সংক্ষিপ্ত

দুর্গাপূজায় বাঙালিরা অনেক আচার-অনুষ্ঠান করে থাকে। এর মধ্যে একটি হলো সিঁদুর খেলা। বিবাহিত মহিলাদের জন্য এই ঐতিহ্যের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। আসুন জেনে নিই কখন আমরা সিঁদুর খেলা এবং এর গুরুত্ব কি।
 

ষষ্ঠী মানেই দুর্গাপূজার শুরু। নবরাত্রির নয় দিন হিন্দুদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, একইভাবে পাঁচ দিনের দুর্গাপূজাকে বাঙালি সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব বলে মনে করা হয়। দুর্গাপূজায় বাঙালিরা অনেক আচার-অনুষ্ঠান করে থাকে। এর মধ্যে একটি হলো সিঁদুর খেলা। বিবাহিত মহিলাদের জন্য এই ঐতিহ্যের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। আসুন জেনে নিই কখন আমরা সিঁদুর খেলা এবং এর গুরুত্ব কি।

বাংলার বিজয়াদশমী ২০২২ মুহুর্ত-
বাংলার বিজয়াদশমী সময় দুপুর ১ টা ২৬ মিনিট থেকে ৩ টা ৪৭ মিনিট পর্যন্ত 
সময়কাল - ২ ঘন্টা ২২ মিনিট

সিন্দুর খেলা ২০২২ কবে? 
নবরাত্রি উৎসবের শেষ দিনে অর্থাৎ বিজয়াদশমী, বাঙালি বিবাহিত মহিলারা সিঁদুর খেলার আচার পালন করে। এই বছর সিঁদুর বাজানো হয় ৫ অক্টোবর, ২০২২-এ। বাঙালির বিশ্বাস যে মাকে বিদায় দেওয়ার আগে এই প্রথা মেনে চললে সৌভাগবতী হওয়ার বর পাওয়া যায়।


সিন্দুর খেলা কি?
নবরাত্রির ষষ্ঠ দিনে শুরু হয় দুর্গাপূজা। বাঙালি বিশ্বাস অনুসারে, দেবী দুর্গা তার পুত্র গণেশ এবং কার্তিকেয়কে নিয়ে পৃথিবীতে তার মাতৃগৃহে আসেন। তাদের সঙ্গে মা সরস্বতী ও মা লক্ষ্মীও আসেন। প্যান্ডেলগুলিতে, তারা পাঁচ দিন ধরে জাঁকজমকের সঙ্গে দেবীর পূজা করে, তারপরে দশমীতে সিঁদুর বাজানো হয়, অর্থাৎ সিঁদুর নিবেদন করে মাকে বিদায় দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন- দুর্গাপুজা ও তার পরবর্তী সময় এই ৫ রাশির জন্য খুব চাপের হতে পারে, দেখে কোন রাশি আছে এই

আরও পড়ুন- দুর্গাপুজোর সময় থেকে বাকি বছরটা এই ৪ রাশির জন্য অত্যন্ত শুভ, জেনে নিন কারা আছেন 

আরও পড়ুন- এই বছর মা দুর্গার আগমণ হবে 'হাতিতে' চড়ে, জেনে নিন মায়ের প্রতিটি বাহনের গুরুত্ব

সিন্দুর খেলার গুরুত্ব-
পান দিয়ে মা দুর্গার উদ্দেশে সিঁদুর মাখিয়ে তার স্বামীর দীর্ঘায়ু কামনা করে। এরপর নারীরা একে অপরের গায়ে সিঁদুর লাগিয়ে আড়ম্বর সহকারে এই প্রথা পালন করেন। প্রথা অনুযায়ী, মাকে সিঁদুর মাখিয়ে মিষ্টি খাওয়ানোর পর তাকে মাতৃগৃহ থেকে বিদায় করা হয়। সুখী দাম্পত্য জীবনের কামনায় এই অনুষ্ঠান করা হয়।

বিজয়াদশমীর বিশেষ ঐতিহ্য
৪৫০ বছর ধরে চলছে সিন্দুর খেলার আচার। পশ্চিমবঙ্গ থেকে এই প্রথা শুরু হয়েছিল। নবরাত্রির শেষ দিনে বাঙালি সম্প্রদায়ের লোকেরা ধুনুচি নৃত্য পরিবেশন করে মাকে খুশি করে।