সংক্ষিপ্ত
কথিত আছে, এই শুভ তিথিতে জন্ম হয়েছিল সিদ্ধিদাতার। তবে জানেন কি দেবী পার্বতীর গর্ভে জন্ম হয়নি সিদ্ধিদাতা গণেশের। তাঁর জন্ম নিয়ে রয়েছে এক বিস্তর কাহিনি।
সারা দেশ জুড়ে ধুমধাম করে পালিত হচ্ছে গণেশ চতুর্থী। কোথাও তিন দিন, কোথাও সাত দিন কিংবা কোথাও ১০ দিন ধরে চলে উৎসব। প্রতি বছর শুক্ল চতুর্থী তিথিতে পালিত হয় গণেশ চতুর্থী। এবছর শুভ তিথি শুরু হচ্ছে ৩০ অগস্ট। এই দিন দুপুর ৩টে ৩৪ মিনিট থেকে শুরু হবে শুভ সময়। চলবে ৩১ অগস্ট দুপুর ৩ টে ২৩ মিনিট পর্যন্ত। কথিত আছে, এই শুভ তিথিতে জন্ম হয়েছিল সিদ্ধিদাতার। তবে জানেন কি দেবী পার্বতীর গর্ভে জন্ম হয়নি সিদ্ধিদাতা গণেশের। তাঁর জন্ম নিয়ে রয়েছে এক বিস্তর কাহিনি।
পূরাণ অনুসারে, একদিন দেবী পার্বতী স্নান করে যাওয়ার সময় নন্দীকে গুহার দরজায় পাহারা দিতে আদেশ দেন। তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন দেবীর আদেশ ছাড়া কেউ যেন গুহায় প্রবেশ না করে। কিন্তু, নন্দী সেই আদের অমান্য করেন। দেবী পার্বতীর অনুমতি ছাড়াই তিনি দেবাদিদেবকে গুহায় প্রবেশ করতে দেন। এতে ক্রুদ্ধ হন দেবী। তিনি স্থির করেন এমন একজনের সৃষ্টি করবেন যে তাঁর সব কথা মান্য করবে। সেই সময় নিজের গায়ের হলুদ দিয়ে তিনি একটি মূর্তি তৈরি করেন। একটি বালকের মূর্তি তৈরি করে তাতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেন। এভাবে দেবীর গায়ের হলুদ থেকে জন্ম হয় গণেশের।
পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে জন্মের সময় গণেশের চেহারা বাকি দেবতাদের মতোই ছিল। ভগবান শিবের ক্রোধের কারণে তাঁর চেহারার পরিবর্তন হয়। কাহিনি অনুসারে, গণেশের জন্মের কথা মহাদেবের কাছে ছিল অজানা। তিনি একদিন গুহায় প্রবেশ করতে গেলে গণেশ তাঁকে বাধা দেন। এমন বালকের বাধায় রাগান্নিত হন মহাদেব। গণেশের শরীর থেকে মাথা আলাদা করে দেন। এই ঘটনায় দেবী পার্বতী খুবই ক্রুদ্ধ হন। তখন মহাদেব নিজেব ভুল বুঝতে পারে অনুচরকে আদেশ করেন, উত্তর দিকে মুখ করে শুয়ে থাকা যে কোনও প্রাণীর মুণ্ডু নিয়ে আসতে। তখন তারা হাতির মুণ্ডু নিয়ে আসেন। শিব সেই মাথা স্থাপন করে প্রাণ ফিরিয়ে দেন গণেশের। এমন ভাবেই জন্ম হয়েছিল ভগবান গণেশের। শাস্ত্র মতে, গণেশ চতুর্থী বা ভাদ্র শুক্ল চতুর্থী তিথি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই দিন দুপুরের সময় গণেশের জন্ম হয়েছিল। সেই অনুসারে প্রতি বছর পালিত হয় দিনটি। আজ পালিত হচ্ছে সেই শুভ তিথি।
আরও পড়ুন-গণেশ চতুর্থী থেকে এই ৪ রাশির ভাগ্য বদলাতে চলেছে, এই তালিকায় আপনার রাশি আছে কি