সংক্ষিপ্ত
বিশ্বের অনেক জ্যোতিষী গণনা করে বলেছেন তাপমাত্রা আরও বাড়বে। তার করাণ প্লুটো, শনি আর সূর্যের রাশি পরবর্তিন।
দরদর করে ঘামছে বাংলা। শুধু বাংলা নয় গোটা দেশেই তাপমাত্রার পারদ চড়ছে চড়চড়িয়ে। তবে এখানেই। শেষ নয়। চলতি বছর আরও বেশি গরম পড়বে বলেও গণনা করে জানিয়েছেন বিশ্বের তাবড় তাবড় জ্যোতিষী। শুধু ভারত নয় বিশ্বের জ্যোতিষীরা কী বলছেন তাও দেখে নিন।
হিন্দু শাস্ত্রে প্লুটোকে গ্রহ হিসেবে ধরা হয় না। কিন্তু আমেরিকা বা ইংল্যান্ডের জ্যোতিষ গণনায় প্লুটোর গুরুত্ব রয়েছে। বলা হচ্ছে কুম্ভ রাশিতে প্লুটো গমন করবে। ২২৫ বছর পরে এই প্রথমই প্লুটো রাশি পরিবর্তন করবে। নিউ ইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী যখনই প্লুটো রাশি পরিবর্তন করে তখনই বিশ্ব বিপ্লবের মুখ দেখে। বিদেশী জ্যোতিষ অনুযায়ী এটি মৃত্যু আর পুনর্জন্মের গ্রহ। ২৩ মার্চ প্লুটো কুম্ভরাশি ছাড়ে মকর রাশিতে যাবে। ২১ জানুয়ারী ২০২৪ সাল পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান করবে । তাতেই গরম আরও বাড়ূবে বলেও মনে করছেন জ্যোতিষরা।
কুম্ভ রাশিতে চলতি বছর একই সঙ্গে থাকবে সূর্য আর শনি। দুটি গ্রহই ক্রোধের আধার। তাই দুই গ্রহ এক রাশিতে অবস্থানের কারণে তেজের বহিপ্রকাশ হবে। তাতেই তাপমাত্রা বাড়বে বিশ্বের। আগামী দিনে আরও তাপমাত্রা বাড়বে বলেও মনে করছে জ্যোতিষরা। শনি ও সূর্যের এক রাশিতে অবস্থান এমনিতেও ভারতের জন্য শুভ নয় বলেও মনে করা হয়। কুম্ভ রাশিতে সূর্যের অবস্থানের বিশেষজ্ঞ হল এমন কিছু হবে যা অবাক করে দেবে সবাইকে।
মেশ রাশিতে সূর্য ও বৃহস্পতি
কয়েক দিন পরেই মেষ রাশিয়ে সূর্য আব বৃহস্পতি একত্রে অবস্থান করবে। সেই সময় গরম আরও বাড়বে বলেও মনে করছে। অনেক জ্যোতিষী আবার মনে করছেন সূর্যের ভিরতে বিস্ফোরণের কারণেও তাপমাত্রা বাড়তে পারে বিশ্বের। তবে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও পূর্বাভাস নেই।
পয়লা বৈশাখের দিনে কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের তুলনায় পাঁচ ডিগ্রি বেশি। এদিন বাতাশে আপেক্ষিক আদ্রতার পরিমাণ ছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৯.৬, স্বাভাবিকের তুলনায় চার ডিগ্রি বেশি। রাতের আপেক্ষিক আদ্রতা ছিল ৬৮ শতাংশ। কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় আগামিকাল অর্থাৎ ১৬ এপ্রিল থেরে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত আবারও তাপপ্রবাহের সতর্কতা রয়েছে। একই অবস্থায় দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলির। প্রতিটি জেলাতেই তাপমাত্রার পারদ উর্ধ্বগামী। বাকুঁড়াতে তাপমাত্রার পারদ ৪১ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। এদিন দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি ছিল বলেও জানিয়েছে হাওয়া অফিস। গত কয়েক দিন ধরেই প্রবল গরম ছিল। যা অব্যাহত রয়েছে বাঙালির নতুন বছরের প্রথম দিনেও। সকাল থেকেই প্রবল রোগ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে ঘামও।