সংক্ষিপ্ত
চলতি মাসের ৬ জানুয়ারি পড়েছে মাসিক বিনায়ক চতুর্থী। ভগবান গণেশের পুজো করা হয় বিনায়ক চতুর্থীতে। আজ সারা দেশ জুড়ে পালিত হচ্ছে মাসিক গণেশ চতুর্থী ব্রত (Masik Vinayak Chaturthi)। গণেশ ভক্তরা কৃষ্ণপক্ষের সময় পালন করেন সংকষ্টী বা সংকট হর চতুর্থী ব্রত। জেনে নিন পুজোর ইতি-বৃত্তান্ত।
আজ সারা দেশ জুড়ে পালিত হচ্ছে মাসিক গণেশ চতুর্থী ব্রত (Masik Vinayak Chaturthi)। গণেশ ভক্তরা কৃষ্ণপক্ষের সময় পালন করেন সংকষ্টী বা সংকট হর চতুর্থী ব্রত। আর বিনায়ক চতুর্থী ব্রত (Vinayak Chaturthi Vrat) পালিত হয় শুক্লপক্ষে। সেই অনুসারে আজ চতুর্থী তিথি, শুক্লপক্ষ। পৌষ মাসে আজ পালিত হচ্ছে মাসিক বিনায়ক চতুর্থী ব্রত। আজ নিষ্ঠার সঙ্গে বিনায়ক ব্রত পালন করলে সুফল মিলবে সর্বক্ষেত্রে।
কীভাবে পালন করবেন মাসিক বিনায়ক চতুর্থী ব্রত
মাসিক বিনায়ক চতুর্থী ব্রত (Vinayak Chaturthi Vrat) পালনের জন্য কাক ভোরে উঠে স্নান করুন। এবার নতুন অথবা পরিষ্কার পোশাক পরুন। ঠাকুর ঘরের বেদীতে স্থাপন করুন গণেশ মূর্তি। মূর্তিতে ফুলে মালা পরান। সামনে রাখুন প্রদীপ। আজ সরষের তেল কিংবা ঘি দিয়ে প্রদীপ জ্বালাতে পারেন। এবার পুজোর থালায় সিঁদুর, হলুদ, চন্দন ও ২১টি দূর্বা ঘাস দিন। ‘ওম গণ গণপতয়ে নমঃ’ মন্ত্র জপ করে পুজো করুন ভগবান গণেশের। জপ করতে পারেন গণেশ গায়ত্রী মন্ত্রও। এই সময় পাঁচ রকম ফল, পান, সুপারি অর্ঘ্য নিবেদন করুন ভগবান গণেশকে। তবে, সকালে উপবাস করে গণেশ পুজো করতে হবে। পুজো শেষে ভোজন করতে পারেন। এদিন নিরামিশ ভোজন করাই ভালো।
বিনায়ক চতুর্থী ব্রত কথা
শাস্ত্র মতে, দুটি চন্দ্র পাক্ষিক একটি হিন্দু মাস তৈরি হয়। কৃষ্ণপক্ষে পালিত ব্রতকে বলে সংকট হর চতুর্থী। আর শুক্লপক্ষে পালিত ব্রতকে বলে বিনায়ক চতুর্থী (Vinayak Chaturthi)। চলতি মাসের ৬ জানুয়ারি পড়েছে বিনায়ক চতুর্থী। এদিন ভগবান গণেশের পুজো করা হয় বিনায়ক চতুর্থীতে। এই ব্রত সম্পর্কে একটি কাহিনি বর্ণিত আছে পুরাণে। কাহিনি অনুসারে, এদিন নর্মদা নদীর তীরে বসে ভগবান শিব ও পার্বতী চৌসা খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। যেহেতু খেলাটি নিরীক্ষণ করার কেউ ছিল না, তাই ভগবান শিব (Lord Shiv) তার ক্ষমতা বলে একটি ছোট ছেলেকে তৈরি করেন। তাকে দায়িত্ব দেন কে জয় লাভ করছে তা নিরিক্ষণ করার। খেলায় দেবী পার্বতী তিনবার জয় লাভ করেন। কিন্তু, ছেলেটি শেষ পর্যন্ত ভগবান শিবকেই বিজয়ী ঘোষণা করেন। এই পক্ষপাতিত্বের কারণে রেগে যান দেবী পার্বতী। দেবী অভিশাপ দেন ছেলেটিকে। তিনি দেবীর কাছে ক্ষমা চান। দেবী তাঁকে নির্দেশ দেন জলাধারের কাছে বসে থাকার। নাগ কন্যাদের দর্শনের জন্য অপেক্ষার করার নির্দেশ দেন। ছেলেটি বারে বারে ক্ষমা চাইতে থাকে। শেষে ছেলেটির আন্তরিক আবেদন শুনে মাতা তাকে ২১ দিনের ব্রত পালনের কথা বলেন। শুরু হয় গণেশের ব্রত। সেই থেকে প্রচলিত হয় বিনায়ক চতুর্থী ব্রত (Vinayak Chaturthi Vrat)।
আরও পড়ুন: 'ওম' মন্ত্র জপ করলেই মেলে সমস্ত পুজোর ফল, জেনে নিন এর পৌরাণিক তাৎপর্য