সংক্ষিপ্ত

হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী বিশ্বাস করা হয় গেরুয়া রঙ ত্যাগ আর জ্ঞানের প্রতীর। এটি বীরত্ব, পবিত্রতা আর সেবার প্রতীক। যা হিন্দুদের অন্যতম মৈলিক উপাদান।

হিন্দু ধর্মের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে গেরুয়া রঙ। এটি হিন্দু ধর্মের গুরুত্বপূর্ণ রঙ গুলির মধ্যে অন্যতম। প্রাচীনকালে ঋষি তপস্যীরা এই রঙের পোশাক পরতেন। হিন্দু ধর্মের প্রচীন বিশ্বাস অনুযায়ী মনে করা হয় এই রঙ মানুষের জীবনে বিশেষ প্রভাব ফেলে। অনেক মন্দিরে এই রঙের পতাকা ব্যবহার করা হয়। হিন্দু ধর্মের অনেক অনুষ্ঠানেও গেরুয়া রঙের ব্যবহারের প্রচলন রয়েছে।

হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী বিশ্বাস করা হয় গেরুয়া রঙ ত্যাগ আর জ্ঞানের প্রতীর। এটি বীরত্ব, পবিত্রতা আর সেবার প্রতীক। যা হিন্দুদের অন্যতম মৈলিক উপাদান। শিবাজীর সেনা বাহিনী গেরুয়া রঙের পতাকা ব্যবহার করল। অর্জুনের রথের পাতার রঙও গেরুয়া। আবার রামকৃষ্ণও গেরুয়া বসন পরতেন। গেরুয়া রঙ অন্ধকার দূর করে আলো ছড়িয়ে দেয় বলেও বিশ্বাস করা হয়।

এটিই রঙ যা ভারতের চিরন্তন, সনাতনী এবং পূর্বজন্মের ধারণাকে প্রতিষ্ঠা করে। তাই এটিকে আমাদের ঋষিরা আমাদের সংস্কৃতির প্রতীক হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। এই রঙটি আমাদের সংস্কৃতি ও ধর্মের চিরন্তনতার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।

হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী চারটি মূল রঙ- লাল হলুদ , সবুজ আর নীল। কোনও রঙের শুরু হয় সাদা থেকে। আর রঙের শেষ কালোতে। আর এই ছটি রঙ একে অপরের সঙ্গে মিশে অন্য রঙ তৈরি করে। গেরুয়া রঙের মধ্যে লাল , সাদা আর হলুদের অস্তিত্ব রয়েছে। লাল রঙ বীরের প্রতীক। আর হলুদ সূর্যের প্রতীক। তাই গেরুয়া রঙকে পবিত্র বলে মনে করা হয়। গেরুয়া রঙে সাদার প্রাধান্য বেশি থাকে। তাই এটির সঙ্গে শিবেরও যোগ রয়েছে বলে মনে করা হয়। বজরংবলী বা হলুমানের গেরুয়া রঙ অত্যান্ত প্রিয় ছিল বলেও হিন্দু ধর্মে বিশ্বাস করা হয়। তাই হিন্দু ধর্মে গেরুয়া রঙের প্রাধান্য অনেক বেশি।