শনির নজরে কখনও পড়বেন না! জেনে নিন কী করলে আপনার রাশিতে শনির দশা লাগবে না
শনিদেব হিন্দু জ্যোতিষশাস্ত্র এবং আধ্যাত্মিকতার একটি গুরুত্বপূর্ণ দেবতা। এনার দৃষ্টি শক্তিশালি এবং এর প্রকোপ বেশ কষ্টদায়ক বলে মনে করা হয়। বিভিন্ন রাশির জাতকরা শনির প্রকোপে পড়েন। তাঁদের জীবন নরকের চেয়েও খারাপ হয়ে যায়। কীভাবে বাঁচবেন?

জ্যোতিষ শাস্ত্র বলছে, যদি কোনও ব্যক্তির জন্মকুণ্ডলীতে শনির সাড়ে সাতি বা ঢাইয়া থাকে তাহলে তার জীবনে নানা ধরণের সমস্যা আসে। সূর্যদেবের পুত্র শনিদেব হলেন কর্মের ফলদাতা, অর্থাৎ তিনি মানুষকে তাঁদের কর্ম অনুসারে ভাল বা খারাপ ফল দেন।
শনির প্রকোপ এড়াতে আপনিও কিছু সহজ প্রতিকার ব্যবস্থার সাহায্য নিয়ে দেখতে পারেন। শনির অশুভ প্রভাব এড়াতে শাস্ত্রে বহু প্রতিকারের কথা বলা হয়েছে। এতে শনিদেবের আশীর্বাদ বর্ষিত হয়। কিছু সহজ উপাচারে শনিদেবের রোষানল থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
শনি মন্ত্র পাঠ ওঁ প্রাং প্রিং প্রোং সঃ শনৈশ্চরায় নমঃ! এই মন্ত্রটিতেই তুষ্ট হন শনিদেব৷ ওঁ শং শনৈশ্চরায়ৈ নমঃ! এই মন্ত্রের জপে পেতে পারেন সুফল
শনিদেবের কাছে তিল, তেল ও ছায়ার দান অত্যন্ত প্রিয়। ছায়াপাত্র দান করার নির্ধারিত এক পদ্ধতি রয়েছে। একটি মাটির পাত্রে সরিষার তেল নিন এবং এতে আপনার প্রতিফলন দেখে দান করুন। বিশ্বাস করা হয় যে এই জিনিসগুলি দান করলে শনি গ্রহ শান্ত হয় এবং শনিদেবের আশীর্বাদ পাওয়া যায়।
রুদ্রাক্ষ পরিধান করলে শনিদেবের আশীর্বাদ পাওয়া যায় এবং শনিদেবের অশুভ ছায়া দূর হয়। সোমবার বা শনিবার গঙ্গাজল দিয়ে ধুয়ে এই রুদ্রাক্ষ পরিধান করলে শনি দেবের রোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এর জন্য সাতমুখী রুদ্রাক্ষ পরিধান করুন।
হনুমান চালিশা পাঠ করা হল শনিদেবের কুদৃষ্টি থেকে বাঁচার সবচেয়ে নিশ্চিত উপায়। জাতক-জাতিকারা কুণ্ডলীতে ঢাইয়া বা সাড়ে সাতি থাকে বা আপনি শনির ক্রোধের শিকার হতে থাকেন৷ আর এই খারাপ অবস্থার থেকে উদ্ধার পেতে হনুমান চালিশা পাঠ করুন।

