সংক্ষিপ্ত

মা লক্ষ্মীকে সন্তুষ্ট করার জন্য বৃহস্পতিবার হল বিশেষ দিন। এই দিনটিকে লক্ষ্মীবারও বলা হয়। এই দিনে মা লক্ষ্মীর কৃপা পাওয়া খুবই সহজ বলে মনে করা পুরাণবীদরা। কিন্তু পুজোর ত্রুটি মা লক্ষ্মী অসন্তুষ্ট হলে চরম বিপদ হতে পারে।

বৃহস্পতিবার অনেক বাড়িতেই মা লক্ষ্মীর বিশেষ পুজো করা হয়। এদিন লক্ষ্মীর আসন পেতে ঘট প্রতিষ্ঠা করা হয়। সেখানেই পুজিত হন মা লক্ষ্মী। কিন্তু মনে রাখবেন খুবই চঞ্চলা। তাঁকে আপনার তুষ্ট করে নিজের বাড়িতে রাখার জন্য বৃহস্পতিবার লক্ষ্মী পুজোর সময় এই বিষয়গুলির দিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। সপ্তাহের অন্যান্য দিনে লক্ষ্মী পুজোর থেকে কিছুটা হলেও আলাদা বৃহস্পতিবারের লক্ষ্মী পুজো।

মা লক্ষ্মীকে সন্তুষ্ট করার জন্য বৃহস্পতিবার হল বিশেষ দিন। এই দিনটিকে লক্ষ্মীবারও বলা হয়। এই দিনে মা লক্ষ্মীর কৃপা পাওয়া খুবই সহজ বলে মনে করা পুরাণবীদরা। কিন্তু পুজোর ত্রুটি মা লক্ষ্মী অসন্তুষ্ট হলে চরম বিপদ হতে পারে। দেবীর কোপে লন্ডভন্ড হয়ে যেতে পারে আপনার সংসার। না হলে নেতিবাচক শক্তির প্রভাবে বাড়িতে নেমে আসতে পারে অশান্তির কালো মেঘ।

লক্ষ্মীর পুজোর সময় খেয়াল রাখুনঃ

বৃহস্পতিবার লক্ষ্মী পুজোর সময় অবশ্যই লক্ষ্মীর পাঁচালি পডু়ন। তাতে দেবী তুষ্ট হয়ে আশীর্বাদ করেন।

ঠাকুর ঘরে লক্ষ্মীদেবীর জন্য একটি আসন প্রতিষ্ঠা করুন। ঠাকুর ঘরে বাড়ির অন্যান্য ঘরের থেকে আলাদা রাখাই শ্রেয়।

বৃহস্পতিবার দরজা ও ঠাকুর ঘরে আল্পনা দিন। তাতে অবশ্যই লক্ষ্মীর চরণ আঁকবেন। এতে বাড়িতে পজিটিভ এনার্জি প্রবেশ করে।

লক্ষ্মী পুজোর সময় এই কাজগুলি করবেন না

বৃহস্পতিবার লক্ষ্মী পুজোর দিনে অনেকেই আলাদা করে মিষ্টি বা প্রসাদ আনেন। কিন্তু খেয়াল রাখবেন যতটা প্রসাদ প্রয়োজন ততটাই ঠাকুর ঘরে রাখুন। বাকিটা বাড়ির অন্যত্র রাখতে পারে।

ঠাকুর ঘরে সিংহাসনে দেবী লক্ষ্মীর প্রতিষ্ঠা করবেন। কখনই মাটিতে দেবীকে রাখবেন না। তাতে দেবী রুষ্ট হন।

নিজের পুজোর আসন সর্বদা আলাদা রাখুন, সেই আসন অন্য কোনও কাজে ব্যবহার করবেন না।

পুজোপ ফুল আর প্রসাদ ফেলে দেবেন না। তা বাড়িতে একটি টবে জমা রাখুন। সেটাই গাছের সার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।

ঠাকুরঘর এমন জায়গায় তৈরি করতে হবে যেখানে সূর্যের আলো প্রবেশ করে।

লক্ষ্মী পুজো শেষ হওয়া পর্যন্ত প্রদীপ যাতে জ্বলে তার ব্যবস্থা অবশ্যই করবেন।

বৃহস্পতিবার ঠাকুরের আসন পরিষ্কার করুন।

বাড়িতে বেশি বড় লক্ষ্মী মূর্তি স্থাপন না করাই শ্রেয়।