সংক্ষিপ্ত
কেতুর অশুভ প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে ক্যাটস আই ধারণ করতে হয়। অন্ধকারে বিড়ালের চোখের মতো জ্বল জ্বল করে ক্যাটস আই। অশুভ প্রভাবের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ক্যাটস আই ধারণ করার পরামর্শ দেন জ্যোতিষীরা। শ্রীলঙ্কার ক্যাটসআই গুণমানের বিচারে সর্বশ্রেষ্ঠ।
Cat's Eye Gemstone: জ্যোতিশাস্ত্র মতে, কেতুর অশুভ প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে ক্যাটস আই বা বৈদুর্য্যমণি ধারণ করতে হয়। অন্ধকারে বিড়ালের চোখের মতো জ্বল জ্বল করে। সেই জন্যই হয়তো এর নাম ক্যাটস আই। গুপ্তশুক্রর আক্রমন, উচ্চস্থান থেকে পতন, কলহ, অশুভ প্রভাবের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এই রত্ন ধারণ করার পরামর্শ দেন জ্যোতিষীরা।
ভারতের গুজরাত, রাজস্থান-সহ আশেপাশের অঞ্চলেই মূলত ক্যাটস আই পাওয়া যায়। এছাড়া শ্রীলঙ্কা, ব্রাজিল, আমেরিকা ও আরবেও পাওয়া যায়। তবে সবথেকে শ্রীলঙ্কার ক্যাটসআই গুণমানের বিচারে সর্বশ্রেষ্ঠ। তবে এটা অবশ্যই জেনে রাখা প্রয়োজন যে কোনও রত্নই তিন মাস পর থেকে ফল দেয়।
কেতুর দোষ কাটাতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ক্যাটসআই। রত্ন ধারনের ক্ষেত্রে এ কথা অবশ্যই মনে রাখতে হবে শুধু রত্ন ধারণ করলেই হবে না। আপনার সার্টিফায়েড খাঁটি রত্ন ধারন করতে হবে। তবেই সকল সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারবেন। অনেক ক্ষেত্রে বহু অর্থ ব্যয় করে রত্ন ধারন করার পরেও কোনও কাজ দেয় না। তখন আমরা হয় জ্যোতিষী বা জ্যোতিষশাস্ত্র-কেই ভুল বলে গালমন্দ করে থাকি। তাই রত্ন ধারণ করার অন্যতম এবং একমাত্র বিষয় হল রত্নটি খাঁটি কি না সেই বিষয়ে অবশ্যই সতর্ক থাকুন। প্রয়োজনে রত্ন বিশারদের থেকে পরামর্শ নিন।
ক্যাটস আই সাধারণত চার রকমের হয়। তবে উৎকৃষ্টমানের ক্যাটসআই সাধারণত অনুমানের থেকে বেশি ভারী হয়। এগুলি মসৃণ, জমকালো এবং অতিরিক্ত পিচ্ছিল ধরণের হয়ে থাকে এবং তিনটি রেখা যুক্ত ডোরা দাগ থাকে। তবে এতে কোনও রকম চিড় ধরলে, বিন্দু বা কোনও রকম দাগ থাকলে সেই ক্যাটস আই নিম্নমানের হয়।
আসল ক্যাটস আই কষ্টিপাথরে ঘষলে উজ্জ্বলতা বাড়তেই থাকে তবে নকল হলে সেই ক্ষেত্রে সম্ভব নয়। জ্যোতিষ বা জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, যাদের মামলা সংক্রান্ত ঝামেলা রয়েছে,তাঁদের জন্য ক্যাটসআই অত্যন্ত গুরুতবপূর্ণ। স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে এই রত্ন খুব কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ করে। ব্যক্তিগত জীবনে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে যাঁরা সমস্যায় ভোগেন তাঁদের জন্য এই রত্ন খুবই কার্যকর। এর ফলে কোনও সিন্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে মানসিক শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।