Arup Dey

'একুশে জুলাই যে জানেনা তৃণমূল কংগ্রেস করার যোগ্যতা তার নেই', একুশের মঞ্চ থেকে কড়া বার্তা অভিষেকের। তিনি আরও বলেন, আজকের একুশে নতুন করে শপথ নিতে হবে। 'আজকের তৃণমূল অন্য তৃণমূল'। 'আজকের তৃণমূল বিশুদ্ধ তৃণমূল, এই তৃণমূলে গদ্দার, মীরজাফররা নেই'। এই বলেই তিনি শুভেন্দু অধিকারীকে বার্তা দিলেন মনে করা হচ্ছে।

একুশের মঞ্চ থেকে হুঙ্কার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-এর। অভিষেক বলেন, মদি-অমিত শাহর অশ্বমেধের ঘোড়া আটকে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 'মুখ দেখিয়ে পঞ্চায়েতের টিকিট পাওয়া যাবে না'। 'আপনাকে মানুষ যদি সার্টিফিকেট দেয়, তবেই প্রার্থী হবেন'। 'বিজেপির নেতারাই বলছে, মোদীজীকে বলে টাকা বন্ধ করেছি'। 'বাংলা কেন্দ্রের কাছে হাত পাতবে না'। 'প্রকল্প হলে বাংলার নামেই হবে, না হলে আপনার টাকার দরকার নেই'। '৪২০ টাকার রান্নার গ্যাস ১১০০ টাকা ছাড়িয়েছে'। 'আপনারা দেখুন আচ্ছে দিনের নামে কি করেছে'। 'এদের যোগ্য জবাব দিতে পারে একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়'।

একুশের মঞ্চ থেকে হুঙ্কার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-এর। 'তারপর লোকসভা। কথা দিচ্ছি বাংলা থেকে তো জিতবে। বাইরেও তৃণমূল লড়বে। আপনাদের সমর্থন আশীর্বাদ থাকলে, বুক চিতিয়ে লড়াই করব। বাংলা যা আজ ভাবে, দেশ তা পরে ভাবে। 'এই লড়াই পঞ্চায়েত জেতার নয়, দিল্লির বুকে নতুন গণতান্ত্রিক সরকার গড়ার লড়াই', বললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

ধর্মতলায় ২১-এর জনস্রোত। ট্রেনে,বাসে, লঞ্চে, পায়ে হেঁটে ঢুকছেন কর্মী সমর্থকরা। জেলা থেকে কলকাতার উদ্দেশে রওনা তৃণমূলকর্মী ও সমর্থকদের। নদীয়ার রাণাঘাট স্টেশনে উপচে পড়া ভিড়। এদিকে নবদ্বীপ স্টেশনেও তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের ভিড়। সমর্থকদের জন্য শিয়ালদা স্টেশনে খোলা হয়েছে অ্যাসিস্ট্যান্স বুথ। এছাড়াও অসুস্থ হয়ে পড়লে রয়েছে মেডিকেল ক্যাম্প। একুশে জুলাইয়ের উন্মাদনা রাজ্য জুড়ে।

চপশিল্প নিয়ে গবেষণা করেছেন রায়গঞ্জের এক ছাত্রী। রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ছাত্রী। এই গবেষণায় ওই ছাত্রীকে সাহায্য করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তাপস পাল। আর এই গবেষণা নিয়েই শুরু জোর বিতর্ক। গবেষণা পত্রটির একটি পাতায় 'অনুপ্রেরণা' শব্দটি লেখা হয়েছে। গবেষণা পত্রটির মলাটে 'মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণা' লেখা নিয়েই বিতর্ক। এই বিতর্কে মুখ খুললেন শিক্ষক তাপস পাল।

সাত সকালে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা রায়গঞ্জে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নয়ানজুলিতে উল্টে গেল যাত্রীবাহী বেসরকারি বাস। এই দুর্ঘটনায় মৃত ১, আহত কমপক্ষে ২২ জন। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের ঘুঘুডাঙা এলাকায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে। স্থানীয় বাসিন্দারাই বাস যাত্রীদের উদ্ধার করে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন।

