সংক্ষিপ্ত
ভাদ্র মাসে সংক্রান্তিতেই হয় বিশ্বকর্মা পুজো। চলতি বছরে ১৭ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার পড়েছে বিশ্বকর্মা পুজো। শাস্ত্রমতে, অন্যান্য দেব-দেবীর পুজোর মতোই এই বিশ্বকর্মা পুজোর বিশেষ কিছু নিয়ম-বিধি রয়েছে। যেমন তেমন করে পুজো করলেই হল না, নিয়ম মেনে এই পুজো করলেই সন্তুষ্ট হন দেবতা এবং হাতেনাতে সুফল পাওয়া যায়।
ভাদ্র মাসে সংক্রান্তিতেই হয় বিশ্বকর্মা পুজো। চলতি বছরে ১৭ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার পড়েছে বিশ্বকর্মা পুজো। বিশ্বকর্মা হলেন প্রযুক্তির দেবতা। অন্যান্য পুজোর মতোই ধুমধাম করে আয়োজন করা হয় বিশ্বকর্মা পুজোর। শাস্ত্রে কথিত আছে, ভূ-ভারতে যতরকমের সুন্দর নির্মাণশৈলী আছে, তার পুরোটাই নির্মাণ করেছেন বিশ্বকর্মা। তিনি উপবেদ, স্থাপত্যবেদ, চতুঃষষ্টিকলাকও প্রকাশক। রামায়ণে বর্ণিত অপূর্ব শোভা ও সম্পদবিশিষ্ট লঙ্কা নগরীর নির্মাতাও বিশ্বকর্মা বলেই কথিত। শাস্ত্রমতে, অন্যান্য দেব-দেবীর পুজোর মতোই এই বিশ্বকর্মা পুজোর বিশেষ কিছু নিয়ম-বিধি রয়েছে। যেমন তেমন করে পুজো করলেই হল না, নিয়ম মেনে এই পুজো করলেই সন্তুষ্ট হন দেবতা এবং হাতেনাতে সুফল পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন-বিশ্বকর্মা পুজোর মাহেন্দ্র ক্ষণ কোনটা, কতক্ষণই বা থাকছে পুজোর সময়, জানুন সবখুটিনাটি তথ্য
আরও পড়ুন-বাড়ি থেকে অশুভ দৃষ্টি সরিয়ে ফেলুন, বিশ্বকর্মার পুজোর দিনই এই বাস্তু নিয়ম শুরু করুন
বিশ্বকর্মা পুজোর নিয়মবিধি
বিশ্বকর্মা পুজোর দিন ফুল দিয়ে দেবতার আরাধনা করতে হবে। তবে জ্যোতিষ শাস্ত্র বলছে সাদা ফুল দিয়ে দেবতাকে অর্পণ করলে ভাল ফল পাওয়া যায়।
জ্যোতিষবিদরা বলছেন, বিশ্বকর্মা পুজোয় ধূপ, জল, দীপ ও পৈতে লাগবেই। এছাড়াও পুজোর সামগ্রীতে অবশ্যই যেন থাকে চন্দন।
শাস্ত্র মতে, বিশ্বকর্মা পুজোর দিন কপালে টিকা লাগানো জরুকি। এই টিকার অর্থ হল দেবতার সামনে নিরাপত্তা ও সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি রাখা। বিশ্বকর্মা পুজোয় সিঁদুরের টিকা দেওয়া শুভ বলেই মনে করা হয়।
বিশ্বকর্মা পুজোর দিন বাড়ির সমস্ত যন্ত্রপাতির পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা উচিত বলেই জানিয়েছেন শাস্ত্রজ্ঞরা। এইদিন সমস্ত সরঞ্জাম পরিস্কার করে তেল দিয়ে মুছে রাখতে বলছেন, যাতে যন্ত্রপাতি গুলি ভাল থাকবে।
শাস্ত্র মতে, বিশ্বকর্মা পুজোর দিন বাড়ির কোনও যন্ত্রপাতি, রান্নাঘরে ব্যবহৃত সরঞ্জাম বাইরে কাউকে দেওয়া মোটেই ভাল নয়।
জ্যোতিষবিদরা বলছেন, বিশ্বকর্মা পুজোর দিনে অচেনা কারোর থেকে কোনও খাবার ঘরে ঢোকাবেন না এতে নেগেটিভ এনার্জি ঘরে প্রবেশ করতে পারে। যা মোটেই শুভ নয়।
পুজোর শেষে হোমের প্রসাদ সকলের মধ্যে বিতরণ করার পরামর্শ দিচ্ছেন জ্যোতিষবিদরা। এই সমস্ত নিয়ম নিষ্ঠাভরে পালন করলেই দেবতা তুষ্ট হবেন এবং সুফলও মিলবে হাতেনাতে।