সংক্ষিপ্ত
অনেকেই প্রতিদিন সুন্দরকাণ্ড এবং হনুমান চালিসা পাঠ করেন, কিন্তু আপনি কি জানেন যে হনুমান চালিসা পড়ারও কিছু নিয়ম রয়েছে। আপনি যদি এটি না করেন তবে বজরংবলি আপনার উপর রাগ করতে পারেন।
হনুমান জি কলিযুগে উপস্থিত থাকেন এবং তাঁর ভক্তদের দুঃখ দূর করেন। প্রতি মঙ্গল ও শনিবার হনুমান মন্দিরে ভক্তদের ভিড় থাকে। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে মঙ্গলবার হনুমান দেবের দিন। এই দিন হনুমান এর পুজো করলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়। বজরঙ্গবলির আশীর্বাদ পেতে আগে ভগবান রামের কাছে প্রার্থনা করা উচিত এবং হনুমান চালিশা পাঠ করা উচিত। হনুমান চালিশা পাঠ করে একজন মনের ও মস্তিষ্কে আধ্যাত্মিক শক্তি লাভ করে। বজরঙ্গবলি শক্তি, বুদ্ধি এবং জ্ঞানার্জনের দাতা বলা হয়, তাই হনুমান চালিশার পাঠ করা স্মৃতি ও প্রজ্ঞা বৃদ্ধি করে। এর সঙ্গে আধ্যাত্মিক শক্তিও পাওয়া যায়। তাই মনে করা হয় প্রতিদিন হনুমান চালিশা পাঠ মনোবল বাড়ায়।
অনেকেই প্রতিদিন সুন্দরকাণ্ড এবং হনুমান চালিসা পাঠ করেন, কিন্তু আপনি কি জানেন যে হনুমান চালিসা পড়ারও কিছু নিয়ম রয়েছে। আপনি যদি এটি না করেন তবে বজরংবলি আপনার উপর রাগ করতে পারেন। আসুন আমরা আপনাকে বলি হনুমান চালিশা পাঠের সঠিক নিয়ম।
হনুমান চালিসা কখন পাঠ করা উচিত?
সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় হনুমান চালিসা পাঠ করা উচিত। মঙ্গলবার ও শনিবার হনুমান চালিসার পাঠ শুরু করতে হবে। ব্রহ্ম মুহুর্তে হনুমান চালিসা পাঠ করলে শুভ ফল পাওয়া যায়।
হনুমান চালিসা কতবার পাঠ করতে হবে?
আপনি আপনার ভক্তি অনুসারে হনুমান চালিসা ৭, ১১, ২১, ৪০ এবং ১০৮ বার পাঠ করতে পারেন। মঙ্গলবার থেকে হনুমান চালিসা পাঠ শুরু করা খুবই শুভ।
নিয়মিত পাঠের সুবিধা কী
নিয়মিত হনুমান চালিসা পাঠ করলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে। নেতিবাচকতা দূর করে ইতিবাচক শক্তি বৃদ্ধি পায়। নতুন শক্তির যোগাযোগ হয়। ভয়, বিশৃঙ্খলা ও ভয় দূর হয়। অর্থনৈতিক, শারীরিক ও মানসিক সমস্যা নষ্ট হয়। সুখ ও সমৃদ্ধি অর্জিত হয়। মুখে সবসময় তীক্ষ্ণতা থাকে এবং ঘরে শান্তি আসে।
হনুমান চালিসা কিভাবে পাঠ করবেন?
হনুমান চালিসা পড়ার আগে একটি লাল কাপড়ে বজরং বলির ছবি রাখুন। এর পর গরুর দুধ দিয়ে তৈরি ঘি জ্বালিয়ে দিন। হনুমান চালিসা পাঠ করার সময় একটি লাল আসনের উপর বসুন। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিশেষ যত্ন নিন। স্বাস্থ্যকর পরিবেশে এবং শান্ত মনে হনুমান চালিসা পাঠ করুন। হনুমান চালিসার পাঠ শেষ হলে বুন্দি লাড্ডু নিবেদন করুন। মঙ্গল ও শনিবার হনুমান চালিসা পাঠ করলে মঙ্গলদোষ, শনির সাড়ে সতি প্রভৃতি দোষের সংশোধন হয়।