মমতাকে বাঁচিয়ে আজ নিজেই মৃতপ্রায়! একুশের শহিদ মঞ্চে কখনও ডাক পাননি। বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চাকরি ফিরে পাওয়ার আর্জি জানিয়েছেন সিরাজুল। জীবন্ত শহিদ বলে নিজেকে আখ্যাও দিয়েছেন সিরাজুল। আজও চাকরিটা ফিরে পাওয়ার ইচ্ছা তার মনে রয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার ইছাপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ভদ্রডাঙার বাসিন্দা সিরাজুল হক মণ্ডল। ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাইয়ের ঘটনা। তৎকালীন কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সচিত্র পরিচয়পত্রের জন্য মহাকরণ অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন। কলকাতা পুলিশের তৎকালীন ডেপুটি কমিশনার দীনেশ বাজপেয়ীর নির্দেশে লাঠিচার্জ শুরু করে তৎকালীন বাম সরকারের পুলিশ। তখন ২৭ বছর বয়স ছিল কনস্টেবল সিরাজুল হক মণ্ডলের। নেত্রীর উপর অত্যাচার দেখতে না পেরে ঊর্ধ্বতন কর্তার মুখের উপর কথা বলতে বাধ্য হয়েছিলেন। আর তার ফলস্বরূপ তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত হতে হয়। চাকরি পাওয়ার আশায় এখনও তাকিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দিকে। চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার কাতর আর্তি সিরাজুলের বৃদ্ধ মায়ের।

অভিনব উদ্যোগ SFI-এর। মধ্যমগ্রামে বিনামূল্যে অনলাইন হেল্পডেস্ক চালু করলো তারা। বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজে ভর্তির অনলাইন ফর্ম ফিলাপে সাহায্য করছে তারা। রাজ্য জুড়েই SFI-এর তরফ থেকে বিনামূল্যে এই হেল্প ডেস্ক চালু করা হয়েছে। মধ্যমগ্রাম ১ আঞ্চলিক কমিটির উদ্যোগে এই হেল্প ডেস্ক। SFI-এর দাবী, কলেজে ভর্তির নামে 'কাটমানি' নেওয়া হয় পড়ুয়াদের কাছ থেকে। তাই এই হেল্প ডেস্ক থেকে বিনামূল্যে পড়ুয়াদের ভর্তির সাহায্য করছে তারা। এই পরিষেবা পেয়ে যথেষ্ট খুশি ছাত্র-ছাত্রীরা। 

সাপের কামড়ে গ্রামে-গঞ্জে প্রাণ হারান বহু মানুষ। সঠিক সময়ে হাসপাতালে না গিয়ে ছুটে যান ওঝার কাছে, ফলে চিকিৎসার অভাবে মারা যাচ্ছেন বহু মানুষ। আর বিষধর সাপ নিয়েই লোকেদের মনে সচেতনতা বাড়াচ্ছেন বালুরঘাটের কুন্তল মালাকার ও সঞ্জয় সূত্রধর। কালাচ সাপের ভয়াবহতা নিয়ে জানালেন স্থানীয়দের। 

তীব্র দাবদাহে প্রাণ ওষ্ঠাগত দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়ে। শ্রাবণ মাস পড়লেও বৃষ্টির দেখা নেই। বৃষ্টির অভাবে চাষের জমি শুকিয়ে যাচ্ছে। গরম আর দাবদাহে দিনের বেলায় ওষ্ঠাগত প্রাণ। বৃষ্টির অভাবে তলানিতে ঠেকেছে চাষাবাদ। এবার বৃষ্টির আশায় গ্রামের মানুষরা দিল ব্যাঙের বিয়ে। ব্যাঙের বিয়েতে এলাহি আয়োজন। সম্পূর্ণ বৈদিক রীতি মেনে ব্যাঙের বিবাহ অনুষ্ঠান আয়োজিত হল। রহিমপুর, খিদিরপুর বড়াইল, মালম, সরাইঘাটের বাসিন্দারা এই বিয়ে দিল। এই ব্যাঙের বিয়েতে দুই হাজার মানুষ নিমন্ত্রিত ছিল। সকলেই পেট পুরে খাওয়াদাওয়া করল।