সংক্ষিপ্ত

  • রুদ্রাক্ষের মধ্যে বহু প্রকার শক্তি কেন্দ্রীভুত থাকে বলে মনে করা হয়
  • রুদ্রাক্ষের মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা একমুখী রুদ্রাক্ষকেই
  • তবে এটি খুবই দুলর্ভ ফলে অত্যন্ত মূল্যবাণ
  • এই রুদ্রাক্ষ ধারণে মানুষ অপরাজেয় হয়

হিন্দুশাস্ত্র মতে রুদ্রাক্ষের অর্থ হল ভগবান শিবের তৃতীয় চোখ থেকে জন্ম নিয়েছে যে উপাদান।
রুদ্রাক্ষের মধ্যে বহু প্রকার শক্তি কেন্দ্রীভুত থাকে বলে মনে করা হয়। সে রকম ভাবেই একমুখী রুদ্রাক্ষের মধ্যেও নিহিত রয়েছে দৈবশক্তি। 
শাস্ত্রমতে প্রতিটি রুদ্রাক্ষের মধ্যে দেবাদিদেব মহাদেবের প্রভাব বর্তমান। তবে সব রুদ্রাক্ষের মধ্যে সেই বিশেষ গুণ থাকে না তা রয়েছে বিশেষ কয়েকটি রুদ্রাক্ষেই। রুদ্রাক্ষের মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা একমুখী রুদ্রাক্ষকেই। তবে এটি খুবই দুলর্ভ ফলে অত্যন্ত মূল্যবাণ।  মনে করা হয় এই রুদ্রাক্ষ ধারণে মানুষ অপরাজেয় হয়। সেই সঙ্গে ধারণকারী  শিবের সঙ্গে অন্য দেবতার আশীর্বাদ ও মহাশক্তি সেই লাভ করেন। এই রুদ্রাক্ষের অধিষ্ঠাতা দেবতা স্বয়ং শিব। এই রুদ্রাক্ষ ধারণে যাবতীয় পাপ নাশ হয়। এর নিয়ন্ত্রক গ্রহ রবি। যে ব্যক্তিরা ক্ষমতা লাভ করতে চান, তাঁরা এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে সুফল পাবেন।
বা হাতে কিংবা গলায় এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করতে হয়। একমুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে অনেক বাধা বিপত্তি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে একমুখী রুদ্রাক্ষ গোল আকারের হলে তবেই সেটা উৎকৃষ্টমানের। তবে অনেক সময় অর্ধচন্দ্রাকৃতি আকারের পাওয়া যায়। তবে সব সময় রুদ্রাক্ষ ধারণের আগে তা শুদ্ধ করে নেওয়া উচিত। তবেই ধারণের প্রকৃত ফল পাওয়া যায়। 
সৌভাগ্যবশত যদি কেউ একমুখী রুদ্রাক্ষ পেয়ে থাকেন তবে নিয়ম অনুসারে তা পুজো করে তবেই ধারণ করা যাবে। রুদ্রাক্ষ কখনও অশুভ ফল প্রদান করে না। এর গুণাবলীর শেষ নেই।  নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকলেই রুদ্রাক্ষ ধারন করতে পারেন।