সংক্ষিপ্ত
- সিদ্ধি, বিঘ্ননাশকারী, অর্থ জ্ঞানের দেবতা রূপে পূজিত হন গণেশ
- যিনি প্রতিদিন গণেশের স্তোত্র পাঠ করেন, তাঁর সমস্ত বাধা বিপত্তি দূর করা হয়
- ভাদ্র মাসের ভাদ্রপদ শুক্লা চতুর্থী তিথিতে গণেশ পুজো করা হয়
- মানসিক শক্তি, পরিবারে সুখ-শান্তি, উপার্জন বৃদ্ধিরও দেবতা এই গনপতি
হিন্দু সম্পদ্রায়ে সিদ্ধি, বিঘ্ননাশকারী, অর্থ জ্ঞানের দেবতা রূপে পূজিত হন গণেশ। মানসিক শক্তি, পরিবারে সুখ-শান্তি, উপার্জন বৃদ্ধির দেবতা এই গনপতি। হিন্দুশাস্ত্র মতে মনে করা হয়, যিনি প্রতিদিন গণেশের স্তোত্র পাঠ করেন, তাঁর সমস্ত বাধা বিপত্তি দূর করা হয়। ভাদ্র মাসের ভাদ্রপদ শুক্লা চতুর্থী তিথিতে গণেশ পুজো করা হয়। হিন্দু পুরাণ মতে, ভক্তদের মনবাঞ্ছা পূরণ করতেই শিব-পার্বতী পুত্র মর্তে অবর্তীণ হয়েছিলেন। শুধুমাত্র দেশেই নয় দেশের বাইরেও এই উৎসব ততটাই জনপ্রিয়। নেপালে এই উৎসবের নাম চথা। গণেশ চতুর্থীর এই উৎসব বিভিন্ন নামে পরিচিত যেমন, বিনায়ক চতুর্থী, বিনায়ক চবিথি ইত্যাদি। তবে জেনে নেওয়া যাক কীভাবে পুরোহিত ছাড়াই পুজো করলে সংসারে সুখ সমৃদ্ধি আনতে পারবেন।
আর পড়ুন- সামনেই গণেশ চতুর্থী! সিদ্ধিদাতাকে তুষ্ট করতে মাথায় রাখুন এই বিষয়গুলি
পুজোর উপকরণ-
গণেশ চতুর্থীতে পুজোর জন্য উপকরণ হিসেবে রাখুন- পানপাতা, সুপুরি, ধূপ-ধুনো, ঠাকুরের জন্য নতুন পোষাক, ফুল, দূর্বা, মোদক, নারকেল, চন্দন কাঠ।
গণেশ মুর্তি স্থাপনের নিয়ম-
মূর্তি স্থাপনের আগে সেই জায়গা পরিষ্কার করে নিয়ে, শুদ্ধ কাপড়ে মূর্তি স্থাপন করে মন্ত্র উচ্চারণ করে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যে কোনও পঞ্জিকায় এই মন্ত্র সহজেই পাওয়া যাবে। এরপরেই ধূপ জ্বালিয়ে আরতি করে গণেশ বন্দনা করুন। মূর্তিতে লাল চন্দনের টিকা দিয়ে, নারকেল ভেঙ্গে বাড়ির অশুভ শক্তি দূর করুন। ঠাকুরের সামনে প্রদীপ জ্বালিয়ে দিনে অন্তত তিনবার আরতি করতে হবে। এরসঙ্গে মোদক, লাড্ডু, ভোগ নৈবেদ্য নিজের সাধ্য মত দিয়ে সেরে ফেলুন পুরোহিত ছাড়াই গণেশ পুজো বাড়িতে।