সংক্ষিপ্ত

জগন্নাথের মন্দির ঘিরে রয়েছে এমনই নানান কাহিনি। প্রতিবছর আষাঢ় মানে আয়োজিত হয় রথযাত্রা। রথযাত্রায় রাজার ভূমিকা বিস্তর। তিনি জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রাদেবীর রথের সামনে পুষ্পপ্রদান করেন। সুগন্ধী জল ছিটিয়ে সোনার ঝাড়ু রাস্তা পরিষ্কার করেন। তারপর পুরীর রথের দড়িতে টান পড়ে।

রাত পোহালেই রথযাত্রা। পুরী, মাহেশ, ইস্কনের মন্দিরে মহা ধুমধামের মধ্যে পালিত হয় এই উৎসব। বছর ভর জগন্নাথ ভক্তরা অধীর অপেক্ষায় থাকেন। এবছর ১ জুলাই (১০ আষাঢ়) শুক্রবার পড়েছে রথ। ৩০ জুন ঘ ৯/৭/৪ এ শুরু হচ্ছে শুভ সময় আর শেষ হচ্ছে ১ জুলাই ঘ ১১/১/৫৬ মিনিটে। উল্টো রথ পড়েছে ৯ জুলাই (১৮ আষাঢ়) শনিবার। বছরের এই নির্দিষ্ট সময় আলোকিত হয়ে ওঠে পুরী। জগন্নাথদাম পুরী ঘিরে রয়েছে একাধিক কাহিনি। ওড়িশার প্রচীন পুঁথি ব্রক্ষ্মাণ্ডপুরাণ অনুসারে সত্যযুগ থেকে চালু হয়েছে এই রথযাত্রা। সেই সময় ওড়িশার নাম ছিল মালব দেশ। সেখানের রাজা ইন্দ্রদ্যুন্ম স্বপ্নে বিষ্ণু মন্দির গড়ার নির্দেশ পেয়েছিলেন। তবে, সে মন্দির কেমন হবে সে সম্পর্কে রাজার তেমন ধারণা ছিল না। এর পর নানান ঘটনার পর মন্দির স্থাপন হয়। কিন্তু, মন্দিরে জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রার মূর্তি তৈরি ঘিরে বিশ্বকর্মাকে অসন্তুষ্ট করে ফেলেন ইন্দ্রদ্যুন্ম। সে কারণে দেব-দেবীর মূর্তি অসম্পূর্ণ রেখেই চলে যান। জগন্নাথের মন্দির ঘিরে রয়েছে এমনই নানান কাহিনি। 

প্রায় আনুমানিক সাতশো বছরের পুরনো পুরীর মন্দির। প্রতিবছর আষাঢ় মানে আয়োজিত হয় রথযাত্রা। উৎসবের শুরু হয় জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা থেকে। এবছর ১৪ জুন পালিত হয়েছ স্নানযাত্রা উৎসব। আর রথ যাত্রা পালিত হবে ১ জুলাই। প্রতি বছর রথযাত্রার উদ্বোধন করেন সেখানের রাজা। রাজতন্ত্র না থাকলেও এখনও বংশপরম্পরা ক্রমে পুরীর রাজপরিবার আছে। সেখানে নিয়ম অনুসারে, যিনি রাজা উপাধি প্রাপ্ত হন তিনি পুরীর রাজা। তিনি জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রাদেবীর রথের সামনে পুষ্পপ্রদান করেন। সুগন্ধী জল ছিটিয়ে সোনার ঝাড়ু রাস্তা পরিষ্কার করেন। তারপর পুরীর রথের দড়িতে টান পড়ে। 

পুরীর বর্তমান রাজা হলেন দিব্যসিংহ দেব। তিনি পাঁচ দশকে বেশি সময় ধরে এই পদে আছেন। ১৯৭০ সালে ১৭ বছর বয়সে সিংহাসনে আরোহন করেন তিনি। তার পিতার মৃত্যুর পর তিনি রাজা হন। তিনি সেন্ট স্টিফেনস কলেজের ছাত্র ছিলেন। তিনি দিল্লির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন নিয়ে পড়াশোনা করেন। তারপর শিকাগো নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি অফ ল থেকেও ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি রাজা বীরকিশোর দেব এবং রানি সূর্যমণি পাতার জ্যেষ্ঠ পুত্র। প্রতি বছর তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম পালনের পর রথের দড়িতে টান পড়ে। তারপর শুরু হয় জগন্নাথদেবের যাত্রা।  

আরও পড়ুন- বৃহস্পতিবারে কেমন থাকবে আপনার লাভ লাইফ, দেখে নিন ১২ রাশির আজকের প্রেমের জীবন

আরও পড়ুন- ৩০ বছর পর বিরল গ্রহের যোগ, ৪ রাশিতে একসঙ্গে গঠিত হওয়া রাজযোগে বদলাবে ভাগ্য

আরও পড়ুন- প্রতিবেশীদের সঙ্গে বিবাদ হতে পারে এই তারিখের জাতক-জাতিকার, দেখে নিন সংখ্যাতত্ত্বের গণনা