সংক্ষিপ্ত
প্রত্যহ নিয়ম মেনে তুলসী গাছে জল দিলে এবং পুজো করলে সেই বাড়িতে কখনো অর্থের অভাব দেখা দেয়না। এর পাশাপাশি বাড়িতে পজিটিভ এনার্জি এসে উপস্থিত হয় এবং বাড়িকে বিভিন্ন বিপদের হাত থেকেও রক্ষা করে। প্রতিটি মানুষই চায় তার গৃহ সুখে শান্তিতে ভরে উঠুক, তার আর্থিক অবস্থার পাশাপাশি মানসিক অবস্থাও উন্নত থাকুক।
হিন্দু ধর্মাবলম্বী প্রতিটি মানুষের বাড়িতেই তুলসী গাছ বা তুলসী মন্দির দেখে থাকবেন। হিন্দু ধর্মে তুলসী গাছ কে দেবী রূপেই পূজা করা হয়। সেই কারণেই তুলসী গাছে প্রতিদিন সন্ধ্যাবেলায় জ্বালানো হয় প্রদীপ। এছাড়াও পুজোর কাজেও লাগে তুলসীপাতা। এর পাশাপাশি মনে করা হয়ে থাকে তুলসী গাছের মধ্যে বাস করে থাকেন স্বয়ং লক্ষী ও নারায়ন। সেই কারনেই তুলসী গাছ কে কখনোই অবহেলা করা উচিৎ নয়।
প্রত্যহ নিয়ম মেনে তুলসী গাছে জল দিলে এবং পুজো করলে সেই বাড়িতে কখনো অর্থের অভাব দেখা দেয় না। এর পাশাপাশি বাড়িতে পজিটিভ এনার্জি এসে উপস্থিত হয় এবং বাড়িকে বিভিন্ন বিপদের হাত থেকেও রক্ষা করে। প্রতিটি মানুষই চায় তার গৃহ সুখে শান্তিতে ভরে উঠুক, তার আর্থিক অবস্থার পাশাপাশি মানসিক অবস্থাও উন্নত থাকুক। তবে এই সকল জিনিস গুলি পেতে হলে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলার ও প্রয়োজন আছে।
আরও পড়ুন- সাবধান! ভুলেও এইভাবে খাবার খাবেন না, পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার খেলেও বদ হজম হয়ে যাবে
যার জন্য পূজা অর্চনা যেমন জরুরি তেমনি জরুরি নিত্যদিন সঠিক ভাবে এই নিয়মগুলি মেনে চলা। বস্তু বিদরা বলছেন আপনি আপনার বাড়ির বাস্তুদোষ খুব সহজেই কাটিয়ে উঠতে পারেন একটি গাছের সাহায্যে। জানানো হচ্ছে বাড়িতে তুলসী গাছের পাশাপাশি এই গাছ রাখলে তা আপনার গৃহের থেকে সমস্ত নেগেটিভ শক্তি বার করে পজিটিভ শক্তি নিয়ে আসতে সাহায্য করবে। জেনে নিন সেই গাছ সম্পর্কে।
আৎও পড়ুন- লোডশেডিং হয়ে গেলে বন্ধ ফ্রিজ? কীভাবে তরতাজা রাখবেন ফল-সবজি
ঘুম থেকে উঠে কি করণীয় - আপনার গৃহ সুখ শান্তিতে ভরিয়ে তুলতে চাইলে প্রত্যহ সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে একটি নিয়ম মেনে চলা জরুরী ।সেটি হলো প্রথমে চোখ খুলেই আপনার তালুর দিকে তাকাতে হবে। তার পর মনে মনে মা লক্ষী ও দেবী দুর্গাকে স্মরণ করুন। এর পর ধরিত্রী দেবীকে প্রণাম করে তবেই আপনার পা বিছানা থেকে মাটিতে স্পর্শ করুন। এর পর দূর থেকে ঠাকুরঘরে দেব দেবীর দর্শন করে তার পরই দিন শুরু করুন।
গাছের সাহায্যে বস্তু দোষ দূর করার নিয়ম - এক্ষেত্রে আপনি আপনার গৃহের বাস্তুদোষ খুব সহজেই দূর করতে পারবেন কেবল মাত্র দুটি গাছের মাধ্যমে। এই গাছ দুটির প্রথম গাছটি অবশ্যই হতে হবে তুলসী গাছ। এবং এই তুলসী গাছের পাশের টবেই আপনাকে পালন করতে হবে একটি ধুতরা গাছ। এই দুই গাছের সাহায্যেই আপনি মুক্তি পেতে পারেন বস্তুদোষ থেকে। এই পদ্ধতিটি পালন করলে শুধু যে আপনার গৃহের বাস্তুদোষ দূর হবে তাই নয়। আপনার গৃহে প্রবেশ করবে সুখ,শান্তি। আর্থিক দিক থেকে আপনার পরিস্থিতি সচ্ছল হবে। কর্মক্ষেত্রেও আপনার উন্নতি হবে অসম্ভব।
আরও পড়ুন- ঠান্ডার জন্য নয়, এই বিশেষ কারণেই ভুলেও শীতকালে রাতের বেলা খাবেন না 'টকদই'
দুই গাছকেই পুজো করুন - এক্ষেত্রে প্রতিটি হিন্দু বাড়িতেই তুলসী গাছ বা তুলসী মন্দিরে সন্ধ্যা বেলায় ধুপ ধুনো সহযোগে প্রদীপ জ্বালানো হয়ে থাকে। তবে এক্ষেত্রে শুধু তুলসী গাছ নয় তার সাথেই পাশে থাকা ধুতরা গাছকেও আপনাকে পুজো করতে হবে। এক্ষেত্রে এই ধুতরা গাছ টিকে একটানা এক বছর ধরে কাঁচা দুধ এবং মিছড়ি জল দিয়ে স্নান করান।
তার সাথেই ধুপ দেখিয়ে পুজো দিন। আপনি যদি সঠিক নিয়মে এই কাজটি একটানা একবছর করে যেতে পারেন সেক্ষেত্রে আপনার পরিবর্তন আপনি নিজেই লক্ষ করতে পারবেন। এর সাথেই ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর দেবের কৃপা দৃষ্টি লাভ করতে সক্ষম হবেন। এর কারন হচ্ছে মাতা তুলসী প্রভু নারায়নের ভক্ত, অপরদিকে ধুতুরা ফুল বাবা মহাদেবের পছন্দের। এদিকে ব্রহ্মা দেবের বাসস্থান হিসেবে তুলসী গাছের শিকড় কেই স্থান দেওয়া হয়েছে শাস্ত্রে।