সংক্ষিপ্ত
এই মন্দির সম্পর্কে এমন বিশ্বাস রয়েছে যে ধনতেরাস থেকে দীপাবলি পর্যন্ত মাতা মহালক্ষ্মীর চরণে এবং তাঁর দরবারে যা কিছু নিবেদন করা হয় তা বহুগুণ বেড়ে যায়।
ভারত আশ্চর্য ও বিস্ময়কর মন্দিরে পরিপূর্ণ। এখানে এমন অনেক অলৌকিক ধর্মীয় স্থান রয়েছে যার সাথে সম্পর্কিত রহস্যগুলি এখনও কেউ জানেন না। আমাদের দেশে এমন অনেক মন্দির আছে যাদের বিশ্বাস একেবারেই আলাদা। সাধারণত দেখা যায়, ভক্তরা মন্দিরে গিয়ে তাদের মানত করেন এবং তা পূর্ণ শেষ হওয়ার পর মন্দিরে গিয়ে প্রসাদ দেন, কিন্তু আপনি কি জানেন আমাদের দেশে এমন একটি মন্দির আছে যেখানে ভক্তরা প্রসাদ হিসেবে অলংকার পান। এই মন্দিরে আসা ভক্তরা স্বর্ণ ও রৌপ্য মুদ্রা নিয়ে বাড়ি যায়।
আমরা রতলামের অনন্য মহালক্ষ্মী মন্দিরের কথা বলছি। মা মহালক্ষ্মীর এই মন্দিরে সারা বছরই ভক্তদের ভিড় থাকে। ভক্তরা এখানে এসে মায়ের চরণে কোটি টাকার গহনা ও নগদ অর্পণ করেন। এটি দেশের একমাত্র মন্দির যেখানে দীপাবলির আগে ভক্তরা গয়না এবং নগদ অর্থ প্রদান করে। কিছু নোটের বান্ডিল এবং কিছু সোনা ও রূপার অলংকার। এই মন্দিরটি কুবেরের ধন হিসেবে বিখ্যাত।
প্রসাদে ভক্তরা অলংকার পায়
দীপাবলি উপলক্ষে এই মন্দিরে ধনতেরাস থেকে পাঁচ দিন ধরে দীপোৎসবের আয়োজন করা হয়। এই সময়, মন্দির ফুল দিয়ে সজ্জিত করা হয় না। তার বদলে অলঙ্কার এবং ভক্তদের দ্বারা নিবেদিত অর্থ দিয়ে সজ্জিত করা হয়। এই মন্দির সম্পর্কে কথিত আছে যে ধনতেরাসে মহিলা ভক্তদের কুবেরের একটি বান্ডিল দেওয়া হয়। এখানে আসা কোনো ভক্তকে খালি হাতে ফেরানো হয় না। তাদের দেওয়া হয় কোনো না কোনো প্রসাদ।
এই মন্দির সম্পর্কে এমন বিশ্বাস রয়েছে যে ধনতেরাস থেকে দীপাবলি পর্যন্ত মাতা মহালক্ষ্মীর চরণে এবং তাঁর দরবারে যা কিছু নিবেদন করা হয় তা বহুগুণ বেড়ে যায়। এই কারণেই ভক্তরা তাদের সোনা-রূপা নিয়ে পৌঁছে মায়ের চরণে নিবেদন করেন। এতে করে সারা বছর সুখ-সমৃদ্ধি থাকে। এক সপ্তাহ পর তাদের সোনা-রূপা ফেরত দেওয়া হয় ভক্তদের কাছে। এ জন্য তাদের পরিচয়পত্র জমা দেওয়া হয়।