সংক্ষিপ্ত
করোনার কারণে মাঝের দুই বছর বন্ধ থাকলেও ২০২২ সালে আবারও এই কামাক্ষায় অম্বুবাচী উপলক্ষে মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। জ্যোতিষ শাস্ত্রে বলা হয়েছে, সূর্য যে সময়ে মিথুন রাশিতে গমন করেন, তার পরবর্তী সেই বারের সেই কালে অম্বুবাচী হয়। অর্থাৎ, পৃথিবী এই সময়ে ঋতুমতী হন।
আষাঢ় মাসের ৭ থেকে ১০ তারিখ পর্যন্ত এই রীতি পালন করা হয়। অম্বুবাচী ব্রতটি বিভিন্ন প্রদেশের মানুষ পালন করে থাকলেও অসমের কামাখ্যা মন্দিরে অম্বুবাচীকে কেন্দ্র করে বিশাল উৎসব অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। করোনার কারণে মাঝের দুই বছর বন্ধ থাকলেও ২০২২ সালে আবারও এই কামাক্ষায় অম্বুবাচী উপলক্ষে মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। জ্যোতিষ শাস্ত্রে বলা হয়েছে, সূর্য যে সময়ে মিথুন রাশিতে গমন করেন, তার পরবর্তী সেই বারের সেই কালে অম্বুবাচী হয়। অর্থাৎ, পৃথিবী এই সময়ে ঋতুমতী হন।
এই সময়ে ধরিত্রী মাকে ঋতুমতী হিসাবে কল্পনা করা হয়। তাই অম্বুবাচীর এই সময়ে কামরূপ কামাক্ষা মন্দির বন্ধ থাকে। এই সময় সেখানে পুজোও বন্ধ থাকে। সেখানকার স্থানীয় মানুষের বিশ্বাস প্রতি বছর এই সময়ে দেবী ঋতুমতী হন। তাই অম্বুবাচীর সময়ে তিন দিন মন্দিরের দরজা বন্ধ থাকে। এই তিথি তন্ত্র-মন্ত্র নিয়ে যাঁরা চর্চা করেন তাঁদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শাস্ত্র অনুসারে এমন কিছু কাজ রয়েছে, যা অম্বুবাচীর সময়ে মেনে চলা উচিত। দেখে নেওয়া যাক সেগুলি কি কি-
অম্বুবাচীর তিন দিন পর্যন্ত কোনও রকমের মাঙ্গলিক কার্য করা যায় না। চতুর্থ দিন থেকে মঙ্গলিক কাজে বাধা থাকে না। আম্বুবাচীর সময় হাল ধরা, গৃহ প্রবেশ, বিবাহ ইত্যাদি শুভ কাজ করা নিষিদ্ধ থাকে ও এই সময়ে মঠ-মন্দিরের প্রবেশদ্বার বন্ধ থাকে। অম্বুবাচীর দিনগুলিতে যাঁরা শাক্তমন্ত্রে দীক্ষিত, তাঁরা এইসময়ে গুরুমন্ত্র জপ করতে পারবেন। হিন্দুশাস্ত্র মতে জপে কোনও দোষ নেই বলে মনে করা হয়। মনে করা হয়
এই সময়ে ধরিত্রী মাতাও ঋতুমতী হন তাই অম্বুবাচীর সময়ে ভূমিকর্ষণ ও বৃক্ষরোপণ করা নিষেধ। এই সময়ে অন্য কোনও বিশেষ পুজোর আয়োজন না করাই ভাল। যাঁরা আদি শক্তির বিভিন্ন রূপ পুজো করেন, যেমন মা কালী, দেবী দুর্গা, দেবী জগদ্ধাত্রী, মা বিপত্তারিণী,মা শীতলা, দেবী চণ্ডীর মূর্তি বা পট পূজা করেন, তাঁরা এই সময়ে মূর্তি বা পট লাল কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখবেন।
আরও পড়ুন- কবে থেকে শুরু হচ্ছে ২০২২ সালের অম্বুবাচী উৎসব, জেনে নিন কামাখ্যা ধামের মেলা
আরও পড়ুন- বক্রী হচ্ছে শনি, ১২ জুলাই থেকে এই ৬ রাশির উপর পড়বে বিশাল প্রভাব
আরও পড়ুন- জুলাই মাসে বক্রী শনি গোচর হবে, এই ৩ রাশি পাবে বড় বাবার অপার কৃপা
তবে কোনও কোনও বছর এই সময়ে রথযাত্রার উৎসব পড়লে, তা নির্দিষ্ট নিয়ম মেনেই করা যেতে পারে। কারণ রথযাত্রাকে নিত্যকর্ম হিসাবেই ধরা হয়। মনে করা হয় এই তিন দিনে গৃহ প্রবেশ, বিবাহ ও অন্যান্য শুভ কাজ করা উচিত নয়। অম্বুবাচীতে দেবীর মূর্তি বা পট কখনওই স্পর্শ করা উচিত নয় বলে মনে করে। অম্বুবাচীতে গুরুর পুজা চলতে পারে। কারোর গুরু যদি নারী হন, অর্থাৎ গুরুমা হন, তাহলেও পূজা চলতে পারে, তাতে কোনও দোষ নেই বলে মনে করা হয় । তবে পুজোর সময়ে কোনও মন্ত্র পাঠ করবেন না, কেবল ধূপ ও দ্বীপ সহযোগে ঠাকুর প্রণাম করবেন।