সংক্ষিপ্ত

  • জ্যোতিষীদের মতে শনির কুদৃষ্টি জীবনে অশুভ ফল নিয়ে আসে
  • শনি সনাতন হিন্দু ধর্মের একজন দেবতা
  • যিনি দুর্ভাগ্যের অশুভ বাহক হিসেবে বিবেচিত হন
  • জেনে নিন সেই দুই রাশির সম্পর্কে ৫টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

শনি সনাতন হিন্দু ধর্মের একজন দেবতা, যিনি সূর্যদেব ও তার পত্নী ছায়াদেবীর পুত্র, এজন্য তাকে ছায়াপুত্র-ও বলা হয়। শনিদেব, মৃত্যু ও ন্যায় বিচারের দেবতা যমদেব বা ধর্মরাজের জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা। শনিদেব সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ধারণা যতই ভয়-ভীতি মিশ্রিত হোক না কেন, মৎস্য পুরাণ কিন্তু শনিদেবকে লোকহিতকর গ্রহের তালিকাতেই ফেলেছে। প্রতি শনিবার সন্ধ্যায় শনিদেবের পূজার্চনা করার বিধান রয়েছে। বড় ঠাকুর বা শনিদেবের কৃপা দৃষ্টি সকলেই লাভ করতে চান।  

আরও পড়ুন- ১১ মে রাশি পরিবর্তন করছে শনি, এর মারাত্মক প্রভাব থাকবে এই রাশিগুলির উপর

ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ মতে, একদিন শনির ধ্যানের সময়, তার স্ত্রী সুন্দর বেশভূষা নিয়ে তার কাছে এসে কামতৃপ্তি প্রার্থনা করেন। ধ্যানমগ্ন শনি সেদিকে খেয়াল না করাতে অতৃপ্তকাম পত্নী শনিকে অভিশাপ দিলেন, আমার দিকে তুমি ফিরেও চাইলে না ! এরপর থেকে যার দিকে চাইবে, সে-ই ভস্ম হয়ে যাবে! মধ্যযুগীয় গ্রন্থ মতে শনি হলেন একজন দেবতা, যিনি দুর্ভাগ্যের অশুভ বাহক হিসেবে বিবেচিত হন। এই কারনেই  শনির দৃষ্টি অশুভ ফল নিয়ে আসে বলে মনে করা হয়। এই গ্রহ যেই ২ রাশির অধিপতি জেনে নিন সেই দুই রাশির সম্পর্কে ৫টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-

আরও পড়ুন- মঙ্গল ও রাহুর হবে রাশি পরিবর্তন, এর ফলে বৃদ্ধি পেতে পারে দুর্ঘটনা ও বিরোধের আশঙ্কা

মকর রাশি- এরা কথা কম বলতে বেশি পছন্দ করেন, তবে এদের কথা বলার ধরন বুদ্ধিদীপ্ত ও শাণিত। এই রাশির জাতক-জাতিকারা খুবই স্নেহপ্রবণ। এরা সবার সঙ্গে মিলেমিশে থাকতে বেশি পছন্দ করেন। এরা মনে করেন সততাই এদের মূলধন, তাই সৎ পথে এরা জীবন এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এই রাশির জাতক-জাতিকারা বিলাসবহুল জিনিস বেশি পছন্দ করেন। এরা অত্যন্ত উচ্চাভিসালী হওয়ায় এরা একের অধিক উপায়ে আয় করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে পারেন। এরা ঘুরতে খুব ভালোবাসেন, তবে এদের বন্ধুর সংখ্যা খুব সীমিত।

কুম্ভ- এই রাশির জাতকদের চাকরি থেকে ব্যবসার ভাগ্য ভালো। এই রাশির জাতকেরা একা থাকতে বেশি ভালোবাসেন। এই রাশির ব্যক্তিত্বরা সাধারণত ভালো স্বভাবের তবে গ্রহের ফেরে এরা নিষ্টুর প্রকৃতিরও হয়ে থাকেন। শনি গ্রহ এই রাশির অধিকর্তা হওয়ায় এদের জীবনে প্রচুর কষ্ট থাকলেও পরবর্তী সময়ে এরা সুখ ভোগ করে থাকেন। এরা অত্যন্ত ভাবুক ও ধর্মপরায়ণ হয়ে থাকেন।