সংক্ষিপ্ত

শুক্লপক্ষের দ্বিতীয় একাদশী। এবার জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী ১০ জুন শুক্রবার পড়ছে। এই দিনে মানুষ নির্জলা থেকে ব্রত রাখে। তাই এই একাদশী নির্জলা একাদশী ২০২২ ব্রত নামেও পরিচিত। 
 

হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, বছরে ২৪টি একাদশী পড়ে। প্রতি মাসে দুটি একাদশী আছে। অধিমাসের সময় একাদশীর সংখ্যা ২৬টি হয়। এর মধ্যে কৃষ্ণপক্ষের একটি একাদশী। শুক্লপক্ষের দ্বিতীয় একাদশী। এবার জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী ১০ জুন শুক্রবার পড়ছে। এই দিনে মানুষ নির্জলা থেকে ব্রত রাখে। তাই এই একাদশী নির্জলা একাদশী ২০২২ ব্রত নামেও পরিচিত। 

একাদশীর উপবাস পালনকর্তা ভগবান বিষ্ণুর উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হয়। এতে ভগবান বিষ্ণুর পাশাপাশি দেবী লক্ষ্মীরও পূজা করা হয়। লক্ষ্মী নারায়ণের প্রসন্নতায় ঘরে ধন, অন্ন ও সুখের প্রাচুর্য আসে। সকল প্রকার দুঃখ দূরকারী এই নির্জলা একাদশীর উপবাস অত্যন্ত কঠিন। এটা খুব সাবধানে করতে হবে।

নির্জলা একাদশী ব্রত তারিখ এবং শুভ সময় ( নির্জলা একাদশী ২০২২ শুভ সময়)
১০ জুন, ২০২২ শুক্রবার নির্জলা একাদশীর উপবাস পালিত হবে। একাদশী ১০ জুন সকাল ৭টা ২৫ মিনিট থেকে শুরু হয়ে ১১ জুন বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে। মাঝখানে উপবাসের শুভ সময়।

নির্জলা একাদশীর উপবাস ও দান করার গুরুত্ব (নির্জলা একাদশী ২০২২ গুরুত্ব)
২০২২ সালের নির্জলা একাদশীর উপবাস ভগবান বিষ্ণু এবং মা লক্ষ্মীকে খুশি রাখার জন্য করা হয়। এই দিনে জল না খেয়ে সারাদিন ব্রত রাখা হয়। জ্যৈষ্ঠ মাসের প্রচন্ড গরমে এমন সংকল্প খুবই বেদনাদায়ক। তাই এই ব্রত পালন করা হয় অত্যন্ত নিয়ম ও সংযমের সঙ্গে। সারাদিন জল না খেলে শরীরে এর প্রভাব পড়তে পারে, তবে বিশ্বাস ও বিশ্বাস অনেক বড় কথা। এতে মানুষকে দৃঢ় সংকল্প নিয়ে ব্রত রাখতে হবে। যার ফলে ভগবান বিষ্ণু ও মা লক্ষ্মী প্রসন্ন হন।

আরও পড়ুন- কেদারনাথ ধাম যাচ্ছেন, তবে যাত্রার সময় এই বিষয়গুলি অবশ্যই মনে রাখুন

আরও পড়ুন- সরকারি চাকরি পেতে চান, তবে অবশ্যই 'লাল কিতাব'-এর এই নিয়মগুলি মনে রাখুন

আরও পড়ুন- বাড়ির মূল দরজায় রাখুন এই ৬টি জিনিস, বাড়িতে সুখ-সমৃদ্ধি আসবেই

বাড়িটা ধন-সম্পদে ভরা। নির্জলা একাদশী ২০২২ ব্রত দান-এও দাতব্য বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। প্রচণ্ড গরমে ঠাণ্ডা জিনিস দান করলে ভগবান বিষ্ণু প্রসন্ন হন। এই উপবাসের সময় শসা, শসা, কাঁকরোল, কলসি ভরা জল ইত্যাদি দান করলে কাঙ্খিত ফল পাওয়া যায়।

নির্জলা একাদশী ব্রতে (নির্জলা একাদশী ২০২২ ব্রত), গ্রীষ্মে দরকারী জিনিসগুলিও দান করা হয়, যেমন ছাতা, খাটাউ, টিউনিক ইত্যাদি। নির্জলা একাদশী ২০২২ ব্রতের দিনে তৃষ্ণার্তকে জল বা শরবত পান করাও পুণ্য বলে মনে করা হয়।