বিত করার জন্য প্রভুর কাছে অনুরোধ প্রার্থনা করছি।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা শঙ্করাচার্যের সাথে দেখা করলেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এবং ধর্মেন্দ্র প্রধান ওডিশার পুরীর শঙ্করাচার্য স্বামী নিসচালানন্দ সরস্বতীর সঙ্গে দেখা করেছেন৷
ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রীরামপুরের মাহেশের রথযাত্রা উৎসব এবারে ৬২৭ বছরে পদার্পণ। মঙ্গলবার সকাল থেকে পুজো অর্চনার মধ্যে দিয়ে শুরু হবে রথযাত্রা উৎসব। ৬২৭ বছর আগে সাধক ধ্রুবানন্দ ব্রহ্মচারী এই রথের প্রতিষ্ঠা করেন।
জগন্নাথ রথযাত্রার আগে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু পৌঁছে যান রাজধানীর হৌজ খাসের জগন্নাথ মন্দিরে। সেখান তিনি পুজো ও প্রার্থনা করেন।
মিন্টো পার্কের ইসকন মন্দির থেকে দুপুর ১:৩০ এ শুরু হবে রথযাত্রা। সেখান থেকে এজেসি বোস রোড- হয়ে শরৎ বোস রোড ও হাজরা রোড হয়ে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রোড- দিয়ে আশুতোষ মুখার্জি রোডের পর রথ এগিয়ে চলবে চৌরঙ্গী রোডে। সেখান থেকে এক্সাইড মোড় হয়ে জে এল নেহরু রোড দিয়ে আউটট্রাম রোড হয়ে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছবে কলকাতার ইসকনের রথযাত্রা।
ইসকন আয়োজিত কলকাতা রথযাত্রা এবার ৫২ বছর। বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে ইস্কনের ভক্তরা কলকাতা রথযাত্রায় অংশ নেবেন। কলকাতার রাজপথে সরাসরি ইসকনের পুজো দেওয়া যাবে রথযাত্রা চলাকালীন পুজো দেবেন রথে থাকা পুজারিরাই
রথযাত্রার আগে, ভগবান জগন্নাথ, ভগবান বলরাম এবং দেবী সুভদ্রার রথগুলিকে রাজপথের রথখালা থেকে পুরীর শ্রী জগন্নাথ মন্দিরের সিংহদ্বারে টেনে আনা হয়েছে।
#WATCH ओडिशा: कल रथ यात्रा से पहले भगवान जगन्नाथ, भगवान बलभद्र और देवी सुभद्रा के रथों को ग्रैंड रोड स्थित रथखाला से खींचकर पुरी के श्री जगन्नाथ मंदिर के सिंहद्वार ले जाया गया। pic.twitter.com/NtVeYoOSBv
— ANI_HindiNews (@AHindinews) June 19, 2023