সংক্ষিপ্ত
- আমাদের প্রাচীন সাহিত্য ও ধর্মগ্রন্থতেও বাস্তুর উল্লেখ পাওয়া যায়
- দিক নির্ণয় , মাটি , দিন ও বাস্তুর অবস্থান অনুসারে নক্ষত্রের বিচার
- বাড়ির দক্ষিন-পশ্চিম দিকে , নক্ষত্র কোণের ঘরটি হল সবচেয়ে শুভ
- কারন এই ঘরে কখনই কোনও নেঘেটিভ শক্তি প্রবেশ করতে পারবে না
আমাদের প্রাচীন সাহিত্য ও ধর্মগ্রন্থতেও বাস্তুর উল্লেখ পাওয়া যায়। প্রাচীনকালের বাস্তু বিশেষজ্ঞের মতে ভালো বাড়ি শুধু নয়, ভালো জীবনের জন্যও বাস্তু মেনে চলা প্রয়োজন। তার জন্য যে যে বিষয়গুলির উপর তিনি গুরুত্ব দিতে বলেছেন, তা হল ইমারত যে শহরে নির্মাণ করা হবে, তারা অনুসারে তার উপযোগিতা, দিক নির্ণয় , মাটি , দিন এবং বাস্তু পুরুষের অবস্থান অনুসারে নক্ষত্রের বিচার।
আরও পড়ুন, পৌষ মাসে সামান্য এই উপাদান, সহজেই কাটিয়ে নিন শনির দোষ
প্রকৃতির শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি হচ্ছে মানুষ৷ জীবজন্তু, গাছপালা, কীটপতঙ্গ, জলচর প্রাণী থেকে মানুষ, কেউই প্রাকৃতিক নিয়মের ঊর্দ্বে নয়৷ অন্যান্য প্রাণীরা যেখানে প্রাকৃতিক নিয়মের বশবর্তী হয়ে যুগ যুগ ধরে প্রায় একই ভাবেই চলে আসছে, সেখানে মানুষ কিন্তু এক জায়গায় দাঁড়িয়ে নেই৷ উন্নত ও বিকশিত মস্তিষ্কের সাহায্যে মানুষ প্রাকৃতিক নিয়মের বিরুদ্ধে না গিয়েও জগত্ জয় করেছে৷ শুধু যে তারা সমাজ ও সভ্যতা সৃষ্টি করেছ। রোগকে জয় করে চলেছে, মহাবিশ্বের রহস্য উদঘাটনে বিভিন্ন গ্রহে রকেটও পাঠাচ্ছে৷ সবই প্রকৃতির নিয়ম মেনেই৷ একে কেউ পরিবর্তন করতে পারেনি৷ মানুষও নয়৷ মানুষ শুধু প্রকৃতির সেই নিয়মগুলোকে অনুধাবন করে তাকে কাজে লাগিয়েছে৷ এত উন্নতির পরেও মানুষ তবুও প্রাকৃতিক বৃহত্তর শক্তির কাছে সে কত অসহায়৷ মানুষের এই সভ্যতা গড়ার লক্ষ্য জীবনকে সহজতর ও সুন্দরতর করা৷ এর জন্য চাই তার উপযু্ক্ত বাসস্থান কি শহরে, কি গ্রামে৷ এবং এই বাসস্থান বা বাস্তু এমনভাবে এবং এমন ভূমিতে করতে হবে তা যেন বিপদ আপদ থেকে, প্রকৃতির রোষ থেকে আমাদের বাঁচাতে পারে এবং আমাদের জীবনের বিকাশের সহায়ক হয়৷ কোন দিকে ঘড়বাড়ির সম্মুখভাগ হবে, কোনদিকে দরজা-জানলা থাকবে, রান্নাঘর ইত্যাদি থাকবে তারও একটা শাস্ত্র আছে এবং তা হচ্ছে বাস্তু শাস্ত্র৷
আরও পড়ুন, আগামী বছরে কেমন হবে বৃষ রাশির কর্মজীবন, জেনে নিন
বাড়ির দক্ষিন-পশ্চিম দিকে , নক্ষত্র কোণের ঘরটি হল সবচেয়ে শুভ। পরিবারের আর বাকি সবাইয়ের ঘর , পূর্ব কিংবা উত্তর-পশ্চিম দিকে হলে সবচেয়ে ভালো হয়।উত্তর-পূর্ব দিকটা বাস্তুমতে এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। ঘুমানোর সময় অবশ্যই বাড়ির প্রধান কে পূর্ব দিকে মাথা দিয়ে ঘুমানো উচিত। এতেই পরিবারের কল্যাণ হবে। বাড়ির প্রধানের ঘরে অবশ্যই একটি উত্তর দিকের দেওয়ালে ঘড়ি টানানো উচিত। চাবির গোছা রাখা উচিত তারই ঘরে। এই ঘরে ভাবেই যেনও কোনও আয়না না থাকে।কারন কোনও নেঘেটিভ শক্তি তার ঘরে প্রবেশ করবেনা। তার শরীর-মন ভালো থাকবে।বাড়ির প্রধানের ঘরে সবথেকে প্রয়োজনীয় ভারী ওয়ারড্রব বা আলমারিটি রাখা উচিত।