সংক্ষিপ্ত
শ্রাবণ মাসে বাস্তু নিয়ম মানলে শিব ঠাকুরের আর্শীবাদ পাওয়া যায়। এই সময় এভাবেই বাস্তু সাজান।
হিন্দুশাস্ত্রে শ্রাবণ মাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর এই সময় বাস্তুর পরিবর্তনও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে। তবে সব পরিবর্তন মোটেও নয়। কিছু বাস্তু পরিবর্তন সংসারে সুখ আর সমৃদ্ধি ডেকে আনে। কিন্তু কিছু বাস্তু পরিবর্তন সংসারে অশান্তি ডেকে আনতে পারে। তাই শ্রাবণ মাসে বাস্তুর এই পরিবর্তন করে নিতে পারে সংসারে সুখ আর সমৃদ্ধির জন্য।
শিবলিঙ্গ
শ্রাবণ মাস হলে শিবের মাস। পুরাণ অনুযায়ী এই সময় বিষ্ণু অনন্ত নিদ্রায় যান। আর রাজপাটের দায়িত্ব বর্তায় শিব ঠাকুরের ওপর। শ্রাবণ মাসে শিবলিঙ্গ সর্বদা ঘরের উত্তর কোনে রাখুন। বাস্তু অনুযায়ী এটি সবথেকে শুভ। শিবঠাকুরের আর্শীবাদ পাবেন। বাড়িতে শিবলিঙ্গ না থাকলে শ্রাবণ মাসে শিব লিঙ্গ প্রতিষ্ঠা করতে পারেন।
আয়না
শ্রাবণ মাসে উত্তর বা পূর্ব দিনে মুখ করে কোনও আয়না রাখবেন না। এতে আর্থিক ক্ষতি হয়। বছেরের অন্য সময়ও এই দুই দিনে আয়না রাখা অশুভ। তবে শ্রাবণ মাসে একদমই শুভ নয়। যদি এই দুই দিকে মুখ করে আয়না থাকে, তাহলে একমাস কাপড় দিয়ে আয়না ঢেকে রাখুন।
ঘরের কোনা
শ্রাবণ মাসে ঘর পরিষ্কার রাখুন। ঘরের প্রতিটি কোনা পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে বাস্তু শাস্ত্র। বিশ্বাস অনুযায়ী বাড়িতে ময়লা থাকলে উন্নতি বাধা পায়। নেগেটিভ শক্তির প্রভাব বাড়ে। এই সময় ঘর বাড়ি পরিচ্ছন্ন থাকলে শিব ঠাকুরের কৃপা পেতে পারেন।
শ্রাবণ মাসে জলের ছিটে
এই একমাস যাবত নিয়মিত জলের ছিটে দিন ঘরে। তাতে নেগেটিভ শক্তি দূর হবে। বাড়ির প্রধান দরজায় নিয়মিত ঘিয়ের প্রদীপ জ্বাললে সুখ আর সমৃদ্ধি আসে।
গাছ
শ্রাবণ মাসে বাড়িতে যে কোনও গাছ লাগানো শুভ। তবে তুলসী গাছ লাগানে দেবী লক্ষ্মীর আর্শীবাদ পাওয়া যায়। এই সময় বাড়িতে থাকা গাছগুলির পরিচর্যা করুন। গাছে নিয়মিত জল দিন। তাতে সুখ আর সমৃদ্ধি আসবে।