সংক্ষিপ্ত
- চৈত্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের সপ্তমী ও অষ্টমীতে তিথিতে এই পুজো হয়
- এদিনে শিতল পান্তা খাওয়ার রেওয়াজ রয়েছে
- তিথিকে শীতল সপ্তমী এবং শীতল অষ্টমী বলা হয়
- এই পুজো কোথাও কোথাও বসন্তবুড়ী ব্রত নামেও পরিচিত
চৈত্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের সপ্তমী ও অষ্টমীতে শিতল পান্তা খাওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। এই তিথিকে শীতল সপ্তমী এবং শীতল অষ্টমী বলা হয়। এই দিনগুলিতে শীতলা মায়ের পুজো হয়ে থাকে। কিছু অঞ্চলে এই উৎসবটি সপ্তমীতে এবং কিছু অঞ্চলে অষ্টমীতে উদযাপিত হয়। দেশের বহু অংশে ভিন্ন নামে পূজিত হন মা শীতলা। বসন্ত কালেই নির্দিষ্টি দিনে শীতল মাতার জন্য ব্রত রাখা হয়। এই ব্রত পালন করা লোকেরা এই দিনগুলিতে বাসি বা ঠাণ্ডা খাবার খান। সপ্তমী বা অষ্টমীতে ঠাণ্ডা খাবার খেয়ে ব্রত রেখে, বসন্ত রোগ প্রকোপ সম্পর্কিত সম্ভাবনা দূর করতেই এই পুজো করা হয়।
আরও পড়ুন- পবিত্র দোল পূর্ণিমা তিথিতে পালন করুন এই নিয়ম, দূর হবে জীবনের যাবতীয় সমস্যা
আদ্যাশক্তি দেবী দুর্গার অবতার হিসাবে, তিনি পক্স, ঘা, ত্বক সম্পর্কি প্রভৃতি রোগ নিরাময় করেন এবং পিশাচ এর হাত থেকেও রক্ষা করেন। দোলযাত্রার পরবর্তী অষ্টমী তিথিতে দেবী শীতলার আরাধনা করা হয়। হিন্দু ধর্মের বিশ্বাসানুসারে এই দেবীর প্রভাবেই মানুষ বসন্ত, প্রভৃতি চর্মরোগাক্রান্ত হয়। এই কারণেই গ্রাম বাংলায় বসন্ত রোগ মায়ের দয়া নামে অভিহিত হয়ে থাকে। ভক্তদের বিশ্বাস কলস থেকে তিনি আরোগ্য সূধা দান করেন এবং ঝাড়ু দ্বারা রোগাক্রান্তদের কষ্ট লাঘব করেন।
আরও পড়ুন- চৈত্র মাস কেমন প্রভাব ফেলবে তুলারাশির উপর, দেখে নিন
এই বছর পঞ্জিকা অনুসারে বাংলার ২১ চৈত্র, ১৪২৭ এবং ইংরেজির ৪ এপ্রিল, রবিবার, ২০২১ তারিখে এই পুজো অনুষ্ঠিত হবে। দক্ষিণ ভারতে দেবী শীতলার ভূমিকাটি অবতার মারিয়ম্মান বা মারিয়াত্থা নিয়েছেন, যাকে দ্রাবিড় ভাষী লোকেরা উপাসনা করেন। হরিয়ানা রাজ্যের গুড়গাঁওয়ে শীতলাকে কৃপী গুরু দ্রোণাচার্যের স্ত্রী বলে মনে করা হয় এবং গুড়গাঁওয়ের শীতলা মাতা মন্দিরে পুজো হয়ে থাকে। শীতলা পুজো উত্তর ভারতের অঞ্চলে ভীষণ ভাবে জনপ্রিয়। কিছু ক্ষেত্রে তাঁকে শিবের সঙ্গী পার্বতী বলেও চিহ্নিত করা হয়। শীতলাকে মাতা, মরশুমি দেবী হিসাবে সম্বোধন করা হয় এবং ঠাকুরানী, জগৎরানী, করুণাময়ী, মঙ্গলা, ভগবতী, দয়াময়ী নামেও অভিহিত করা হয়।
আরও পড়ুন- মঙ্গলবারে ৩ রাশির শরীরিক সমস্যা বৃদ্ধি পেতে পারে, দেখে নিন আপনার রাশিফল
বাংলায় বিখ্যাত কয়েকটি শীতলা মায়ের মন্দির-
১) শীতলা মাতা মন্দির, গড়িয়া, কলকাতা।
২) শ্রীশ্রীশীতলা মন্দির,বেলগাছিয়া,কলকাতা।
৩) শীতলা মন্দির বা কাঁকড়া মায়ের মন্দির, দক্ষিণ সুন্দরবন,দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা।
৪) শীতলা ও মনসা মাতা মন্দির,রঞ্জিৎবাটী কেটেদল গ্রাম,হুগলী।
৫) শীতলা মাতার মন্দির, বাঁধাঘাট, হাওড়া।
৬) বড়,মেজ,সেজ ও ছোট শীতলা মায়ের মন্দির, সালকিয়া,হাওড়া।