সংক্ষিপ্ত

জ্যোতিষশাস্ত্রে এমন অনেক ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে যার মাধ্যমে এই গ্রহগুলির অশুভ প্রভাব কমানো যায়। এর মধ্যে একটি সমাধান হল গাছ থেকে শিকড় তোলা। নবগ্রহ শান্তির জন্য এসব গাছের শিকড় খুবই উপকারী।

 

জন্মকুণ্ডলীতে উপস্থিত নয়টি গ্রহের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান রয়েছে। নবগ্রহের শুভ প্রভাবের কারণে একজন ব্যক্তি জীবনে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি লাভ করেন। সেই সঙ্গে দুর্বল গ্রহগুলি ব্যক্তিকে শারীরিক, মানসিক, আর্থিক ও বৈবাহিক জীবনের সমস্যায় ঘিরে ফেলে। জ্যোতিষশাস্ত্রে এমন অনেক ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে যার মাধ্যমে এই গ্রহগুলির অশুভ প্রভাব কমানো যায়। এর মধ্যে একটি সমাধান হল গাছ থেকে শিকড় তোলা। নবগ্রহ শান্তির জন্য এসব গাছের শিকড় খুবই উপকারী।

নবগ্রহ শান্তির জন্য এই গাছের শিকড় পরা উচিত

শান্তির জন্য সূর্য গ্রহ- সূর্য যদি কোনও ব্যক্তির কুণ্ডলীতে অশুভ ফল দেয়, তাহলে রবিবার বেলপত্রের মূল গোলাপি রঙের সুতোয় পরলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।

চন্দ্রের শান্তির জন্য- জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে চন্দ্রের অশুভ প্রভাব দূর করতে খিরনির মূল একটি সাদা কাপড়ে রেখে একটি সাদা সুতো দিয়ে বেঁধে রাখুন। এর পর পরলে উপকার হবে।

শান্তির জন্য মঙ্গল- মঙ্গলকে একজন ব্যক্তির রাশিতে বীরত্ব ও সাহসের কারক বলে মনে করা হয়। এমন অবস্থায় মঙ্গল গ্রহকে শক্তিশালী করতে লাল কাপড়ে লাল সুতো দিয়ে বেঁধে খেরের মূল পরতে পারেন।

বুধ গ্রহের শান্তির জন্য- বিদারের মূল সবুজ কাপড়ে বেঁধে পরলে বুধ গ্রহের অশুভ প্রভাব দূর হয়। এটি শুধুমাত্র বুধবার পরুন।

বৃহস্পতির শান্তির জন্য- জন্মকুণ্ডলীতে যদি বৃহস্পতি অশুভ অবস্থানে থাকে, তাহলে বৃহস্পতিবার একটি কলাগাছের মূল একটি হলুদ কাপড় রেখে হলুদ সুতো দিয়ে বেঁধে দিন। এটি খুবই উপকারী প্রমাণিত হবে।

শুক্রের শান্তির জন্য - শুক্রের শুভ প্রভাবের জন্য একটি সাদা কাপড়ে একটি গুল্ম গাছের শিকড় একটি সাদা সুতো দিয়ে বেঁধে শুক্রবার পরুন।

শান্তির জন্য শনি- শনিদেবের কাছে শমি গাছ খুবই প্রিয়। তাই শমি গাছের শিকড় নীল কাপড়ে বেঁধে নীল সুতোয় শনিবার পরলে উপকার পাওয়া যায়।

শান্তির জন্য রাহু গ্রহ- রাহু গ্রহকে ছায়া গ্রহ বলে মনে করা হয়, তাই এর অশুভ প্রভাব দূর করতে একটি নীল কাপড়ে সাদা চন্দনের টুকরো রেখে নীল সুতো দিয়ে বেঁধে রাখুন।

শান্তির জন্য কেতু গ্রহ- কেতুকে ছায়া গ্রহ হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। রাশিতে কেতুকে শক্তিশালী করতে বৃহস্পতিবার নীল কাপড়ে নীল সুতো দিয়ে বেঁধে অশ্বগন্ধা মূল পরলে উপকার পাওয়া যায়।