সংক্ষিপ্ত
বাংলার বহু গ্রামে মকর সংক্রান্তির দিন কুমিরকে পুজো করার রীতি প্রচলিত আছে। মূল কাহিনীর সঙ্গে যোগ রয়েছে বাংলাদেশেরও।
মকর সংক্রান্তিতে (Makar Sankranti) করা হয় মকরের পুজো। বাংলার বহু গ্রামে মকর সংক্রান্তির দিন কুমিরকে পুজো করার রীতি প্রচলিত আছে। হুগলির ব্যান্ডেলে বসবাসকারী পাল পরিবারের সঙ্গে জড়িত রয়েছে এই পুজোর ঐতিহ্য এবং পুরাকাহিনী।
মূল কাহিনীর সঙ্গে যোগ রয়েছে বাংলাদেশেরও। প্রাচীন বাংলাদেশের বরিশালের বাসিন্দা পাল পরিবার। নদি নালা খাল বিলে ভরা ছিল সেই বরিশাল। গঙ্গা যেখানে পদ্মায় বদলে গেছে আর ব্রহ্মপুত্র মিশেছে যমুনায়। সেই বদ্বীপের পাশ দিয়ে আরিয়াল খানের খাল, কাছেই আছে কীর্তনখোলা নদি। যাতায়াতের পথে জলে থাকত কুমির কামঠ। প্রতিঘরেই ছিল ডিঙি বা নৌকার ব্যবস্থা। ঘরের পাশে ঘাটলায় বাঁধা থাকত ডিঙি। তার পাশেই রোদ পোহাত কুমির কামঠ। এজন্য একটা প্রবচনও চালু হয়ে গেছিল:
"আইতে শাল, যাইতে শাল
তাহার নামই বরিশাল"
‘শাল’ শব্দের অর্থ হল যন্ত্রণা।
প্রাচীন কথা অনুসারে, মকর সংক্রান্তির সঙ্গে প্রজননের একটা যোগ আছে। তার প্রতীক হিসেবে পুজো করা হয় কুমির।
অন্য একটি ভিন্ন মত অনুসারে, কুমিরের হাত থেকে বাঁচার জন্যই পুজো করতেন প্রাচীনকালের মানুষরা।
ব্যান্ডেলের পাল পরিবারের বাস্তু দেবতা হলেন কুমির। সেজন্য আগে এই পরিবারের মানুষজন জীবন্ত কুমিরের পুজো করলেও এখন ছাদের ওপর শামিয়ানা টাঙ্গিয়ে মাটির কুমিরেরই পুজো করা হয়। নৈবেদ্য হিসেবে দান করা হয় অন্ন সেবা।