সংক্ষিপ্ত
বট সাবিত্রী পুজোর ব্রত পালন করা কিছুটা কঠিন । কারণ এই পুজোর মাধ্যমে স্ত্রী তাঁর স্বামীর দীর্ঘ আয়ু কামনা করে। হিন্দু বিশ্বাস মতে বট সাবিত্রী পুজো করলে স্ত্রী যেমন স্বামীর ভালোবাসা পায়। তেমনই প্রেমিকা তাঁর আকাঙ্কিত প্রেমিকের মন পায়।
চলতি বছর ৩০ মে দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তৈরি হচ্ছে মহাযোগ। কারণ একই দিনে পড়েছে সোমবতী অমাবস্য আর বটসাবিত্রী পুজো। প্রতি বছর কৃষ্ণপক্ষের অমাবস্যা তিথিতে বটসাবিত্রী পুজো করা হয়। এইদিনে অমাবস্যার ব্রত পালন করার পাশাপাশি অনেকেই উপবাসও রাখেন। তবে বট সাবিত্রী পুজোর ব্রত পালন করা কিছুটা কঠিন । কারণ এই পুজোর মাধ্যমে স্ত্রী তাঁর স্বামীর দীর্ঘ আয়ু কামনা করে। হিন্দু বিশ্বাস মতে বট সাবিত্রী পুজো করলে স্ত্রী যেমন স্বামীর ভালোবাসা পায়। তেমনই প্রেমিকা তাঁর আকাঙ্কিত প্রেমিকের মন পায়। তাই মহিলাদের কাছে এই ব্রত খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বট সাবিত্রী পুজোর প্রয়োজনীয় সামগ্রী -
জলভরা ফুলদানি
কাঁচা সুতো
মেরুন সুতো
রোলি, সিঁদুর আর অক্ষত
মিষ্টি
ফুল
ধূপকাঠি
লাঠি
ফল
বাঁশের ঝুঁড়ি
বাঁশের পাখা
ভেজানো ছোলা
পুজোর পদ্ধতিঃ
পুজোর দিন অর্থাৎ ৩০ মে সকালে ঘুম থেকে উঠেই মহিলাকে স্নান সেরে শুদ্ধ হতে হবে। পরিষ্কার পোশাক পরতে হবে। পুজোর অনুষ্ঠানে ১৬ পা হাঁটতে হবে। যা ১৬ শ্রিংগার নামে পরিচিত। বট সাবিত্রী পুজোর দিন উপবাস জরুরি। শুভ সময় বটবৃক্ষের পুজো করতে হবে। গাছে সিঁদুর লাগিয়ে পুজো করে ধুপকাঠি জ্বালাতে হবে। গাছে ফুল আর মিষ্টি নিবেদন করতে হবে। নিজে খাবার আগে দেবতাকে তুষ্ট করতে হবে। পুজোর সময়ই স্বামীর জন্য সুস্বাস্থ্য কামনা করতে হবে।
বট সাবিত্রী পুজো কেন পবিত্র জানুন-
সাবিত্রী আর সত্যবানের গল্পের সঙ্গেই জড়িয়ে রয়েছে বট সাবিত্রী পুজোর মিথ। সাবিত্রী আর সত্যবানের প্রেমকাহিনি এখনও মিথ ভারতে। সাবিত্রী আর সত্যবানের বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু নারদ বলেছিলেন সত্যবানের আয়ু খুব কম। তখন সাবিত্রী নারদের কাছে সত্যবানের আয়ু ভিক্ষে করেন। কিন্তু নারদ তাঁকে বট গাছের কাছে যেতে পরামর্শ দেন। কিন্তু বট গাছের কাছে গিয়েই সাবিত্রী সত্যবানকে বাঁচাতে পারেননি। কিন্তু স্বামীকে বাঁচাতে বট গাঠের আর্শীবাদ নিয়ে তিনি যমরাজের পিছনে ধাওয়া করেন। সাবিত্রীর পতিভক্তির কাছে হার মানেন যমরাজ। শেষ পর্যন্ত যমরাজ ফিরিয়ে দেন সাবিত্রীর স্বামী সত্যবানকে। তারপর থেকেই স্বামীর সঙ্গ পাওয়ার জন্য ভারতীয় মহিলারা বট সাবিত্রীর ব্রত পালন করেন। হিন্দুশাস্ত্র মতে এই ব্রত পালন করলে স্বামী সুখও পাওয়া যায়। স্বামীর ভালোবাসাও পাওয়া যায়।