এই ছবি আছে প্রত্যেক ধনীর ঘরে, এটি প্রতিটি কাজে দুর্দান্ত সাফল্য এনে দেয়

বাস্তুশাস্ত্রে এমন কিছু জিনিস বলা হয়েছে, যার উপস্থিতি বাড়িতে, অফিসে অসাধারণ ইতিবাচকতা দেয়। এই জিনিসগুলি বায়ুমণ্ডলে ইতিবাচকতা নিয়ে আসে। এটি সুখ, সমৃদ্ধি এবং সাফল্য দেয়। এই কারণেই ধনীদের বাড়িতে কিছু বিশেষ জিনিস থাকে। এটি তাদের ইতিবাচক থাকতে, সর্বদা এগিয়ে যেতে সহায়তা করে। এর মধ্যে রয়েছে গাছ, গাছপালা, প্রতীক, চিত্রকর্ম, ভাস্কর্য ইত্যাদি। ধনী ব্যক্তিদের বাসা-অফিস সাজানোর সময়ও বাস্তুশাস্ত্রের নিয়মের যত্ন নেওয়া হয়। যাতে তাদের জীবনে সুখ, সমৃদ্ধি ও ইতিবাচকতা বজায় থাকে। আজ আমরা এমনই একটি বিষয় সম্পর্কে জানবো যা বেশির ভাগ ধনী মানুষের ঘরেই হয়ে থাকে।

সাতটি ঘোড়ার পেইন্টিং অলৌকিক সাফল্য দেয়-

বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে সাতটি ঘোড়ার ছবি আঁকা খুবই শুভ। ঘোড়ার এই ছবি সাফল্য, অগ্রগতি এবং ইতিবাচকতার বার্তা দেয়। দৌড়ানো ঘোড়ার ছবি সব সময় জীবনে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা দেয়। বাড়িতে বা কর্মস্থলে সাতটি দৌড়ানো ঘোড়ার ছবি রাখলে খুব উপকার হয়। এটি করার মাধ্যমে, ব্যক্তিটি ইতিবাচক থাকে, দৃঢ়তার সঙ্গে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে। তিনি সাহস, বুদ্ধি এবং ধৈর্যের সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেন। সে কারণেই সে তার জীবনে ধারাবাহিক সাফল্য পায়। একের পর এক সাফল্য অর্জন করে তিনি উচ্চতায় পৌঁছেছেন। প্রচুর নাম ও টাকা আয় করে।

কোন দিকে সাতটি ঘোড়ার পেইন্টিং লাগাতে হবে

বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, সাতটি ঘোড়ার চিত্র বিভিন্ন দিকে প্রয়োগ করলে বিভিন্ন ফল পাওয়া যায়। সাতটি দৌড়ানো ঘোড়ার চিত্র যদি দক্ষিণ দিকে স্থাপন করা হয় তবে এটি খ্যাতি এবং সাফল্য নিয়ে আসে। অন্যদিকে উত্তর দিকে ঘোড়ার ছবি আঁকা বাড়িতে সমৃদ্ধি আনে। ঘরে টাকা আসে। পূর্ব দিকে সাতটি ঘোড়া আঁকা করলে কর্মজীবনে উন্নতি হয়। বাধা দূর হয় এবং কাজ দ্রুত সম্পন্ন হয়। তবে মনে রাখবেন এই পেইন্টিং বা ঘোড়ার ছবি বেডরুমে রাখা উচিত নয়। এটি ড্রয়িং রুম বা স্টাডি রুমে রাখা উপযুক্ত।

অন্যদিকে, ব্যবসায়িক স্থানে তামা, পিতল বা রৌপ্য দিয়ে তৈরি ঘোড়ার মূর্তি রাখলে ব্যবসায় লাভের জন্য খুব শুভ ফল পাওয়া যায়। ব্যবসায় দিন দিন উন্নতি হচ্ছে। মনে রাখবেন ঘোড়ার ভঙ্গি আক্রমনাত্মক নয় বরং শান্তিপূর্ণ বা মৃদু হওয়া উচিত।